Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Sunday, 03 December 2023

Local News

Local News (91)

নবীগঞ্জ শহরের চৌদ্দ হাজারী মার্কেটে শুক্রবার সকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের প্রায় ৩০ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি দোকান মালিকের। শুক্রবার (০৬ অক্টোবর ) সাড়ে ৬ টার দিকে নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডে চৌদ্দ হাজারী মার্কেটের প্রথম দোকান মা ক্লথ স্টোর নামক একটি কাপড়ের দোকানে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। দোকানের স্বত্বাধিকারী সন্তোষ দেব এর বড় ছেলে পলাশ দেব জানান , এই দুর্ঘটনায় তার দোকানের প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। নবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ দোকানটি ব্যবসায়ী, সাংবাদিক জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেনী  পেশার লোকজন পরিদর্শন করেন।

হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির অভিভাবক কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছ ও হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের বিপ্লবী আহ্বায়ক জালাল আহমেদ এর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে হবিগঞ্জ জেলা যুবদল। রবিবার বিকালে শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মিজানুর রহমান সুমনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি শাহ মশিউর রহমান কামাল, হবিগঞ্জ জেলা যুবদল নেতা মোঃ দুলাল মিয়া, মনজুর উদ্দিন মনজু, জালাল উদ্দিন সজলু, মোঃ জমির আলী, মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, হোসাইন আহমদ রানা, শাহনুর রহমান আকাশ, আঃ কাইয়ুম, মোঃ মকসুদ আলী, মোঃ মাসুক মিয়া, তৌকির আহমেদ জিয়া, আঃ হান্নান নানু, মোঃ আলমগীর মিয়া, এমদাদুল হক মিলন, মোঃ মোশাহিদ আলী, আমিনুল ইসলাম আখন্জী, মাহবুবুল আলম মালু, কবির খাঁন চৌধুরী, সাদেকুর রহমান লিটন, লুৎফুর রহমান জালাল, মোঃ অনু মিয়া, ফজলুর রহমান ফজলু, জাহিদ হাসান কবির, কামরুল হাসান মাসুম, হাজ্বী শাহিন মিয়া, ওয়াহিদ মুরাদ, জয়নাল আবেদীন, মোঃ তাউছ আহমেদ,নজরুল গাজী, মোত্তাকিন আহমেদ জয়নাল, তুষার রায় , নরোত্তম দাস, এম হামিদুর রহমান হামিদ , শেখ জাকারিয়া, শামীম আহমেদ নাসির, নুরুল আমিন, সাইফুল ইসলাম সাইফ, আল আমিন আহমেদ, রায়হানুল বারী, নিয়াজ আহমেদ , কাওসার আহমেদ, শাহ লিমন, মিজানুর রহমান ইলিয়াস, মোঃ রওশন মিয়া, মাসুদুর রহমান মাসুক, আমিনুল হক, জিয়াউর খাঁ, নাসির উদ্দিন আফরুজ, আবুল হাসান আসাদ, আফজাল খাঁন,  মনিরুজ্জামান চৌধুরী, মোরাদুজ্জামান মাসুম, মাসুক মিয়া, এখলাছুর রহমান সিরাজী, মোঃ কাউছার মিয়া, মাহফুজ মিয়া , সাউয়াল মিয়া , কাইয়ুম মিয়া, বোরহান মিয়া, মামুন মিয়া, মোঃ তারা মিয়া, সাওয়াল হোসেন, সোহেল খাঁন, মহিউদ্দিন আহমেদ রিদয়, নাসির হোসেন, অলিউর মিয়া, শাহজাহান মিয়া, মোতালিব মিয়া, সাবাজুল মিয়া, রাকিব হাসান, সেলিম মিয়া, জাকির হোসেন , শেখ মোত্তাকিন, আসকির মিয়া, মহিবুল আলম দুলাল, বাবলু সরকার, সুরুজ্জামান, চাঁন মিয়া, ফজলু মিয়া,মুবাসির আলম, তুহিন, মিজান মিয়া, রাসেল আহমেদ আসুক, মনির মিয়া, সুবেল মিয়া, আকাশ, মিদুল, হাদিস, মাহমুদুল, রায়হান, মনু মিয়া,ওবায়দুল, অনিক, আব্দুল্লাহ মিয়া, হাসন মিয়া, জাবের মিয়া, আব্দুল করিম, বাচ্চু মিয়া, মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়া, আঃ রকিব, ফুল মিয়া, সফিকুল ইসলাম নাহিদ, জুবায়ের আহমদ, জিয়া আহমদ, রাজ্জাক মিয়া, জুবেদ আলী, সুরুজ আলী, মাসুম আহমদ, কলমদর মিয়া, জুবেদ আলী, আকবর মিয়া, আনোয়ার আহমদ, জুয়েল মিয়া, রুহেল মিয়া, কলিম মিয়া, মুন্না মিয়া, টিটু মিয়া, জুলহাস মিয়া, রাহেল মিয়া, আব্দুল হাই, রাসেল আহমদ, আবু তাহের, সুয়েব মিয়া, আব্দুল মজিদ, নয়ন মিয়া, মুন্না (২), এমরান মিয়া, আকিল মিয়া, আবজল মিয়া, রাসেল মিয়া, রাজু আহমদ, সাইফুল মুন্সি, সোহাগ, রুবেল, সুমন, সাকিব মিয়া, সুহেল আহমদ, মতিউর রহমান, আবু মিয়া, তারেক আহমদ, তুহিন আলম রেজুয়ান, ইসলাম উদ্দিন, সুজাত মিয়া, ফরিদ মিয়া, আকবর আলী, কাজল মিয়া,জিয়াউর রহমান,আবুল কালাম, ফজলু মিয়া,সাইফুল ইসলাম টিপু, ফজলুর রহমান সুহেল,নাসিম হোসাইন,আকমল হোসাইন,আবু তাহের,এরশাদ মিয়া,নাহিদ,আকতার মিয়া,আব্দুল মুকিত, অলি, টিপু, শহিদুর, ইউসুফ, আব্দুল মন্নান,আল আমিন, আব্দুল্লাহ, হর কুমার, আলউদ্দিন, আশিকুর রহমান, জিহাদ, ফুল মিয়া, সারোয়ার,তাপস, কাউছার মিয়া, লিটন মিয়া, সাদেক মিয়া, রাসেল মিয়া, সেলিম মিয়া, ইমান উদ্দিন, ওয়াহিদ মিয়া, মাসুম মিয়া,প্রমূখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন আলহাজ্ব জি কে গউছ ও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল আহমেদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে নতুবা হবিগঞ্জের যুবসমাজ আপামর জনসাধারণ কে সাথে নিয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।

নবীগঞ্জ উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে নবীগঞ্জ থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলীর মতবিনিময় ও পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নবীগঞ্জ থানা কমপ্লেক্সর গোলঘরে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, ওসি (তদন্ত) মোঃ গোলাম মুর্শেদ, ওসি অপারেশন মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক এস.আর চৌধুরী সেলিম, ফখরুল আহসান চৌধুরী, মোঃ আনোয়ার হোসেন মিঠু, সাইফুল জাহান চৌধুরী, বিবিয়ানা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক সভাপতি এটি.এম সালাম, রাকিল হোসেন, মুরাদ আহমদ, সরওয়ার শিকদার, সিনিয়র সাংবাদিক সুবিনয় রায় বাপ্পি, সময় পত্রিকার প্রকাশ ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোঃ সেলিম তালুকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া ও মুহিবুর রহমান চৌধুরী তছনু, সাবেক সহ-সভাপতি শাহ সুলতান আহমদ ও এম.এ মুহিত এবং এম মুজিবুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ আবু তালেব, মুহিবুর রহমান, মোহাম্মদ আলী লেদু, সলিল বরন দাশ, এটি.এম জাকিরুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চৌধুরী শামীম ও তৌহিদ চৌধুরী, অলিউর রহমান, মোজাহিদ আলম চৌধুরী, মোঃ নাবেদ মিয়া, ছনি চৌধুরী, ফোয়াদ হাসান রাজন, অঞ্জন রায়, আলাল মিয়া, হাসান চৌধুরী,সফিকুল ইসলাম নাহিদ,নাজমুল ইসলাম সাগর,স্বপন রবি দাস, তুহিন  আলম রেজুয়ান, প্রমূখ। মতবিনিময় সভায় বক্তারা নবীগঞ্জ থানার সদ্য বিদায়ী ওসি ডালিম আহমেদের প্রশংসা করে বলেন, নবীগঞ্জ থানার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক, মাদক নির্মূল, নারী নির্যাতন প্রতিরোধসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড প্রতিরোধে বর্তমান ওসি মাসুক আলী বলিষ্ট ভ'মিকা গ্রহন করবেন বলে মত প্রকাশ করেন।

নবীগঞ্জ থানার নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মোঃ মাসুক আলী। বুধবার রাতে নবীগঞ্জ থানার বিদায়ী ওসি মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ নতুন ওসি মো. মাসুক আলীর কাছে অনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। ইতিপূর্বে ওসি মো. মাসুক আলী আজমিরীগঞ্জ থানা, হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা ও বাহুবল থানায় কর্মরত ছিলেন। দায়িত্বভার গ্রহণ করে নবীগঞ্জ থানার নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসুক আলী বলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যেকটি নাগরিক যাতে পুলিশি সেবা নির্বিঘ্ন্নে পেতে পারেন এবং জনসাধারণ যাতে কোনো ধরণের হয়রানির শিকার না হন সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবো। এছাড়া নবীগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা জনসাধারণের শান্তি-সেবা নিশ্চিত করণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। উল্লেখ্য- গত ২৩ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে আজমিরীগঞ্জ থানার (ওসি) মো. মাসুক আলীকে নবীগঞ্জ থানায় বদলি করা হয় ও নবীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ ডালিম আহমেদকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলায় নবীগঞ্জ উপজেলার বতর্মান ও সাবেক তিন ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিএনপির ১২ জন নেতাকর্মীর জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী তাদের জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
কারাগারে যাওয়া নেতাকর্মীরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খালেদ আহমদ পাঠান, বাউসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ ছাদিকুর রহমান শিশু, উপলেজলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফুলকাছ মিয়া, নবীগঞ্জ সদর ইউপি বিএনপির সভাপতি এনাম উদ্দিন, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ওয়াহিদুজ্জামান জুয়েল, উপজেলা যুবদল নেতা শেখ শিপন মিয়া, পৌর যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এমদাদুর রহমান লেবু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মকবুল চৌধুরী, আউশকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির অন্যতম সদস্য শফিকুজ্জামান রুহেল, দেবপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি বকুল মিয়া, নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য জামিল আহমেদ।
জানা যায়- ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সমাবেশের পূর্বে নবীগঞ্জ পৌরসভার ছালামতপুর এলাকাস্থ হাজারী কমিউনিটি সেন্টারের পাশে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে তৎক্ষালিক নবীগঞ্জ থানার এসআই গৌতম সরকার বাদী হয়ে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এতে সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া, নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছাবির আহমেদ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান চৌধুরী সেফুসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী দিয়ে মামলা দায়ের করা হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে ওই মামলায় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিএনপির নেতাকর্মীরা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামীপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে হবিগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপি নেতা তানহা চৌধুরী তালহা বলেন  বলেন- গায়েবি মামলায় বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে সেটা সত্যিই খুব দুঃখজনক। আমি এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে কারাবন্দি  হবিগঞ্জ বিএনপির কর্নধার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছসহ সকল নেতাকর্মী মুক্তির দাবী করছি।

নবীগঞ্জ উপজেলায় একাধিক চুরির মামলার পলাতক দুই আসামীসহ ওয়ারেন্টভূক্ত এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ। গত রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে কালিয়ার ভাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। এবং বনগাঁরও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামীকে করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কালিয়ার ভাঙ্গা ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের কাছুম মিয়ার পুত্র মোঃ মিজানুর রহমান (২৩), রামপুর গ্রামের মৃত ছুয়াব উল্লাহর পুত্র মোফাজ্জল হোসেন (৩২), ও ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামী হলো, বনগাঁও গ্রামের আকিব মিয়ার পুত্র রিমন মিয়া কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ডালিম আহমেদ এর দিকনির্দেশনায় এএসআই জামাল হোসেন সরকার এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ডালিম আহমেদ, গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন সোমবার সকালে তাদের হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছের কারামুক্তি কা কামনায় শনিবার নবীগঞ্জ পৌর যুবদলের উদ্দ্যেগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। শনিবার বাদ যোহর নবীগঞ্জ দারুল উলুম মাদ্রাসা মজসিদে জেলা যুবদলের আহব্বায়ক জালাল আহমেদ এর দিক নিদের্শনায় কারামুক্তি কামনায়  দোয়া ও মিলাদ মাহফিল  অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পূর্বে বক্তব্য নবীগঞ্জ পৌর যুবদলের আহবায়ক মোঃ আলমগীর মিয়া বলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ  হবিগঞ্জ বাসীর এবং আমাদের আশা-ভরসার একমাত্র প্রতীক। তিনি জুলুম অত্যচার নিপীড়ন সহ্য করে  জীবনে সংগ্রাম, যুদ্ধ, করে রাজনীতি করেছেন। এমন একটি নৈতিকতার মানদণ্ড তিনি তৈরি করেছেন জনগনের কাছে, যে ওয়াদা দেন সেই ওয়াদা থেকে কোনোদিন সরে আসেননি। তিনি সব সময় জনগনের কাছে তাদের অধিকার আদায়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিলেন। জি কে গউছকে বন্দি করে রেখে অবৈধ সরকার অবৈধ কার্যক্রম করছে। শেখ হাসিনা হবিগঞ্জের মাটিতে তাকে ভয় পায় বলেই  কারাবন্দি করে রেখেছে। এসম উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের ১ম যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদিন,পৌর যুবদলের সদস্য ফুল মিয়া, ওয়াহিদ মিয়া, ইসলাম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর মিয়া, হাসান চৌধুরী, সফিকুল ইসলাম নাহিদ, রেজুয়ান আলম তুহিন, ছাইম উদ্দিন, জিয়া উদ্দিন,জুবায়ের মিয়া, প্রমুখ। আমারা তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।

নবীগঞ্জ উপজেলা বাউসা ইউনিয়নের  বার বার নির্বাচিত বর্তমান ইউপি সদস্য নুরুল হক (৪৮) হঠাৎহৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিলেt নর্থইষ্ট  মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তিনি  তার মা ২ পুত্র সন্তান, ও স্ত্রীসহ অসংখ্য অত্নীয় স্বজন রেখে যান। আজ  বিকেল ২:৩০ মিনিটে সুজাপুর ঈদগাহ মাঠ প্রাঙ্গনে মরহুমের যানাজার নামায অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান ইউপি সদস্য নুরুল হকের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বাউসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাদিকুর রহমান শিশু। এসময় তিনি বলেন নুরুল হক মেম্বার একজন ভালো মনের মানুষ ছিলেন তিনি পরিষদের  ইউনিয়নে পরিষদের সকল কার্যক্রম আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছিলেন। আমি তার মৃত্যতে মর্মাহত এবং তার পরিবারের সদস্য ও তার ২ অবুঝ সন্তানদের প্রতি গভীর সমবেদনা শোক সন্তপ্ত পরিবারের যাহাতে এই শোক কাটিয়ে উঠেন সে জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া কামনা করি। মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ইউনিয়নবাসী সহ দেশ বিদেশে অবস্থানরত সবার কাছে চাই। এবং আল্লাহ যেন তার সকল ভূলগুলো ক্ষমা করে জান্নাত বাসী করেন। 

হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুন্ন করা এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে অব্যাহতি দিয়ে জেলা ছাত্রলীগকে অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান রবিন। তিনি জানান, রোববার রাত ১১টার দিকে তাকে অব্যাহতি দিয়ে পত্র দেয়া হয়েছে। তবে তার স্থলে কাউকে এখনও ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হয়নি।অব্যাহতি পত্রে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় এমন এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. মোশারফ হোসেনকে (সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, হবিগঞ্জ জেলা শাখা) তার স্বীয় পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। উল্লেখ্য, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পী’র ৩ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের একটি আপত্তিকর ভিডিও শুক্রবার ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পী অজ্ঞাত এক যুবতীর সাথে ভিডিও কলে কথা বলছেন এবং তাকে উড়ো কিস করছেন। তখন ওই যুবতী নেচে নেচে বিবস্ত্র হয়ে গোসল করছেন। এ অবস্থায় বাপ্পীও নগ্নতায় জড়িয়ে পরেন। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ওয়াটসঅ্যাপে ভিডিওটি একে অপরের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি ভাইরাল হলে জেলাজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। পাশাপাশি ছাত্রলীগ পরিবারে ক্ষোভ দেখা দেয়। এদিকে ছাত্রলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পী ফেইসবুকের ৭টি আইডি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মনোনীত হওয়ার পর থেকে তিনি সততার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, তার ছবি এডিট করে ভিডিও তৈরী করে কুরুচিপুর্ণ কথা বার্তা লিখে ওই ৭টি আইডির মাধ্যমে পোস্ট করে সামাজিকভাবে তাকে হেয় করা হয়েছে এবং ওই আইডির ব্যক্তিরা তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।

নবীগঞ্জ উপজেলায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের সদরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত দুই শিশু হলো- সদরাবাদ গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন (৮) ও বাবুল হোসেনের ছেলে রাফি আহমেদ (৬)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- সদরাবাদ গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন (৮) ও বাবুল হোসেনের ছেলে রাফি আহমেদ (৬) পরিবারের সদস্যদের অগোচরে পার্শ্ববর্তী সামাদ মিয়ার পুকুরে গোসল করতে নেমে পানির নীচে তলিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য স্থানে তাদের না পেয়ে সামাদ মিয়ার পুকুরে পানিতে নেমে খোঁজখুজি করেন। এক পর্যায়ে ইকবাল ও রাফির মৃতদেহ ভেসে ওঠে। এদিকে পানিতে ডুবে একসঙ্গে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে। এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন- সদরাবাদ গ্রামে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো ধরণের অভিযোগ নেই। ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বরাবর আবেদন করা হয় এবং আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।

  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« December 2023 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
        1 2 3
4 5 6 7 8 9 10
11 12 13 14 15 16 17
18 19 20 21 22 23 24
25 26 27 28 29 30 31