Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Wednesday, 29 November 2023

 

 

Shamim Chowdhury

Shamim Chowdhury

সম্পাদক :

www.nabiganjerdak.com

www.tribute71.com

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে, তা সময়মতোই হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সদ্যঃসমাপ্ত বেলজিয়াম সফর নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচন হবে এবং সময়মতোই হবে। কেউ নির্বাচন থামাতে পারবে না, আগেও পারেনি, এবারও পারবে না।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসী। বিএনপি সন্ত্রাসী দল, সেটা তারা আবার প্রমাণ করেছে। সন্ত্রাসীদের কিভাবে শিক্ষা দিতে হয়, সেভাবে দিতে হবে।

সাংবাদিকদের প্রতি বিএনপি-জামায়াতের হামলার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ২৮ তারিখে ৪০-৪৫ জন সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা হলো।

 
রিপোর্টারস উইথআউট বর্ডার, এদের কাছ থেকে আপনারা কি কোনো সিমপ্যাথি পেয়েছেন? তাদের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পেয়েছেন? আজকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো চুপ কেন? তাদের কাছ থেকে প্রতিবাদ শুনি না কেন? তাদের কাছ থেকে কথা শুনি না কেন? আপনারা সেটি জিজ্ঞেস করেন। 

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি পুলিশ মারল। বাসে আগুন দিল। যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, আজকে তাদের সেই ভাণ্ডার বন্ধ কেন? তারা চুপ কেন?

সাংবাদিকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘মাঝখানে কিছুদিন বিএনপি রাজনৈতিকভাবে কর্মসূচি করছিল এবং আপনারা নিশ্চয়ই বিশেষভাবে লক্ষ করেছিলেন আমাদের সরকার কিন্তু তাদের কোনো বাধা দেয়নি।

 
তাদের ওপর একটা শর্ত ছিল, তারা অগ্নিসংযোগ বা ভাঙচুর করবে না।’

 তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) যখন সুষ্ঠুভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছিল তাতে কিন্তু মানুষের একটু আস্থা-বিশ্বাসও তারা ধীরে ধীরে অর্জন করতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২৮ তারিখ বিএনপি যেসব ঘটনা ঘটাল, বিশেষ করে যেভাবে পুলিশকে হত্যা করেছে, মাটিতে ফেলে যেভাবে কোপাল, সাংবাদিকদের যেভাবে পেটাল, এ ঘটনার পর জনগণের ধিক্কার ছাড়া বিএনপির কিছুই জুটবে না।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিমের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

১২.৫% প্রবাসীর দেশে নির্বাচনে সেন্টারে সেন্টারে ১০০% ভোট কাস্ট হয়ে যাওয়া নিশ্চিত ভাবে প্রমাণিত করে ব্যালট বাক্সে অবৈধ ভোটের উপস্তিতি ঘটেছে । ২০১৮ সালের নির্বাচনে ২১৩ টি সেন্টারে ১০০ % ভোট কাস্ট হয়েছে ! নির্বাচনে কি পরিমান অবৈধ ব্যালট কাস্ট হয়েছে তার একটি সাধারণ ধারণা পাওয়ার জন্য ১০০ % ভোট কাস্ট হওয়া যে কোন একটি সেন্টারের ভোটের ডাটা বিশ্লেষণ করা দরকার .

১০০ % ভোট কাস্ট হওয়া কুমিল্লা-১০ আসনের ৩৬ নং সেন্টারের ভোটের ডাটা বিশ্লেষণে করে যা দেখতে পাওয়া যায় :

১) বিএনপির প্রার্থী শূন্য ভোট পেয়েছে ?
২) প্রবাসীসহ সকল পোস্টাল ব্যালটের ভোট কাস্ট হয়েছে!
৩ ) আওয়ামীলীগের প্রার্থী পেয়েছে ৯৯.৯৬% ভোট .

 

২০১৮ সালের নির্বাচনের জরুরী কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো।
নির্বাচনে কোন পোস্টাল ব্যালটে ভোট নেওয়া হয়নি তাই কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েই সবাইকে ভোট দিতে হয়েছে !
নির্বাচনে রেজিস্টার্ড ভোটার : ১০৪১৫০০০০ জন .
পোস্টাল ব্যালটে ভোট না নেয়ার কারনে যারা ভোট দিতে পারেনি
প্রবাসী ভোটার : ১কোটি ২৫ লক্ষ : ভোটের: ১২.৫%
নির্বাচনি কর্মকর্তা-কর্মচারি : ১৫ লক্ষ
অসুস্ত , মৃত , জেলে থাকা, হাসপাতালে থাকা , ঠিকানা থেকে দূরে থাকা ব্যক্তি সব মিলিয়ে ২০% মানুষের নির্বাচনে উপস্থিত হয়ে ভোট দেওয়ার উপায় ছিলোনা।


বিএনপির প্রার্থীর শূন্য ভোট সম্পর্কে আওয়মীলীগের বক্তব্য :

A) শেখ হাসিনার মতে বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করে অপরিচিত প্রার্থী দেওয়ার কারনে তারা কোন ভোট পায়নি !
B) আর, মোহাম্মদ আরাফাত হুসেনের মতে বিএনপি শূন্য ভোট পাওয়ার মত দল নয়, তবে নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা কোন ধরণের প্রচার প্রচারণা চালায়নি বলে তাদের ভোটাররা নির্বাচনে ভোট দিতে আসেনি ?
C) আর সাবেক সচিব আবু আলা মোহাম্মদ শহীদ খান আর সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ মনে করেন বিএনপি এখনো ২০ % থেকে ২৫% ভোট হল্ড করে .

A).
দেখা যাক , বিএনপির শূন্য ভোট পাওয়ার পিছনে শেখ হাসিনার দাবির যৌক্তিকতা কতটুকু ?
মোঃ মনিরুল হক চৌধুরীর কি বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্যে নমিনেশন পাওয়া একজন অযোগ্য ,অপরিচিত বা ভুইফোড় প্রার্থী?
মোঃ মনিরুল হক চৌধুরীর কোন অযোগ্য ,অপরিচিত বা ভুইফোড় প্রার্থী নন, তার আছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন. তিনি আওয়মীছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন. দুবারের এমপি এবং খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা . অতএব শেখ হাসিনার দাবি অযৌক্তিক।

B)
এখন দেখা যাক , বিএনপির শূন্য ভোট পাওয়ার পিছনে এম.আরাফাত হুসেনের দাবির যৌক্তিকতা কতটুকু ?
মোঃ মনিরুল হক চৌধুরীর নির্বাচনের কয়েকদিন পূর্ব থেকেই কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন, তার পক্ষে নির্বাচনের মাঠে প্রচার প্রচারণা চালানো সম্ভব পর হয়নি। সময়ে অসময়ে পুলিশি ধর পাকড়ের কারনে অন্য নেতা কর্মীদেরও তার পক্ষে প্রচার প্রচারনা চালানো সম্ভবপর হয়নি।
“প্রচার প্রচারণা না থাকার কারনে বিএনপির ভোটাররা নির্বাচনের দিন ভোট দিতে কেন্দ্রে যাননি ” আরাফাত হুসেনের এই দাবির পক্ষে মোটামোটি যৌক্তিকতা খোঁজে পাওয়া যায়।

C)
বিএনপির ২০% ব্যালট গেলো কোথায় ?
আবু আলা মোহাম্মদ শহীদ খান, শাহনেওয়াজ চৌধুরীর কথা মত বিএনপি এখনো ২০%-২৫% ভোট হোল্ড করে তাই নির্বাচনী কর্মকর্তা আর পুলিশ দায়িত্বে ৩৩৫১ এর ২০% মিনিমাম ৬৭০ টি ভোট না দেয়া ব্যালট থাকার কথা।

শুধু কি তাই , ১২.৫% প্রবাসী, নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কর্মচারী -কর্মকর্তা, পুলিশ, অসুস্ত , মৃত , জেলে থাকা, হাসপাতালে থাকা , ঠিকানা থেকে দূরে থাকা ব্যক্তি সব মিলিয়ে ২০% মানুষের নির্বাচনে উপস্থিত হয়ে ভোট দেওয়ার উপায় ছিলোনা বলে ৩৩৫১ এর আরো ২০% ৬৭০ টি - ভোট না দেয়া ব্যালট নির্বাচনী কর্মকর্তা আর পুলিশ দায়িত্বে থাকার কথা।

পোস্টাল ব্যালটে ভোটের ব্যবস্তা না থাকা আর বিএনপির কর্মী সমর্থদের কেন্দ্রে উপস্থিত না হওয়ার কারনে কেন্দ্রের মোট ভোটারের চেয়ে কম করে হলেও ১৩৭০ টি ভোট কম কাস্ট হওয়ার কথা। এই ব্যালট গুলো পুলিশ আর নির্বাচনী কর্মকর্তা কর্মচারীদের অধীনে সেইফরুমে থাকার কথা।

যে ব্যালট গুলো পুলিশ আর নির্বাচনী কর্মকর্তাদের অধীনে সেইফরুমে থাকার কথা, সেই ব্যালটগুলো ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় সিল মেরে ব্যালট বাক্সে রেখে দেওয়া হয়েছে! আমানতের খেয়ানতের জন্য পুলিশ আর নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দোষী স্বাব্যস্ত করার এর চেয়ে বড় আর কোন প্রমানের কি প্রয়োজ আছে?

ব্যাংক ভোল্টের টাকা গায়েব হলে যেমন ব্যাংকের স্টাফদের কোমরে ধরি বেঁধে থানায় চালান দেয়া হয় ঠিক তেমনি সেইফরুমের ব্যাল্টগুলো যাদের কারসাজিতে পুলিশ আর নির্বাচনী কর্মকর্তারা নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে দিয়েছে তাদেরও কঠিন শাস্তির মুখাপেক্ষী করা দরকার।
পুলিশ আর নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দ্বারা ব্যালট সংগ্রহ করে কোন সভ্যদেশে কেউ কোন দিন নির্বচিত হতে পারেনি। আমেরিকার ২০২০ নির্বাচনে ভার্জিনিয়া স্টেটে ঠিক এমনি একটি ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প সেদিন। তাই আজ তিনি আদালতে কঠিন শাস্তির মুখাপেক্ষী ।
কিন্তু শেখ হাসিনা ২০১৮ এর নির্বাচনে সেন্টারে সেন্টারে নৌকা মার্কায় অজস্র অবৈধ ভোট কালেকশন করিয়েও আদালতে কোন ধরনের শাস্তির মুখাপেক্ষী হচ্ছেন না কেন?


## এটা কি সভ্য সমাজ আর  অসভ্য সমাজের পার্থক্য ?
আমেরিকার নির্বাচনে ভার্জিনিয়া সেক্রেটারি অব স্টেটকে ১১৭৮০টি ভোট খোঁজে দেওয়ার কথা বলায় ডোনাল্ড ট্রাম্প অর্গানাইজড ক্রাইম ( রিকো বা মাফিয়া ) আইনে দোষী হিসাবে বিচারের কাঠগড়ায় যে সময় উঠা নামা করতেছেন ঠিক সেসময় বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা তার সাঙ্গ পাঙ্গ দিয়ে কোটি কোটি অবৈধ ভোট কাস্ট করিয়ে শুধু প্রধান মন্ত্রী হয়েই ক্ষান্ত দেননি , নিজের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্টিত করতেও সংবিধানের দোহাই দিয়ে লাফালাফি করছেন!
আমেরিকার সংবিধান ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপরাধ না করেই শুধু অপরাধ করার ইনটেনশন ছিল এই কারনে মাফিয়া আইনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে আর বাংলাদেশের সংবিধান- শেখ হাসিনাকে অপরাধ করার পরও শাস্তির বদলে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পুরুস্কৃত করেছে এমন কি শেয়ালের হাতে মুরগি বর্গা দেওয়ার মত আবারো তার হাতে বাংলাদেশের নির্বাচন অনুষ্টিত করার গুরু দায়িত্ব তুলে দিতে যাচ্ছে !
বাংলাদেশের সংবিধান আর আমেরিকার সংবিধানের মধ্যে এতো পার্থক্য কেন ? এক সংবিধান অপরাধীকে শাস্তি দেয় আর অপরটি অপরাধীকে পুরুস্কৃত করে? সংবিধানিক আইনের এ পার্থক্যটাকে কি সমাজের সভ্যতা নিরুপনের ব্যারোমিটার : সভ্য সমাজ আর অসভ্য সমাজের পার্থক্য বুঝার উপায় ! সভ্য সমাজে অপরাধী শাস্তি পায় আর অসভ্য সমাজে অপরাধী পুরুস্কৃত হয় .

 ২০১৩ সালের বোস্টন ম্যারাথন, ম্যারাথনের কোন রেকর্ড ভাঙার জন্য সারা বিশ্বে পরিচিতি পায়নি,  পরিচিতি পেয়েছে  বোমা ফুটে  মানুষ মারা যাওয়ার  কারনে। এখন এটি  একটি ক্রাইম সিন।

    বোস্টন ম্যারাথনকে  এখন আর কেউ ম্যারাথনের দৃশ্য ভেবে দেখেনা , এটিকে  একটি ক্রাইমের দৃশ্য ভেবে দেখে। দেশি বিদেশী গুয়েন্দারা বোস্টন ম্যারাথনের ভিডিও দেখে ক্রিমিনালদের বডি  ল্যাংগুয়েজ  বুঝতে।

       বোস্টন ম্যারাথনের  মত  বাংলাদেশের ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনকে এখন আর নির্বাচন হিসাবে না দেখে ক্রাইম সিন হিসাবে দেখতে হবে। কেননা,  আওয়ামীলীগ নেত্রী  প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্ব্যর্থ কণ্ঠে বলেছেন " আওমিলিগ নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতায় যায়নি , আওয়ামীলীগ ভোট চুরি করেনা। "

তাহলে প্রশ্ন জাগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে কে আওয়ামীলীগের জন্য ভোট চুরি করেছিল?

      What an audacity it is! আওয়ামী লীগ আবারো ২০১৮ সালের মত নির্বাচন পরিচালনার  সুযোগ চায়!

     সভ্য সমাজে  গুন্ডা , খুনি, বদমাইশ, রেপিস্ট তাদের কৃত কর্মের  শাস্তি পায়  আর  অসভ্য সমাজে শাস্তি পাওয়াতো দূরের কথা এই সমস্ত অপরাধ সংঘটিত করার পর বুক ফুলিয়ে বেটাগিরি করে, আবারো  দুষ্কর্ম করার  সুযোগ করে দেওয়া হয় এই সমস্ত দুষ্কৃতকারীদের?

    যে সমাজ রেপিস্টকে  আবারো রেপ করার অধিকার দেয়, ডাকাতকে  আবারো ডাকাতির সুযোগ দেয়  সেই সমাজ আর  সেই সব দেশের শাসককে  অসভ্য অভদ্র অমানুষ হিসাবে বিবেকবান মানুষ মনে করে।

২০১৮ সালের ইলেকশনটি ইলেকশন নয় এটি একটি গণধর্ষণ, বাংলাদেশটা ধর্ষিত  হয়ে ছিলো সেইদিন। এই ইলেকশনটি  জনগনের ভোটাধিকার আর  মানবাধিকার হরনের  ক্রাইম সিন।  একটি ভোট জাল করলে যেখানে ছয় মাস থেকে এক বছরের জেল জরিমানা হয় সেখানে কোটি কোটি ভোট জাল হয়েছিলো সেদিন। 

২০১৮ সালের ইলেকশনটিকে  একটি ক্রাইম সিন হিসাবে গণ্য করে  ইনভেস্টিগেশনের মাধ্যমে বের করতে হবে  সেই সব ক্রিমিনালদের যারা সেদিন -

)  -ভোটের বাক্স ভরে ভরে দিয়েছিলো  মৃত, অসুস্ত, প্রবাসীর ভোটে

) -জনগনকে শুধু  ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিতই  করেনি  তাদের নামে জাল ভোটও দিয়ে  দিয়েছিলো ?

শেখ হাসিনা বলেছেন ," আওয়ামীলীগ ভোট চুরি করেনা। "  আর  সত্যি বলতে কি, আওয়ামীলীগের কোন কর্মীকে ভোট জালিয়াতি বা চুরি করতে কেউ দেখেনি। 

তাহলে এই ভোট চুরিটা করলো কারাযতক্ষণ পর্যন্ত না এই সব ক্রিমিনালদের বিচারের  আওয়তায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা না যায় ততক্ষন পর্যন্ত ২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রতিটি আলামতকে ক্রাইম  সিন হিসাবে সযত্নে রক্ষা করতে হবে।  বিশেষ করে নির্বাচনী ডাটাই বলে দেবে কে কোথায় কোন ক্রাইম সংঘটিত করেছিল। তাই প্রতি সেন্টারের নির্বাচনী ডাটাকে রাখতে হবে যত্ন সহকারে।

 রাজনীতিবিদদের দলের একান্ত বাধ্যগতের প্রমান নিত্য দিনের কাজ কর্মে  আর বুদ্ধিজীবীদের তা পুষিয়ে নিতে হয় উলঙ্গ হয়ে নর্তন কুর্দন আর পা চাটার মাধ্যমে। 

ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদারের মতে , শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্টিত  ২০১৮ সালের নির্বাচন তার দেখা  "সবচেয়ে ভালো একটি নির্বাচন। আগামী নির্বাচন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের চেয়েও আরো ভালো করতে হবে। বেশি করে পুলিশ হায়ার করতে হবে।"  

 

২০১৮ সালের নির্বাচনের অকল্পনীয়  কিছু  তথ্য :

     ১২০১৮ সালের নির্বাচনে ২১৩ টি কেন্দ্রে ১০০% ভোট কাস্ট হয়, কেন্দ্রের ৫,৪৭,৯৯৩ জনের সকলই নির্বাচনে উপস্থিত ছিলেন। প্রবাসী , মৃত সবাই ভোট দিয়েছেন??

      ২১০৫২ টি সেন্টারে অপজিশন বিএনপি জোটের প্রার্থীরা একটি ভোটও পাননি (শূন্য ভোট). এমন কি , বিএনপির ৫/৬  বারের  এম.পি. হওয়া   বাঘা বাঘা নেতারা শত শত কেন্দ্রে শূন্য ভোট পেয়েছেন??

     ৩এসব সেন্টারে এক একজন প্রাথী একাই শত ভাগ  ভোট পেয়ে গেছেনস্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৭ টি সেন্টারে ১০০ভোট পেয়েছেন !  

      অথচ, ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলমের  প্রার্থীতাকে আওয়ামিলীগের কর্মী সমর্থকেরা অধ্যাপক আরাফাতের জন্য অসম্মানজনক হিসাবে ধরে নিয়ে তাকে মারধর করেছেন।  কিন্তু এই হিরোআলমও নির্বাচনের কোন কেন্দ্রেই  শূন্য ভোট পায়নি। 

 

 

  উত্তর খোঁজতে সাহায্য করুন :  কার  কারসাজিতে  খালেদা জিয়ার  উপদেষ্টা  প্রাক্তন  সাংসদ  মোঃ মনিরুল হক চৌধুরী এই কেন্দ্রে শূন্য ভোট পেয়েছেন যদিও এই কেন্দ্রে বি.এন.পি., জামাত, প্রবাসী, মৃত সবাই ভোট (১০০% ভোট কাস্ট হয়)  দিয়েছেন?

লন্ডন আমেরিকায় বসবাস করে যে মানুষগুলো  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে  জনগণের ম্যান্ডেট বলে দাবি  করে  তারা প্রকৃত পক্ষে সাহেদের চেয়েও নিকৃষ্ট

   বাংলাদেশের মত নুংড়া- ময়লা আর  আবর্জনা   ভাগাড়ে বসে সাহেদদের  পক্ষে নুংড়া- ময়লা আর  আবর্জনাকে অনুভব না করাটাই স্বাভাবিক , কিন্তু লন্ডন আমেরিকার মত ক্লিন এবং পরিচ্ছন্ন  রাজনৈতিক পরিবেশে থেকে যে বা যারা ময়লার ভাগাড়কে নিয়ে নর্তন কুর্দন করেন, তাদের মন মানসিকতা এবং চিন্তা চেতনা যে অত্যন্ত নুংড়া এবং  শঠতায় পরিপূর্ণ তাহলফকরে বলা যায়।

   এরা সরকরের পক্ষে চোখ বুঝে  মিথ্যা সাফাই গায়, কথায় কথায় জয়বাংলা আর বঙ্গবন্ধু বলে মুখে ফেনা তোলে ফেলে। উদ্যেশ্য একটা-, কোন ভাবে দেশে গিয়ে যদি একটি দান মেরে দেওয়া  যায়।  প্রবাস জীবনে ফুড স্ট্যাম্প আর সরকারি সাহায্যে তো তেমন কিছু করা যায়নি, বাংলাদেশে সরকারে  বাঁহাত ঢুকিয়ে যদি কোন ভাবে আখের গছিয়ে নেওয়া যায়।    

   দেশে  এখন চলছে  মধুমাস, মধু খাওয়ার ধুম চারিদিকে। নাইজেরিয়া থেকে ক্রোয়েসিয়া, বিশ্বের সকল টাউট বাটপারের গন্তব্য এখন বাংলাদেশ। কারণ  বিশ্বের সবাই জেনে গেছে  দেশের ভিতরের অবস্থা,  যার যত বড় ডিগ্রি সে ততোবড়ো দুর্নীতিবাজ! যার যতবেশি শিক্ষা সে  ততোবেশি  খারাপ। 

    সরকার ক্ষমতায় ঠিক আছে  সম্রাট, সাঈদ,  আরমান, খালেদ,  সাহেদ, শামীমের মত    খারাপ লোকদের  উপর ভর করে।জায়গা দখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীসহ  নানা  অপকর্মে   এরা জগনকে এমন প্যাঁদানির উপর রেখেছ  যে ,  নিজের  ভোট দেওয়ার চিন্তা দূরে থাক এদের হাত থেকে  নিজের ভিটে মাটি রক্ষা করাও তাদের দুরূহ ব্যপার হয়ে ওঠেছে আপনি প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা হোন আর ভূঁইয়া ট্রেডার্সের মালিক কোটিপতি ভূঁইয়াই হোন না কেন : একবার যদি কারো সম্পত্তির উপর এদের কুদৃষ্টি নিপতিত হয় তাহলে তা  আর তাদের  থাবা থেকে  রক্ষা  পেতে পারেনা।  পুলিশ- কোর্ট কেউই এদের বিরুদ্ধ্যে মামলা নেয়না,  এরা নাকি  সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।  এদের বিরুদ্ধ্যে মামলা করতে হলে নাকি  আপনাকে প্রধান মন্ত্রীর দপ্তর ঘুরে আসতে হবে!!! বাঙালির আর হাইকোর্টে যাওয়া হয়না -  তাই বাঙালিকে হাইকোর্ট  দেখিয়ে দিলেই সব শেষ।

       কেউ যদি মরা গরুকে লাত্থি মেরে পা ভেঙে ফেলে লোকে তাকে 'বেনালে পড়ে মরছে' বাক্য  দিয়ে   অভিহিত করে থাকে। যার  মানে হলো, সে  অযথা বা বিনা কারণে  নিজের বিপদ ডেকে এনেছে।  সম্রাট, সাহেদ এরাও বেনালে  পড়ে মরার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।  সম্রাট এবং তার বাহিনী , ঢাকা এবং তার আসে পাশের এলাকার প্রতিটি বাসা বাড়িতৈরির সময় বড় অংকের টাকা চাঁদা নিয়ে থাকে। বহুতল আবাসিক ভবন হলে  তাদেরকে  একটি ফ্লাট চাঁদা হিসাবে  দেওয়া বাধ্যতামূলক।  সাবেক প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা থেকে নিয়ে ছোট বড় কারো  সম্পত্তি   তাদের জবর দখলের হাত থেকে রেহাই পায়নি।

    যে  থানা, কোর্ট , পুলিশ , আর্মি -ৱ্যাব কেউই যাদের পাছার  চুল কোনদিন টাচ করতে  পারেনি  সেই তারাই  একদিন হটাৎ করেই তাদের হাতে হাতকড়া পড়িয়ে থানায় নিয়ে গেলো   দেখে লোকজন অবাক বিস্ময়ে  জিজ্ঞাস করলো  তারা এমন কোন পাওয়ারফুল পাকা ধানে মই দিলো যার কারনে তাদেরকে হাতকড়া পড়াতে  হলো ?

  খবর নিয়ে   জানা যায় ,  কথামত চাঁদা না দেওয়ার কারণে সম্রাট  আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের বিল্ডিং তৈরীর  কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলো। 

প্রধানমন্ত্রী এবং তার বোন শেখরেহানার দানে এই বিল্ডিং বানানোহচ্ছে   শোনার পরও  সম্রাট চাঁদা  চাওয়া থেকে বিরত থাকেনি! এই  সংবাদ শোনার পর শেখ হাসিনা তেলে বেগুনে জ্বলে যান  এবং তাকে চাঁদাবাজি থেকে সরে আসার উপদেশ দেন।  তারপর সম্রাট চাঁদাবাজি বন্ধ করেনি, আবারো আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামে চাঁদা  চাইতে গেলে তিনি তাকে   তাকে গ্রেফতার করার অর্ডার দেন। 

   সে তার বাহিনী নিয়ে বছরের পর বছর চাঁদাবাজি করেছে , অন্যের বাড়িঘর দখল করেছে, মদ জুয়া ক্যাসিনোর রমরমা ব্যবসা করেছে -  থানা পুলিশ , আর্মি , ৱ্যাবের নাকের ডগায়। তখন তাকে কেউ ধরেননি??  তখন কি এগুলো বৈধ ছিল আর আজ হটাৎ করে অবৈধ হয়ে গেলো??

        শেখ হাসিনা একটি কথা সংসদে বলেছেন যা ১০০% সত্য , " এই যে সম্রাট আর সাহেদ নিয়ে আপনারা বাড়াবাড়ি করতেছেন, এদের ধরেছে কে?? আমরাই ধরেছি।পত্রিকায় ছাপা যে খবর  দেখিয়ে আপনারা  মাঠ ময়দান  গরম  করতেছেন, এই  খবর কে পত্রিকায় দিয়েছে??  আমরাই দিয়েছি! "

    তিনি এটি ই বুঝতে চেয়েছেন, সরকারের যদি সদিচ্ছা না থাকতো এবং  সরকার যদি  তাদের  এরেস্ট না করতো  তাহলে  কেয়ামত পর্যন্ত  তারা  এই  দখলদারি , চাঁদাবাজি ,  সন্ত্রাসী সহ অন্যন্য অপকর্ম   চালিয়ে যেতো।   বিগত  ১৪-১৫ বছরে এদের ধরা হয়নি  বলে এটি ভাববেন না যে তখন কার দিনে  দখলদারি , চাঁদাবাজি , সন্ত্রাসী অপকর্ম  গুলো বৈধ ছিল,   সরকারে সদিচ্ছা ছিলোনা বলে স্রেফ তাদের ধরা হয়নি।    

    আর পত্রিকায় প্রকাশিত  সংবাদ বিষয়ে তিনি যথাযত সত্যি কথা বলেছেন, সরকার পত্রিকাকে যতটুকু দেয় ঠিক ততটুকুই  ছাপে। সরকার এমন কোন কিছু পত্রিকাকে ছাপতে দেয়না যাতে সরকারের সামান্যতমও   ক্ষতি হতে পারে। প্রতিকার পাতায় যা আসে তা হলো   সাগর থেকে তোলে আনা এক কলসি পানির মত।  মন্ত্রী কৃষকের  কাঁচা ধান কেটে ধান কাটার উৎসব করতেছেন  এই ডিভিডিও শেয়ার করার জন্য যে দেশে জেল হয়, যে দেশে মন্ত্রীর উপহার দেওয়া ছাগল মারা যাওয়ার খবর প্রকাশ করার জন্য জেল হয় সে দেশের পত্রিকায় সরাকরে থাকা চোর বাটপার ক্রিমিনালের খবর ছাপা হবে বিশ্বাস করাটা কি বোকামি নয় ???    

আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইতিহাস আগে দেখুন তারপর অন্যের সাথে তুলনা করুন !!!

বিশ্বের বুকে শুধু আওয়ামীলীগই একমাত্র দল না যে অন্যের করা নির্বাচনে কয়েকবার ক্ষমতায় আসলেও নিজের অধীনে  করা নির্বাচনে অন্যকে ভোটই দিতে দেয় নাই , হিটলারের দলও আছে এই গ্ৰুপে !

আওয়ামীলীগ অধীনে  অনুষ্টিত

টি জাতীয় নির্বাচন .

১৯৭৩ সাল:

       তাদের প্রাপ্ত সিট 293 টি   

২০১৪ সাল:

            তাদের প্রাপ্ত সিট : ২৩৪টি

২০১৮ সাল:

            তাদের প্রাপ্ত সিট : ২৮৮  টি

            বিএনপির প্রাপ্ত আসন : ৫টি

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডঃ এ.কে. মোনেম  রাগান্বিত কণ্ঠে সাংবাদিকদের  বলেছেন "বাংলাদেশের পুলিশ, ডিবি, ৱ্যাব কোন কিছু করলেই  সাথে সাথে বিদেশি কুটনৈতিকেরা  মানবতা লঙ্ঘন , মানবতা লঙ্ঘন বলে স্টেটমেন্ট দেওয়া শুরু করে। নিজেদের  দেশের  যে রাস্তাঘাটে প্রতিনিয়ত  মানুষ খুন হচ্ছে তা নিয়ে কেউ মানবতা লঙ্ঘনের  কথা বলেনা বা স্টেটমেন্ট দেয়না। "

শুধু বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীইনা আমাদের অনেকেরই  প্রশ্ন  বাংলাদেশের পুলিশ কাউকে মারলে (অথবা মব কর্তৃক মারালে : পুলিশ হিরো আলমকে মবের হাতে তুলে দেয় ) যে আমেরিকানরা সাথে সাথে  বাংলাদেশে মানবাধিকার যায় যায় বলে রব তুলে, সেই  আমেরিকানরাই আবার মানবাধিকার নিয়ে  টু শব্দটিও করেনা  যখন তাদের দেশে   ডাকাত কর্তৃক মানুষ  হত্যা করা হয়। (যেমন: সেন্টলুইসে ডাকাত কর্তৃক বাঙলী রমিম উদ্দিন আহমেদ হত্যা) | তাহলে কি আমেরিকায় চোর ডাকাত খুনির হাতে মানুষ হত্যাকাণ্ড মানবাধিকার খর্বের পর্যায়ে পড়েনা?

সত্যি কথা হলো :

  পুলিশ ৱ্যাব আর্মির মত আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থাগুলোকে বিশেষ পরিস্তিতিতে অপরাধীকে  ব্যাটন চার্জ করা, গুলি করে হত্যা করার বৈধতা আইনে দেওয়া আছে, যারা আইনের সীমা লঙ্গন  করে মানুষকে নির্যাতনকরে, হত্যা করে তাদের সেই নির্যাতনকে/ হত্যাকান্ডকে অপরাধ হিসাবে সাব্যবস্থা করতে তাদের হত্যাযজ্ঞ/নির্যাতনকে  মানবতা বিরুধী দুস্কর্ম হিসাবে অবিহিত করা হয়।  চোর, ডাকাত, খুনির বেলায় এই টার্ম ব্যবহার করা হয়না কারন চোর ,ডাকাত, খুনী  মানেই মানবতা বিরুধী কাজের অপরাধে অপরাধী |

পুলিশ ৱ্যাবের মত আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থা গুলোর আইন বহির্ভুত কাজকে মানবতা বিরুধী  কাজ হিসাবে গণ্য  হলে   তারা অপরাধি হিসাবে সাব্যস্ত হবে আর  চুরি ,ডাকাতি, খুন এগুলো  এমনিতেই  অপরাধ, এসব অপকর্মের হুতাকে  অপরাধী হিসাবে সাব্যস্ত করতে  বাড়তি আর কোন টার্মের দরকার হয়না ||

‘বাংলাদেশের ৭০ পার্সেন্ট মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে বসে আছে’ বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
অথচ গত নির্বাচনে শেখ হাসিনা  ৯৯.৯১% ভোটে অলরেডি নির্বাচিত হয়ে আছেন।


ওবায়দুল কাদের যদি শেখ হাসিনাকে প্রশংসা করে উচ্চাসনে তুলে ধরতে চাইতেন তাহলে বলতে পারতেন "১০০% মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে বসে আছে." কিন্তু তিনি তা না করে ৭০% বলেছেন যা বিগত নির্বাচনে শেখ হাসিনার প্রাপ্ত ভোটের ২৯.৯১% কম।
কিন্তু কেন কেন......????

  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« November 2023 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
    1 2 3 4 5
6 7 8 9 10 11 12
13 14 15 16 17 18 19
20 21 22 23 24 25 26
27 28 29 30