নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়া নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য সরকারি অনুমতি পেল ওয়াহিদ এন্টার প্রাইজ।২১ জানুয়ারি উপ-পরিচালক (তীর-ভূমি) মোঃ আবু সালেহ কাইয়ুমের সাক্ষরিত একটি পত্রে এই অনুমতি প্রদান করা হয়। নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পাহাড়পুর এলাকায় কুশিয়ারা নদীতে ড্রেজার মেশিন যন্ত্রপাতিসহ সেট করে মঙ্গলবার সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে বালু উত্তোলন কাজের শুভ উদ্বোধন করেন ওয়াহিদ এন্টার প্রাইজ এর সিইও ওয়াহেদুল করিম চৌধুরী। বিআইডব্লিউটিএ বরাবর আবেদনের প্রেক্ষিতে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার তাজাবাদ মৌজার খতিয়ান নং ০১ দাগ নং ১০০৩ এবং দীঘলবাক মৌজার খতিয়ান নং ০১ দাগ নং ০৮ ও ৫২০ ভূমি হতে প্রস্তাবিত তফসিল বর্ণিত এলাকা বালাগঞ্জ নদী বন্দরের সীমানাধীন বিধায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২৩) এবং বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০১১ অনুযায়ী অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ সময় ওয়াহিদ এন্টার প্রাইজের ম্যানেজিং পার্টনার মিজানুর রহমান বলেন,আমরা সরকারি রাজস্ব দিয়ে বালু উত্তোলনের কাজ শুরু করেছি।সরকার আমাদের অনুমতি দিয়েছে বালু উত্তোলন করে ৬ লাইনের রাস্তার কাজে বালু দেওয়ার জন্য। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার,নৌ পুলিশের কার্যালয়, পরিচালক হাইড্রোগ্রাফি,যুগ্ম পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)নৌ-সওজ বিভাগ,সমন্বয় কর্মকর্তা চেয়ারম্যান দপ্তর বাংলাদেশ অভন্ত্যরীণ নৌ-পরিবহন,ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীগঞ্জ থানা,ব্যক্তিগত সহকারী সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালন দপ্তর)অনুলিপি দিয়ে ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বালু উত্তোলনের কাজ শুরু করেছি। কাজের উদ্বোধনের পর ওয়াহিদ এন্টার প্রাইজ এর সিইও ওয়াহেদুল করিম চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ছিল। আমরা গত ২১ জানুয়ারি বালু উত্তোলনের জন্য সরকারি অনুমতি পেয়েছি।
নবীগঞ্জে মাটি কাটার দায়ে ৪ ব্যক্তিকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে জরিমানার ১ লক্ষ টাকা আদায় সাপেক্ষে তাদেরকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার মাধবপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রির হিড়িক পড়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ হয়। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার করগাওঁ ইউনিয়নের মাধবপুর এলাকায় ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ঘোলডুবা গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল বারিকের ছেলে মোঃ নাজমুল হোসেন নজরুল জমি থেকে মাটি কেটে পরিবেশ বিনষ্ট করছেন অভিযোগের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সময় ৪ জন শ্রমিককে আটক করেন। পরে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫ (১) ধারা ও পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ৬(ঙ) ধারা দঃ বিঃ ১৮৬০ এর ১০৮৬ ধারায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল জরিমানার টাকা পরিশোধ করলে আটককৃতদের মুক্তি দেয়া হয়েছে। অভিযান ও জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন।
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈ (পূর্ব) ইউনিয়নে মাজারের ওরসের নামে অশ্লীল গান-বাজনা ও মাদক সেবন বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। ওরসের নামে অশ্লীল গান-বাজনা ও মদ গাজা সেবনের আসর বন্ধ করার জন্য গ্রামের সচেতন শতাধিক যুবক প্রতিবাদ করার উদ্যোগ গ্রহন করেছে। নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈ (পূর্ব) ইউনিয়নে হরিনগর গ্রামে প্রতি বছর ১৫ই মাঘ (২৯ জানুয়ারী ২০২৫) ওরসের নামে অশ্লীল গান-বাজনা ও মদ গাজা সেবনের আসর বসে। প্রতি বছরের ন্যায় সরজান বিবি জিন্দাপীর নামে মাজারের নামে গান বাজনার আয়োজন করেন।গানকে কেন্দ্র করে অশ্লীল নাচগান, জুয়া, মাদমসহ অসামাজিক কর্মকাণ্ড- সংগঠিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় মুসলিম জনতা ফুসে উঠেছে, গান বন্ধে বার বার আহ্বান জানালেও কোনো সুরাহা হয়নি। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন বরাবর ওরসের নামে গান-বাজনা বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসীর স্বাক্ষরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।এ অশ্লীল কাজ বন্ধ না হলে গ্রামে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সম্ভাবনা রযেছে।এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নবীগঞ্জে কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলন নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে আউশকান্দি ইউপির পাহাড়পুর এলাকায় ঐ ঘটনাটি ঘটে। এতে এমরান আলী নামের একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- ওয়াহিদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান সরকারিভাবে অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে পাহাড়পুর এলাকায় কুশিয়ারা নদীতে ড্রেজার মেশিন যন্ত্রপাতিসহ সেট করে বালু উত্তোলন এর কাজের উদ্ভোধন করে। এ সময় নবীগঞ্জ উপজেলার পারকুল গ্রামের হেলাল মিয়া (৩৮), রিপন মিয়া (৩৩), মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হামরকোনা গ্রামের আহমদ (৪২), মিন্টু মিয়া (৩৫) সহ অজ্ঞাতনামা ২৫ থেকে ৩০জন লোকজন বালু উত্তোলনে নিষেধ ও ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এতে ওয়াহিদ এন্টার প্রাইজের পক্ষে বাধা প্রদান করলে বালু উত্তোলনের ড্রেজারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতির মালিক এমরান আলীর উপর হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর আহত হন এমরান আলী। সেে সময় বালু উত্তোলনের ৬০ হাজার টাকা সমমূল্যের পাইপ নিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক এমরান আলীকে নবীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন-অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করব।
নবীগঞ্জ উপজেলার ৭নং করগাও ইউনিয়ন বিএনপির বর্ধিত সভার আহবান করেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। শুক্রবার ইউনিয়নের শাকুয়া বাজারে দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে সভার আহবান করা হয়। সভাপতি সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে করগাও ইউনিয়ন বিএনপির ৭১ সদস্য অনুমোদিত কমিটির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার আক্কেল আলী, ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছমিরুল হককে এই বর্ধিত সভার দাওয়াত দেওয়া হয়নি। কি কারনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদককে না জানিয়ে সভার আহবান করা হলো তা জানতে চান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজতাহিদ উদ্দিনের কাছে কমিটির প্রচার সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম সমুন। জবাবে সাধারণ সম্পাদক মুজতাহিদ উদ্দিন বলেন সভাপতি সম্পাদক বর্ধিত সভার আহবান করতে পারেন এবং তাদের সিদ্ধান্তই সংগঠনের কার্যক্রম চলবে বলে তিনি জানান। বিষয়টি সকল নেতাকর্মী কাছে জানা জানি হলে এই নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীসহ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়। দলীয় বিভক্তি কোন্দল নিরসনের জন্য প্রচার সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম সুমন বিষয়টি সমধান করে সকল নেতাকর্মী নিয়ে যাহাতে বর্ধিত সভাটি সুন্দর ভাবে পরিচলানা করা যায় সে জন্য তিনি সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজতাহিদ উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মাষ্টার আক্কেল আলী, ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছমিরুল হক নিয়ে এক টেবিলে বসে সমাধান করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে এ নিয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সরফরাজ আহমদ চৌধুরীকে বিষয়টি অবগত করা হয়। তারা কোন সমধান না পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক সকল সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ওই বর্ধিত সভা না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কমিটির অনুমোদনের প্রায় ৩ বছর পরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মনগড়া তারিখে প্রথম কোন সভার আহবান করায় ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ৫৪ সদস্যর অনুপস্থিতে মাত্র ১৭ জন দলীয় সদস্য নিয়ে বর্ধিত সভা করছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ৫৪ সদস্যর অনুপস্থিত থাকায় ওই বর্ধিত সভার মিটিং নিয়ে এলাকাসহ শহর জুড়ে আলোচনা সমালোচনা ঝড় বইছে। করগাও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার আক্কেল আলী বলেন, কমিটির সাধারন সম্পাদক মুজতাহিদ উদ্দিন ও সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান তারা দুজন মনগড়া একক সিদ্ধান্ত বর্ধিত সভা আহবান করায় দলীয় নেতাকর্মী তা প্রত্যখান করেন। সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছমিরুল হক বলেন মিটিংয়ের তারিখ নিধারন করার আগে আমরা সুপার ৫ এবং দলীয় সিনিয়র নেতাকর্মীসহ বসে একটা তারিখ নির্ধারণ করা পরামর্শ দেই এসময় সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজতাহিদ উদ্দিন বলেন এখানে কারো প্রয়োজন নেই দলীয় মিটিং সভাপতি সম্পাদক বসে তারিখ করতে পারে ওই মিটিং কেউ না আসলে তাতে দলের কোন ক্ষতি হবে না। এখবর দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে পৌঁছলে দলীয় নেতাকর্মীরা ওই বর্ধিত সভা প্রত্যখান করেন। কি কারনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদককে দাওয়াত হয়নি এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহ সভাপতি মোঃ আবু সুফিয়ান বলেন তাদেরকে সাধারন সম্পাদক ফোন দিয়েছিলেন তারা ফোন রিসিভ করেনি।
নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বুরহানপুর গ্রামে বুরহানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সরকারি জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে বাওয়ালি ফসল চাষ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হোসেন চঞ্চল মিয়া তার আত্নীয় স্বজনের বিরুদ্ধে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খালি জায়গা জবর দখল করার অভিযোগ করেন গ্রামবাসী। জায়গাটি বিগত ৫ বছর যাবৎ দখল করে রেখেছেন বুরহানপুর গ্রামের মজিবুর রহমান তফু উল্লাহ পুত্র আবুল হোসেন চঞ্চল আকবর হোসেন জুনেদ, আবুল হোসেনর পুত্র সেজু আহমদ, সেফু আহমদ, সঞ্জব আলী পুত্র সানুর মিয়া ও আমিনুর মিয়াগংরা। সরকারি জায়গা অবৈধ ভাবে দখলদারের কাছ থেকে উদ্ধার করতে গ্রামবাসীরা একাধিকবার গ্রাম্য-বিচার সালিশে চেষ্টা করেন। দখলদার চঞ্চল মিয়া গ্রাম্য বিচার সালিশে শুক্রবারে জায়গা খালি করে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু তিনি জায়গা খালি না করে উক্ত জায়গায় পাকা পিলার ও বাঁশের বেড়া দিয়ে বাওয়ালি ফসল চাষ করছেন। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনা ঝড় বইছে। এলাকাবাসীর দাবী সরকারি স্কুলের জায়গা ভরাট করে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ ও বুরহানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলার করার পরিবেশে করে দিবেন গ্রামবাসী। সরকারী জায়গা গ্রামবাসীর ছাড়তে গেলে কথা বললেই দখলদার প্রভাবশালী লাঠিয়াল বাহিনীদের সাথে দাঙ্গা হাঙ্গামাসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকায় রয়েছে। তাই এলাকাবাসী দ্রুত ভূমি চক্রকারীদের কাছ থেকে সরকারি স্কুলের জায়গা দখল উচ্ছেদ করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।