Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Monday, 29 April 2024

Monday, 08 April 2024

নবীগঞ্জ উপজেলার ফার্মাসিউক্যালস্ রিপ্রেজেন্টেটিভ এসোসিয়েশন (ফারিয়া)’র সভাপতি মোঃ গোলাম রহমান লিমন এর উদ্দ্যোগে ও ম্যানাজার এসোসিয়েশনের সমন্বয়ে নবীগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট, মিম্বর টাওয়ারের ৩য় তলায়, বিবিয়ানা চাইনিজ এন্ড পার্টি সেন্টারে গত শনিবার এক ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন মিঠু (সিলেট মিরর), সাবেক সভাপতি এটিএম সালাম (যায়যায়দিন), নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া (কালের কন্ঠ) ও ক্বারী মোঃ আবু বক্কর।  ইফতার ও দোয়া মাহফিলের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন এরিয়া ম্যানাজার মোঃ হুমায়ুন কবির (ইনসেপ্টা), আবু হানিফ (রেনেটা), আব্দুল হামিদ (এপেক্স)।  সার্বিক সহযোগীতায় মোঃ ফখরুল ইসলাম (এসকেএফ), এচাহাক আলী (নিপা ফার্মা)। এমপিওদের মধ্যে মাসুদ তালুকদার (লীড ফার্মা), হাকিম নজরুল ইসলাম (ফেনী দাওয়াখানা), রুবেল রানা (রেডিয়েন্ট), বিনয় কুমার (সোমাটেক), কিরন দেব (এপেক্স), গৌতম চন্দ্র দেব (কনকর্ড)।  ম্যানাজার এসোসিয়েশনের মধ্যে আরো যারা উপস্থিত ছিলেন ইমানুর রহমান (একমি), হজরত আলী (নাভানা), হাফিজুর রহমান (পপুলার), ঊজ্জ্বল কুমার মোদক (কুমুদিনী), শাহিনুর রহমান (এরিস্ট্রো ফার্মা), আরিফুল ইসলাম (ড্রাগ), এমডি মুর্শেদুল আলম (হেলথ কেয়ার), মোঃ জাকারিয়া (জিসকা), লোকমান মিয়া (গেøাভ), আকরাম হোসেন (এলকো), নয়ন মনি সরকার (সিলকো), দীনেশ রঞ্জন দাশ (ওয়ান ফার্মা)। ফারিয়া’র সদস্যদের মধ্যে লুৎফুর রহমান (টীম), আরব আলী, দুলাল উদ্দিন, মতিউর রহমান (স্কয়ার), আশরাফুল, তৌহিদুল ইসলাম, আলমগীর মিয়া (এসকেএফ), আল মামুন (ইনসেপ্টা), বেনজির খাঁন, ইমন আহমেদ (বেক্সিমকো), মোশাহিদ আলী, রমজান আলী, আসাদুজ্জামান, হাবিবুর রহমান, ইমরান আহমেদ, আইয়ূব আলী (রেনেটা), মুমিন মিয়া, ইব্রাহিম, আবু রায়হান, মোঃ সেলিম (এসিআই), রুবেল রানা- ২, শরিফ উদ্দিন, আব্দুল হাদী, নাজমুল হক (রেডিয়েন্ট), মোঃ হুমায়ুন কবির, মোঃ রাজু আহমেদ (ড্রাগ), মহসিন আলী, জাহাঙ্গীর (অপসোনীন), সুব্রত ঘোষ (একমি), সাইফুল (পপুলার), সানি খন্দকার (হেলথ কেয়ার), রাজিব চক্রবর্তী (এরিস্ট্রো ফার্মা), রবিউল ইসলাম (ইউনিমেট হেলথ), মিজান (জিসকা), বাপ্পী (ওয়ান ফার্মা), রাশেদুল আলম, রুবেল হোসেন (ইবনে সিনা), আব্দুর রাজ্জাক (নাভানা)।  পরিশেষে সকল এরিয়া ম্যানাজার, বিশেষ অতিথি ও ফারিয়া’র সদস্যগণ উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অত্যান্ত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে আয়োজন করার  জন্য ফারিয়ার সভাপতি মো: গোলাম রহমান লিমনকে ধন্যবাদ জানান।

Published in Local News

পরিবার ছেড়ে বিদেশে যাওয়া দেশের অধিকাংশ অভিবাসী নারী গৃহকর্মী হচ্ছেন নির্যাতনের শিকার। দেশে ফেরার পর তাদের মুখে নির্যাতনের ভয়ংকর বর্ণনা শুনে আতঙ্ক জাগে মনে। নির্যাতিত যেসব নারী পালিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন, তাদের শরীরেও নির্যাতনের ছাপ স্পষ্ট। দেশে ফিরে তারা তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ নির্যাতনের বিষয়ে মুখ খুললেও অধিকাংশই সামাজিক কারণে মুখ বন্ধ রাখেন।
সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে নিয়োগ কর্তার নির্যাতনে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে দেশে ফিরেছেন নবীগঞ্জ উপজেলার রাবিয়া খাতুন (৩৮)। অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ রাবিয়া দেশে ফেরার পর পরিবারকে খুঁজে পাওয়া দুস্কর হয়ে দাঁড়ায়। অবশেষে গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবারের কাছে রাবিয়া খাতুনকে হস্তান্তর করেছে ব্র্যাক লার্নিং সেন্টার।
গত শনিবার (০৬ এপ্রিল) বিকেলে সৌদি ফেরত রাবিয়া খাতুন (৩৮)-কে নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার সদরাবাদ গ্রামে নিজ বাড়িতে ফেরে তার পরিবার। রাবিয়া খাতুন নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের সদরাবাদ গ্রামের নবির হোসেনের মেয়ে ও কাজল উল্লাহর স্ত্রী। রাবিয়া খাতুনের পরিবার ও ব্র্যাক সূত্রে জানা যায়- পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে ২০২২ সালে রিক্রুটিং এজেন্সি দ্য ইফতি ওভারসিজ (আরএল-৮৯৪) মাধ্যমে সৌদি আরবে গৃহপরিচারিকার ভিসায় পাড়ি জমান রাবিয়া খাতুন। সেখানে যাওয়ার পর রাবিয়া খাতুনের জীবনে নেমে আসে দুর্বিষহ নির্যাতন। প্রতিনিয়ত নিয়োগকর্তার নির্যাতনে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাবিয়া। বন্ধ হয়ে যায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ। গত বুধবার (০৩ এপ্রিল) রাতে সৌদি আরব থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফেরেন রাবিয়া খাতুন। রাতে বিমানবন্দরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছিলেন রাবিয়া। বৃহস্পতিবার সকালে রাবিয়াকে ক্যানপিতে ল্যহীন চলাফেরা করতে দেখে এপিবিএন সদস্যরা তাদের অফিসে নিয়ে যান। তবে তার কাছে কারও মোবাইল নম্বর বা কোনো তথ্য না থাকায় পরিবার খুঁজে নিরাপদে হস্তান্তরের জন্য এপিবিএন সদস্যরা তাকে ঢাকার আশকোনার ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারে পাঠান। রাবিয়ার পরিবারের সন্ধান পেতে ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার মোঃ আল আমিন নয়ন গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়তা চান। পরে হবিগঞ্জের স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী-জনপ্রতিনিধিদের ও সচেতন কিছু যুবকের প্রচেষ্ঠার ফলে রাবিয়া খাতুনের পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়। ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার মোঃ আল আমিন নয়নের সঙ্গে যোগাযোগ হয় রাবিয়া খাতুনের পরিবারের। মায়ের সন্ধান পেয়ে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতেই রাবিয়া খাতুনের মেয়ে তাছলিমা আক্তার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের কর্মকর্তারা রাবিয়া খাতুনকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। শনিবার বিকেলে সৌদি ফেরত রাবিয়া খাতুন (৩৮)-কে নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার সদরাবাদ গ্রামে নিজ বাড়িতে ফেরে তার পরিবার। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের রয়েছে আলাদা অভিবাসন কর্মসূচি। প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সাত বছরে ৭১৪ নারীশ্রমিকের লাশ এসেছে দেশে। যার মধ্যে ‘স্বাভাবিক’ মৃত্যুর সনদ লেখা লাশের সংখ্যা ২৬২। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে সৌদি আরব, জর্দান, লেবানন ও ওমানে। এই সময়ে মারা গিয়েছেন সৌদি আরবে ২০২ জন, জর্দানে ৯৬ জন, লেবাননে ৭৮ জন ও ওমানে ৫৮ জন। সালের হিসেবে ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মৃত্যু ঘটেছিল ২০২৯ সালে, ১৩৯ জন। এ ছাড়াও ২০১৬ সালে ৫২ জন, ২০১৭ সালে ৯৪, ২০১৮ সালে ১১০, ২০১৯ সালে ১৩৯, ২০২০ সালে ৮০, ২০২১ সালে ১২২ এবং ২০২২ সালে ১১৭ জন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৩৭ শতাংশ ছিল স্বাভাবিক মৃত্যু। এ ছাড়াও মস্তিষ্কে রক্তরক্ষণজনিত ১৯ শতাংশ, আত্মহত্যা ১৬, দুর্ঘটনা ১৫ এবং অন্যান্য কারণে ১৩ শতাংশ নারীশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বছরে গড়ে তিন থেকে চার হাজার নারী ফিরতে বাধ্য হন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১২ লাখ নারী শ্রমিক বিদেশে গেছেন। অতিরিক্ত কাজের চাপ, শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের কারণে দেশে ফিরে আসেন তাদের অনেকেই। বিদেশে নির্যাতনের কারনে মারা যান অনেক নারী কর্মী। মৃত নারী শ্রমিকের পরিবারের সদস্যসহ অভিবাসন-বিশেষজ্ঞরা মৃত্যুর এই কারণ বা অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন। রাবিয়া খাতুনের স্বামী কাজল উল্লাহ বলেন- আমার স্ত্রী সৌদি আরব যাওয়ার পর মাঝেমধ্যে যোগাযোগ হয়েছিল, যাওয়ার পর থেকে তার উপর নানাভাবে নির্যাতন করে নিয়োগকর্তা। বিগত ১ মাস ধরে আমার স্ত্রী রাবিয়াকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিলনা, আমরা খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেলাম আমার স্ত্রী দেশে এসেছে, ঢাকায় ব্র্যাক সেন্টারে আছে। পরে আমার মেয়ে ঢাকায় গিয়ে আমার স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে। তিনি জানান- রাবিয়া প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে, তার চিকিৎসা প্রয়োজন। কাজল উল্লাহ তাঁর স্ত্রীর উপর ঘটে যাওয়া অমানুষিক নির্যাতনের বিচার দাবী করে নারীদের প্রবাসে পাড়ি জমাতে সতর্ক হওয়ার অনুরোধ জানান। ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার মো. আল আমিন নয়ন বলেন, ‘রাবিয়া আমাদের বলেছেন, তিনি সৌদিতে নিয়োগকর্তার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। তাই তাকে একা বাড়ি পাঠাতে পারিনি। গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়তায় তার পরিবারের সন্ধান পাই। পরে শনিবার রাবিয়ার পরিবারের কাছে রাবিয়াকে হস্তান্তর করি।

Published in Local News
  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« April 2024 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
1 2 3 4 5 6 7
8 9 10 11 12 13 14
15 16 17 18 19 20 21
22 23 24 25 26 27 28
29 30