Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Sunday, 08 September 2024

Local News

Local News (166)

নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নে বজ্রপাতে হাওরে কাওসার মিয়া (২১) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার গভীর রাতে মাছ ধরা অবস্থায় তিনি নিহত হন। কাওসার মিয়া উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামের তাজুদ মিয়ার ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় কাওসার মিয়া তাহার বাড়ির পশ্চিমে যোগী ডর হাওরে মাছ ধরতে যান। হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতের বিকট শব্দ শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত অবস্থায় কাওসার মিয়াকে দেখতে পান পরে তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নবীগঞ্জ থানায় খবর দিলে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলীর নির্দেশে থানার এস আই স্বপন চন্দ্র দাস ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। এদিকে কাওসার মিয়ার মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বজ্রপাতে নিহতর বিষয়টি নিশ্চিত করেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী।

 

 

 

নবীগঞ্জ উপজেলায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে মন মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। এঘটনায় উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। নিহত মনা মিয়া (৬০) মোস্তফাপুর গ্রামের মৃত কদর উল্লাহর ছেলে। তাৎক্ষণিক আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়- আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামের তকমত উল্লাহর ছেলে ও সাবেক ইউপি সদস্য সাফু আলমের সঙ্গে মৃত কদর উল্লাহর ছেলে মনা মিয়ার বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে শুক্রবার দুপুরে সাফু আলম ও মনা মিয়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে ইটপাটকেল ও পিকল নিক্ষেপ করা হয়। এসময় পিকলের আঘাতে বৃদ্ধ মনা মিয়া (৭০) নিহত হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নোমান হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে, এরই জের ধরে সংঘর্ষ হয়। 

নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর বাজারে সিএনজিতে যাত্রী উঠানোর জেরে এক চালকের ছুরিকাঘাতে আরেক চালক খুন হয়েছেন!

খুন হওয়া সিএনজি চালকের নাম হাফিজুর রহমান (৩৫)। সে আউশকান্দি ইউনিয়নের উমরপুর এলাকার মৃত আব্দুস সালামের পুত্র। আর ঘাতক সিএনজি চালক মো: শিপন মিয়া একই ইউনিয়নের চৈতন্যপুর এলাকার আব্দুল আহাদের পুত্র৷

জানা গেছে- উপজেলার সৈয়দপুর বাজারের সিএনজি ষ্ট্যান্ডে গত ২৫ আগষ্ট রাত অনুমান ১১টার দিকে সিএনজিতে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে শিপন দারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিম হাফিজুরের গলায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে হাফিজুর গুরুত্বর জখম প্রাপ্ত হলে তাকে প্রথমে সিলেট ওসমানী হসপিটালে চিকিৎসার জন্য ২৬ আগষ্ট ভোর রাতে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করলে ঐ দিনই তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট, শের-ই বাংলানগর ঢাকায় ভর্তি করা হয়। হাফিজুরের চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল (২৯ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় সেখানে মৃত্যু হয়।

এদিকে নিহত হাফিজুরের চিকিৎসাধীন সময়ে সিলেট ওসামানী হসপিটাল পুলিশ বক্সের এক পুলিশ সদস্যের ধারা ছল-চাতুরীর শিকার হয়েছেন তার স্বজনরা বলে অভিযোগ করেন নিহত হাফিজুরের চাচাতো ভাই আজিজুর।

আজিজুর প্রতিবেদকে জানান- তারা যখন হাফিজুরকে নিয়ে ওসমানী হসপিটালে আসেন তখন তার অনেক রক্ত যাচ্ছিলো আর ডাক্তারা তাকে চিকিৎসা দিতে বিলম্ব করায় আমরা তাৎক্ষণিক ডাক্তারের সঙ্গে রাগারাগি করি। এক পর্যায়ে ওসমানী হসপিটাল পুলিশ বক্সের কনস্টেবল কাজী ইখতিয়ার উদ্দিন সেখানে উপস্থিত হয়ে আমাদের থামান এবং উনি নিজেকে এই হসপিটালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ পরিচয় দিয়ে আমাদের রোগী সহ আমাদের রোগীর উপর হামলার ঘটনায় আমাদের নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। পরে ওসমানীর ডাক্তাররা যখন বলেন হাফিজুরের অবস্থা খারাপ তাকে ঢাকায় নিতে হবে। তখন ওই পুলিশ সদস্য আমাকে জানান তাকে খুশি করার জন্য তখন আমি আইনী সহযোগিতার আসায় সরল বিশ্বাসে উনাকে নগদ ১ হাজার টাকা দেই আর উনাকে জানাই যে এখন রোগী নিয়ে আমরা ঢাকায় যাবো যখন আমরা মামলা করব তখন উনার সঙ্গে যোগাযোগ করর।

কিন্তু দু:খের বিষয় আমার ভাই ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে ঢাকার হসপিটাল কর্তৃপক্ষ লাশের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করতে পারবে না বলে জানালে আমি নিরুপায় হয়ে ওসামানীর ওই পুলিশ কনস্টেবলকে ফোন দিয়ে এ বিষয়ে জানালে তিনি বলেন “আরে বেটা আমি ওসমানীর ইনচার্জ তুমরা লাশ নিয়ে ওসমানীতে আসো যা করা লাগে আমি করব”। উনার কথা মতো ঢাকা থেকে আজ (৩০ আগষ্ট) সকাল ৫টায় আমরা ওসমানীতে পৌঁছানোর পর উনাকে দফায় দফায় ফোন দিলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেন নি। এখন নিরুপায় হয়ে ফের সিলেট থেকে আমরা হবিগঞ্জে যাচ্ছি লাশের ময়নাতদন্তের জন্য।

 

এ ব্যাপারে ওসমানী হসপিটালের কনস্টেবল কাজী ইখতিয়ার উদ্দিনের ব্যবহৃত সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- এসব বিষয়ে আমি ফোনে কথা বলতে পারবো না যা জানার আপনি দেখা করে জানেন। তবে এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ বলে তার দাবি।

এ ব্যাপারে ওসামানী হসপিটাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এস/আই জাফর ইমাম জানান- সে একজন কনস্টেবল যদি সে ইনচার্জ পরিচয়ে কোন অপকর্মে লিপ্ত হয় তাহলে তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী বলেন, এই বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি।

নবীগঞ্জে ছুরির আঘাতে আহত হওয়া হাফিজুর রহমান (৪২)  চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা একটি হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাফিকুর রহমানের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জে উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান ও চৈতন্য পুর গ্রামের আহাদ মিয়ার পুত্র শিপন মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। শিপন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে হাফিজুর মিয়াকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। গত রবিবার (২৫ আগষ্ট) সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ সময় আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিলেট থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন।ঢাকায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ৩ দিন আই,সি,ইউতে থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী বলেন, হাফিজুর রহমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন।

নবীগঞ্জ উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় শিপন মিয়া (৩০) নামে এক যুবক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ও চাচা গুরুতর আহত হয়েছে। পরে ক্ষুব্দ হয়ে নিহতের স্বজনরা প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর ইউনিয়নের ভবের বাজার ব্রিজের নিকটে হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত শিপন মিয়া (৩০) সদর ইউনিয়নের পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামের মৃত হুশিয়ার মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন- নিহত শিপনের ভাই কুটি মিয়া ও তার চাচা জীবন মিয়া। সূত্রে জানা যায়- নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামের হুশিয়ার মিয়ার ছেলে শিপন ও কুটি মিয়ার সঙ্গে পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া, চরগাঁও গ্রামের শেখ আবিদের ছেলে শেখ সুমন মিয়াসহ ৭-৮ জন সহপাঠীর বিরোধ চলে আসছে। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভবেরবাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন শিপন মিয়া, কুটি মিয়া ও তার চাচা জীবন মিয়া। এ সময় ভবেরবাজার ব্রিজের নিকট পৌছামাত্র পূর্ব বিরোধের জের ধরে রুবেল, সুমনসহ ৭-৮ জন শিপন, কুটি ও জীবনের উপর হামলা চালায়। এতে তারা আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিপনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত কুটি মিয়া ও জীবন মিয়াকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী ঘটনাস্থল ও নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করে। পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে যায়। নিহত শিপনের স্বজনদের অভিযোগ- পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে শিপনকে শ্বাসরোদ্ধ করে রুবেল ও সুমনসহ ৭-৮ জন হত্যা করে। এ সময় তাদের হামলায় কুটি ও জীবন গুরুতর আহত হয়। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান তারা। এদিকে এঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে হামলার ঘটনায় জড়িত রুবেল মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায় নিহত শিপনের স্বজনরা। এ সময় বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি আবু জাহিরও তাঁর পরিবার বর্গের সাথে নবীগঞ্জ পৌর বিএনরি সাবেক সভাপতি ও সদ্য অপসারিত পৌর মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরীর রাজনৈতিক ঘনিষ্টতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় রাজতৈনিক মহলে নানা সমালোচনায় দেশ বিদেশে তোলপাড়! জানাযায়, বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের দেশ শাসনের ১৫ বছরের মধ্যে  বিএনপি নেতা ছাবির চৌধুরী তার চেয়ার রক্ষায় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিসহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এডঃ আলমগীর চৌধুরীর সাথে আতাত করে  নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন। উল্লেখ্য জেলা  আওয়ামীলীগের  সভাপতি সাবেক এমপি আবু জাহিরের রোষানলের স্বীকার হয়ে  জেলা  বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব জিকে গউছ যখন রাজনৈতিকভাবে  প্রতিহিংসা, জেল জুলুম, মামলসহ নানা নির্যাতনের স্বীকার হলেও নবীগঞ্জ পৌর মেয়র  থাকাকালিন ছাবির আহমদ চৌধুরীর সাথে জেলা আওয়ামলীগের নেতৃবৃন্দের রাজনৈতিক সখ্যতা নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিগত জেলা পরিষদের উপ-নিবার্চনে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি আবু জাহির এর স্ত্রী জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলেয়া জাহিরকে বিজয়ী করতে নিবার্চনী প্রচারনায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখেন নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র বিএনপি নেতা আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী। এছাড়াও বিগত পৌর নিবার্চনে ছাবির আহমদ চৌধুরী নিজে বিজয়ী হতে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারন সম্পাদকের সাথে আতাত করে প্রশাসনিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে আওয়ামীলীগ মনোনিত পরাজিত প্রার্থী সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী সাহাব উদ্দিন এর মেয়ের জামাতা আলহাজ্ব গোলাম রসূল চৌধুরী রাহেল পরাজিত করেন। সরকার বিরোধী বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ও আন্দোলন সংগ্রামে ছাবির চৌধুরীর নিরব ভূমিকা পালন করলেও পৌর মেয়র থাকাকালিন সময়ে তিনি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে দৃষ্টি নন্দন একটি বঙ্গবন্ধুর মুরাল তৈরি করে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তিনি সমালিচিত হন। কিন্তু অর্ন্তবর্তী সরকার গঠনের পরপরই  তিনি আবার রাজপথে দলীয় নেতৃত্ব নিয়ন্ত্রনে নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন। এমনকি আওয়ামীলীগ পন্থি পৌর কাউন্সিলদের নিয়ে তিনি শহরে মহড়া নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে না থেকে ছাবির আহমদ চৌধুরী বিদেশ গমনসহ নানা বির্তকিত ভূমিকা জন্য দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নিবার্হী কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতি জোর দাবি জানান তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতায় জেলার কুশিয়ারা নদীর তীর প্রতিরক্ষা প্রকল্প নির্মান কাজ নিয়ে নয়ছয় হয়েছে। এই মেগা প্রকল্পের ৫৭৩ কোটি টাকার কাজ নিয়ে ভানুমতির খেলা হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের নীরবতার জন্য দ্বায়সারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ হয়েছে। অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর এই মেগা প্রকল্পের দূর্নীতির তদন্ত দাবি করেছেন। এই প্রকল্প থেকে অনেক নেতাই কমিশন গ্রহনের অভিযোগ রয়েছে। বিশাল প্রকল্পের হরিলুট নিয়ে সর্বত্র হইছই হচ্ছে। বিষয়টি তদন্তের দাবি তুলেছেন সচেতন মহল।
কুশিয়ারা প্রতিরক্ষা প্রকল্পের বাঁধটি নড়বর অবস্থায় আছে। বাঁধের নি¤œমানের কাজ হওয়ার জন্য বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। বর্তমানে চরম আতংকে আছেন হবিগঞ্জ জেলার ভাটি অঞ্চলের মানুষ। বিশাল প্রকল্পে ৫৭৩ কোটি টাকা গেল কোথায় এই প্রশ্ন সবার মাঝে। তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে সচেতন মহলে। বর্তমান সরকারের কাছে এই বিশাল প্রকল্পের দূর্নীতি নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন এলাকাবাসী। নিম্নমানের মালামাল ব্যবহারের ফলে কাজ শেষ হওয়ার প‚র্বেই ৫৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীণ নদীর তীর প্রতিরক্ষা প্রকল্পের বেশকিছু স্থান দেবে ফাটল দেখা দিয়েছে এই বিষয়টি গত বছরে “তীর রক্ষার প্রকল্প রক্ষা করবে কে” শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় সরজমিন রিপোর্ট প্রকাশ হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জোগ সাজসেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ তীরবর্তী মানুষের। প্রভাবশালী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মামলার ভয়ে অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলেননি তখন এলাকাবাসী।  জানা যায়- হবিগঞ্জের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ “কুশিয়ারা ডাইক” প্রতি বছর বর্ষায় ভেঙে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ, সিলেটের ওসমানী নগর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামসহ ভাটি ও হওরা লের বাড়িঘর ও কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে যায় পানির নীচে। নদীর উভয় তীরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল বর্তমান প্রযুক্তিতে নতুন ভাবে কুশিয়ারা উভয়পাশে বাঁধ নির্মাণের জন্য। প্রতি বছরে এমন বিধ্বংসী ভাঙন রোধে ও অকাল বন্যা থেকে রক্ষা পেতে জাতীয় সংসদে কুশিয়ারা উভয় তীর রক্ষায় জিও ব্যাগ ও বøক দিয়ে প্রতিরক্ষা প্রকল্প নির্মাণের মাধ্যমে কুশিয়ারা ডাইক রক্ষার জন্য এই বিশাল টাকার প্রকল্প গ্রহন করা হয়।

জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার (গভ: রেজিস্ট্রেশন নং ৬৩৭১) পত্রিকার নবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ  পেয়েছেন  তরুণ সাংবাদিক মোঃ সফিকুল ইসলাম নাহিদ। জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার  পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. খান আসাদুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক পত্রে সিলেট বিভাগের ইনচার্জ মো: বেলাল হাওলাদার, গত ১ জুলাই তাকে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ প্রদান করেন। ২০১৪ সাল থেকে সাংবাদিক মোঃ সফিকুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকতা শুরু করেন। ঢাকা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। ২০১৬ সালে হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকায় তার প্রথমে নামে সংবাদ প্রকাশ হয়  । পাশাপাশি ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রজন্মকন্ঠ জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি, জাতীয় দৈনিক একুশে সংবাদ এর নবীগঞ্জ প্রতিনিধি, জাতীয় দৈনিক গনবার্তা এর নবীগঞ্জ প্রতিনিধি, সিলেটের দৈনিক সুদিন এর নবীগঞ্জ প্রতিনিধি, বিজয়ের আলো টিভির নবীগঞ্জ প্রতিনিধি, দৈনিক নবীগঞ্জের ডাকের প্রধান প্রতিবেদক, হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি  তার পেশাগত দায়িত্ব পালনে হবিগঞ্জ জেলাসহ নবীগঞ্জ উপজেলার গণমাধ্যমকর্মীসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের  সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় সাংবাদিক মোঃ সফিকুল ইসলাম নাহিদ বলেন, সাংবাদিকতার আইকন, যার হাত ধরে আমার সাংবাদিকতার যাত্রা শুরু হয়। সাংবাদিকতা জগতের অন্যতম দিকপাল ও উজ্জ্বল নক্ষত্র মোঃ আলমগীর মিয়ার নিকট কৃতজ্ঞতা  প্রকাশ করেন।  আমার জানা মতে তিনি নীতি কিংবা আদর্শের কাছে কখনও মাথা নতো করেন নি। আমি তার অনুপ্রেরনা পেয়ে ছিলাম সাংবাদিকতা পেশায় এতদূরে আসতে পেরছি। মোঃ  আলমগীর মিয়া, সততা ও সাহসীকতার সাথে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে সাংবাদিকতা করে আজ তিনি দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক, কালের কণ্ঠ পত্রিকার নবীগঞ্জ প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করচ্ছেন।  যার হাত ধরে সাংবাদিকতায় আমার পথ চলা শুরু হয়। আমি আমার পেশাগত  জীবনে সকলের  সহযোগিতা কামনা করি।

নবীগঞ্জে বন্যায় কবলিত লোকজনের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।বৃহস্পতিবার দুপুরে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের আশ্রায় কেন্দ্র ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, ইনাতগঞ্জ মোস্তফাপুর দাখিল মাদ্রাসায় পানিবন্দী মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ-বাহুবলের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া,
জেলা প্রশাসক মোছাঃ জিলুফা সুলতানা,পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন,নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান চৌধুরী সেফু,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাস,সহকারী কসমশনার (ভূমি) শাহিন দেলোয়ার,ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইফুল জাহান চৌধুরী, নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী, ইউপি চেয়ারম্যান নোমান আহমেদ,সাংবাদিক রাকিল হোসেন, মোঃ আলমগীর মিয়া প্রমুখ। উল্লেখ্য মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত থেকে কুশিয়ারা ডাইক উপছে পানি প্রবেশ করছে। টানা বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নবীগঞ্জে বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে। দ্রুত বাড়ছে পানি।ইতিমধ্যে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী দীঘলবাক ইউনিয়ন,ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামসহ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘরে উঠেছে পানি। এখানকার জনজীবন হুমকীর মূখে রয়েছে। উপজেলার সকল হাওরাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।নবীগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যাওয়ায় জন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ইতিমধ্যে মঙ্গলবার রাত থেকে শেরপুর থেকে দীঘলবাক পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর ডাইক উপছে পানি প্রবেশ করছে। ফলে উপজেলার সর্বত্র ভয়াবহ বন্যার  আশংকা করছেন সর্ব মহল।

এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হাপাতালে সন্তান প্রসব করান, মা ও নবজাতকের জীবন বাঁচান”। এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে সীমান্তকি নতুন দিন প্রকল্পের  পরিচালনায় ইউ এস এ আই ডি ও সোস্যাল মার্কেটিং কোম্পানীর অর্থায়নে হবিগঞ্জ জেলার নবীগ্ঞ্জ উপজেলার সালামাতপুরে একটি বর্নাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভায় অনুষ্টিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় উপজেলা সুপারভাইজার মো: বেলাল হোসেন এর  সঞ্চালনায় উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলার ইউনাইটডে হসপিটারের গাইনী ডাঃ নাজনীন সুলতানা নিপা প্রকল্পের জেলা টিম লিডার জনাব মোঃ আলমগীর হোসেন,এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্যারামেডিক ঝুমা ও গর্ভবতী মায়েরা ও সাধারন জনগন। এছাড়াও সীমান্তিকের উদ্দোগে জেলার সকল উপজেলায় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন করা হয়।

  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« September 2024 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
            1
2 3 4 5 6 7 8
9 10 11 12 13 14 15
16 17 18 19 20 21 22
23 24 25 26 27 28 29
30