Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Wednesday, 29 November 2023

 

 

Local News

Local News (91)

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় অভিন্ন মানদণ্ডে হবিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ডালিম আহমেদ, মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী কর্মক্ষেত্রের কৃতিত্ব স্বরূপ তাঁহাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন। নবীগঞ্জ থানায় যোগদানের পর থেকে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ডালিম আহমেদ পেশাদার অপরাধী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি, চোর, ডাকাত ও মাদক মামলার আসামি গ্রেফতার, জুয়াড়ি, দেশীয় অস্ত্র, বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমসহ নানা ধরণের কাজের মাধ্যমে পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে সার্বিক বিষয়ে অবদান রাখায় গত ১২ সেপ্টেম্বর মাসে হবিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। এর স্বীকৃতি স্বরূপ পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেল) আবুল খয়ের, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মহসিন আল মুরাদ (মাধবপুর সার্কেল)। এছাড়াও হবিগঞ্জ জেলার অফিসার ইনচার্জগণ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও অন্যান্য অফিসার ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ডালিম আহমেদ, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, স্যারের কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত ও গর্বিত। এ পুরস্কার আমাদেরকে কাজের স্পিহা ও দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে তুলেছে। থানার সংশ্লিষ্ট সকলের দায়িত্বশীলতায় ও ভালোবাসায় আমি পুরস্কৃত হয়েছি। আমরা চেষ্টা করবো অর্পিত দায়িত্ব এবং কর্তব্য যেন সততার সহিত পালন করতে পারি।

 হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক  আলহাজ্ব জিকে গউছ এর মুক্তির দাবিতে গতকাল সোমবার বাদ এশা হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের আয়োজনে শহরের মশাল মিছিল অনুষ্টিত হয়। মশাল মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন জেলা যুবদলের আহবায়ক জালাল আহমদ।  এসময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মিজানুর রহমান সুমন, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, যুবদল নেতা মোঃ দুলাল মিয়া, মোঃ মনজুর উদ্দিন মনজু, জালাল উদ্দিন সজলু, মোঃ জমির আলী, মোঃ আঃ কাইয়ুম, এডভোকেট জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, হোসাইন আহমেদ রানা, মোঃ মাসুক মিয়া, মোঃ আলমগীর মিয়া, এনামুল হক চৌধুরী, আঃ হান্নান নানু, আমিনুল ইসলাম আখন্জী, সাইদুর রহমান শামিম, মাহবুবুল আলম মালু, সাদেকুর রহমান লিটন, মোঃ মোশাহিদ আলী, মোঃ ফজলুর রহমান ফজলু, মোঃ জয়নাল আবেদীন, ওয়াহিদ মুরাদ, শামিম আহমেদ নাসির, মোঃ রওশন মিয়া, সৈয়দ আবু নাঈম হালিম, মোঃ আল আমিন, মোঃ নুরুল আমিন, নাসির উদ্দিন আফরুজ, আবুল হাসান আসাদ, মোত্তাকিন আহমেদ জয়নাল, তুষার রায়, জিয়াউল খাঁ, শেখ জাকারিয়া, আকলুছ মেম্বার, ইলিয়াস মিয়া, নাজমুল সিকদার, মোঃ আদম আলী, জাকির হোসেন, বাঘা জামাল, মোঃ জাহির মিয়া, আঃ কাইয়ুম, কামরুল ইসলাম তালুকদার,এখলাছ মিয়া, সামাদুল, মোঃ ফজলু মিয়া, মোবাসির আলম, তুহিন, অনিক, এমরান, সুজন, শাহজাহান প্রমূখ।

সিলেট লালা বাজার ৭ আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশের অভিযানিক শ্রেষ্ঠ এএসআই নির্বাচিত হলেন মাহমুদুল হাসান । তিনি জেলার গুরত্বপূর্ণ উপজেলা লালা বাজার ৭ আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশ ক্যাম্পে এ এস আই হিসেবে কর্মরত। ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে সিলেট লালা বাজার ৭ আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশ ক্যাম্পে এক সভায় তাকে জেলার অভিযানিল শ্রেষ্ঠ এএসআই হিসেবে নির্বাচিত করে ৭ আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশ।এ উপলক্ষ্যে অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি ৭ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান খোন্দকার ফরিদুল ইসলাম তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পুরষ্কার ও ক্রেষ্ট প্রদান করেন।সিলেট লালা বাজার ৭ আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশ অফিস সূত্র জানায়, মাদক,সাজাপ্রাপ্তআসামি,ওয়ারেন্ট তামিল,চোরাইহওয়া মোবাইল উদ্ধার,সামগ্রিক কর্মতৎপরতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধদমনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাকে অভিযানিক শ্রেষ্ঠ এ এস আই নির্বাচিত করে আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশ লালা বাজার সিলেট। মাহমুদুল হাসান হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের কৃতি সন্তান। এ ব্যাপারে এএসআই মাহমুদুল হাসান জানান, পেশাগত পুরষ্কার প্রাপ্তির এ গৌরব শুধু তার নয়, এটি আমার অভিযানিক টিমের প্রত্যেক পুলিশ সদস্যদের। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে তিনি এ গৌরব অর্জন করতে পেরেছেন। বিশেষ করে ধন্যবাদ জানান অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি ৭ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান খোন্দকার ফরিদুল ইসলামকে।এ পুরষ্কার তিনি ক্যাম্পের প্রত্যেক সদস্যদের উৎসর্গ করেছেন। এ পুরষ্কার প্রাপ্তি তার পেশাগত দক্ষতায় আরো উৎসাহ ও প্রেরণা যোগাবে বলে জানান তিনি।এদিকে তার এ পেশাগত সাফল্যে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ব্যক্তিগত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

নবীগঞ্জ উপজেলার পাটলী গ্রামের মন্দিরের পুকুর থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ভাসমান অবস্থায় সমর সরকার (৭৫) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে মৃতের ছুরতহাল শেষে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের আদিত্যপুর গ্রামের সমর সরকার (৭৫) বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে, আখড়ায় পুজা ও কীর্তনে থাকেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় তিনি করগাওঁ ইউনিয়নের পাটলী গ্রামে মন্দিরে জন্মাষ্টমীর অধিবাস অনুষ্ঠানে যান। সেখানে অধিবাস অনুষ্ঠান উপভোগ করে সবাই যার যার মতো করে চলে গেলেও তিনি মন্দিরে রাত্রি যাপন করেন। পর দিন বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে স্থানীয় লোকজন সমর সরকার (৭৫) কে মন্দিরের পাশের পুকুরে মৃত ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে নবীগঞ্জ থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে থানার এসআই অনিক বাবু এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ পুকুর থেকে বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধার করে ছুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে মৃতের ছেলে সনজিৎ সরকার বলেন, তার বাবা মন্দিরে মন্দিরে পুজা-কীর্তনে বেশীর ভাগ সময়ই ব্যয় করতেন। বাড়িঘরে তেমন থাকতেন না। এসআই অনিক বাবু বলেন, খবর পেয়ে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। পানিতে পড়েই উনার মৃত্যু হয়েছে।

নবীগঞ্জে বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক,হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ,হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল চৌধুরী, সাবেক সহ-সভাপতি তৌফিকুল ইসলামের  নিঃশর্ত মুক্তি ও
হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল আহমেদ, সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতু ও যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সুমনসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে নবীগঞ্জ পৌর যুবদলের আহবায়ক মোঃ আলমগীর  মিয়া ও উপজেলা যুবদলের ১ম যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদীন এর নেতৃত্বে নবীগঞ্জ পৌর ও উপজেলা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি নবীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন মোড় পদক্ষিন করে মালিক টাওয়ার এর সামনে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা  যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন আহমেদ,  রায়হানুল বারী, মহসিন আহমদ, সদস্য মনিরুজ্জামান চৌধুরী মনির, জাকির হোসাইন, ফুল মিয়া, আনোয়ার মিয়া, আকাশ আহমদ, মোঃ সামাদুল হক, সোহান মিয়া, মোঃ ওবাদুর মিয়া, তারেক আহমদ,সহ উপজেলা  ও  পৌর  যুবদলের  নেতৃবৃন্দ। সভায় বক্তরা বলেন,অবিলম্বে  জি কে গউছসহ বিএনপির,  যুবদল, ছাত্রদলের  সকল কারাবন্দী  নেতাদের মুক্তি  দিয়ে সরকার নির দলীয় নিরুপেক্ষ সরকারের অধিনে  আগামী  নির্বাচন  দিতে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে  সরকারকে বাধ্য করা হবে।

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। গতকাল দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর জিডির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে আরও ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবির এসআই আফতাবুল ইসলাম। অন্য দিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার রিমান্ড ও জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) মধ্যরাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) জি কে গউছকে আটক করেন। পরের দিন বুধবার (৩০ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর জিডির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবির এসআই আফতাবুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিডির অভিযোগ থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, পরস্পর যোগসাজশে জি কে গউছ তৎকালীন হবিগঞ্জ সদর ও লাখাই আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহির এবং তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করেন। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৮ আগস্ট হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। ঘটনার পর থেকে ঢাকা ও এর আশপাশ এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন জি কে গউছ। তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও বলেন, হত্যার ষড়যন্ত্রের রহস্য উদ্ঘাটন ও মামলার এজাহারনামীয় অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য জি কে গউছকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। গত ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২১ আগস্ট জি কে গউছকে প্রধান আসামি করে ৭০০ এর মতো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় মঙ্গলবার জি কে গউছসহ হবিগঞ্জের ১৮৩ জন বিএনপি নেতাকর্মী হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিকেলে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এমডি আমিনুল ইসলামের দ্বৈত বেঞ্চ তাদের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। এরপর হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক জালাল আহমেদ জানান, জি কে গউছ হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়েন। এরপর আদালত এলাকা থেকে বের হলে ডিবি পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায়।

 

নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। উৎসবমূখর পরিবেশে গ্রামবাংলার ঐহিত্যবাহী এই প্রতিযোগিতা দেখতে সমাগম ঘটে কয়েক হাজার দর্শনার্থীর। শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দুর্গাপুর, হোসেনপুর, আহমদপুর, কুমারকাদা, গালিমপুর, মাধবপুর, মথুরাপুর গ্রামবাসীর আয়োজনে কুশিয়ারা নদীর খেয়াঘাট এলাকায় এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। নৌকা বাইছ প্রতিযোগীতায় ৬টি নৌকা অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে চুড়ান্ত খেলায় বিজয়ী হয় মৌলভীবাজারের শাহ মোস্তফা। দ্বিতীয় হয় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের পবন। প্রতিযোগিতা শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে দীঘলবাক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ এওলা মিয়ার সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মুজিবুর রহমান কাজলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য শাহ আবুল খায়ের, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সুলতান মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গতি গোবিন্দ দাশ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রিজভী আহমেদ খালেদ, উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতি শাহ ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ এমরান মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সরওয়ার শিকদার, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলারা হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ছৈইফা রহমান কাকুলী প্রমুখ। পরে বিজয়ী মৌলভীবাজারের শাহ মোস্তফা নৌকার মালিকের হাতে পুরুস্কার হিসেবে দেয়া হয় ফ্রিজ ও দ্বিতীয় হওয়া সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের পবন নৌকার মালিকের হাতে টেলিভিশন তোলে দেয়া হয়। এমন আয়োজনে খুশি দর্শনার্থীরা। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতি বছর এমন আয়োজন করতে চান আয়োজকরা।

নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক তোহিদ চৌধুরী প্রতিপক্ষের লোকের হামলায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহত সাংবাদিক তৌহিদ চৌধুরী (২৫)কে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জানাযায় সাংবাদিক তোহিদ গত শুক্রবার রাতে শহরের হাসপাতাল রোডের সেন্ট্রাল প্লাজায় ঔষধ কিনতে আসেন। এসময় আগ থেকে পরিকল্পিত ভাবে উৎ পেতে থাকা  উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুমআহমেদের নেতৃত্বে একদল বখাটে যুবকদের হামলা সাংবাদিক তৌহিদ চৌধুরী গুরুত্বর আহত হন। আহত তৌহিদ চৌধুরীকে স্থানীয় জনতা উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা ও ভর্তি করান। ঘটনার খবর পেয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তাকে হাসাপাতালে গিয়ে দেখে আসেন এবং তার খোজ খবর নেন। হামলার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের এস আই জাহাঙ্গীর আলমসহ একদল পুলিশ হাসাপাতে গিয়ে আহত খোজ খবর নেন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদে  আইননের মাধ্যমে বিচারের ব্যবস্থার আশ্বাস প্রদান করেন।আহত তৌহিদ চৌধুরী বলেন,দেবপাড়া ইউনিয়নের আব্দুল  ওয়াদুদ মিয়ার পুত্র মাসুম আহমদ জীবন,গুলডুবা গ্রামের আরিফ হাসান,হরিধরপুর গ্রামের বদরুল আলম,ফয়ছল আহমদ ও টুনাকান্দি গ্রামের নাইম আহমদসহ ১৫/২০ জনের একদল দূর্বত্ত তার উপর পরিকল্পিত হামলা করেছে।এসময় হামলাকারী তার কাছে নগদ অর্থ মোবাইল ফোনসহ  ছিনিয়ে নিয়ে যায়।        

বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানিয়ে বলেন- ১৫ বছর যাবত বিএনপির নেতাকর্মীরা কর্মীরা রাজপথে আছে। মানুষের ভোটের অধিকার ও দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে দখলদার আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। পুলিশ দিয়ে হামলা, মামলা আর গ্রেফতার করে বিএনপির আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই বিএনপি ঘরে ফিরবে। সভায় এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন বলেন- মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলায় গ্রেফতার করে জি কে গউছকে দুর্বল করা যাবে না। আওয়ামী লীগ ও পুলিশ প্রশাসনের জুলুম নির্যাতনে জি কে গউছের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জি কে গউছ এখন বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, জি কে গউছ এখন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় স্থান করে নিয়েছে। ইনশাআল্লাহ, একটি সুষ্ঠ নির্বাচন হলেই জি কে গউছ হবিগঞ্জের এমপি হবেন, আরও বড় দায়িত্ব পালন করবেন। এডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরী বলেন- বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে অধিকাংশ জেলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন হচ্ছে। কিন্তু যে কয়েকটি জেলায় পুলিশ বাঁধা সৃষ্টি করে, হামলা করে, গুলি বর্ষণ করে এর মধ্যে হবিগঞ্জ একটি জেলা। কারণ আওয়ামী লীগ জানে, সুষ্ঠ নির্বাচন হলেই জি কে গউছ এমপি হবেন। হবিগঞ্জে জি কে গউছের আকাশচুম্মি জনপ্রিয়তা রয়েছে। ভালোবাসা দিয়ে, উন্নয়ন দিয়ে, সততা দিয়ে জি কে গউছ মানুষের হৃদয় জয় করেছে। আওয়ামীলীগের জুলুম নির্যাতন যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে জি কে গউছের জনপ্রিয় ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনসমর্থন জি কে গউছের পক্ষে যাচ্ছে। কারণ আওয়ামী লীগের মিথ্যাচার মানুষ বুঝে গেছে, মানুষ আর তাদের কথা বিশ্বাস করে না। হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির আহŸায়ক আবুল হাশিমের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহŸায়ক এডভোকেট হাজী নুরল ইসলাম ও হাজী এনামুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সফিকুর রহমান ফারছু, সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরী, এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য এম জি মোহিত, আজিজুর রহমান কাজল, শামছুল ইসলাম মতিন, গীরেন্দ্র চন্দ্র রায়, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক এডভোকেট আফজাল হোসেন, জেলা জাসাসের আহŸায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা মহিলাদলের সভাপতি এডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা লাভলী সুলতানা, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিমু আক্তার চৌধুরী, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহŸায়ক মিজানুর রহমান সুমন, জেলা মৎস্যজীবি দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মর্তুজা আহমেদ রিপন, লিটন আহমেদ, বজলুর রহমান, আব্দুল কাইয়ুম মেরাজ, কামাল খান, মামুন আহমেদ, আব্দুল হান্নান, হারিছ মিয়া, গোলাপ খান, ইলিয়াছ আলী, আনিসুর রহমান জেবু, ইকবাল আহমেদ, সাজিদ মিয়া, বাদল আহমেদ, জাকির হোসেন, আব্দুল রাজ্জাক চৌধুরী বকুল, আব্দুস সালাম, আনোয়ারুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, আলকাছ মিয়া, মুশলিম শাহ, সৈয়দ রুহেব হোসেন, মালেক শাহ, সদর উপজেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট ইলিয়াছ, শেখ ওসমান গনি, আব্দুল কাদির, মজনু মিয়া, এম ডি দুলাল, মানিক মিয়া, জয়নাল মিয়া, আব্দুল কাইয়ুম, যুবদল নেতা মহসিন সিকদার, দুলাল মিয়া, হোসাইন আহমদ রানা, নরোত্তম দাস, সাদেকুর রহমান লিটন, সাইদুর রহমান শামিম, তারেক আহমেদ তাহির, মোঃ নুরুল আমিন, কাওছার আহমেদ, শামিম আহমেদ, এমদাদুল উল্লাহ খান, মোঃ আদব আলী, মহিবুল হক সুমন, মিজানুর রহমান আলমগীর, আক্কাস ভান্ডারী, সোহাগ হোসাইন, জাহাঙ্গীর মিয়া, মিলন মিয়া, সুমন, স্বপন মিয়া, মোঃ কাসেম, শ্রমিক দল নেতা রতন আনসারী, আব্দুল খালেক, শেখ রহমত আলী, আশরাফুল আলম সবুজ, আনিস মিয়া, আক্তার মিয়া, আব্দুল হামিদ, হাসান আলী, জেলা ছাত্রদল নেতা জনি আহমেদ, রুকন আহমেদ, রুবেল আহমেদ, মুরাদ আহমেদ, রাব্বি আহমেদ, মোজাক্কির হোসেন ইমন, শেখ রাসেল, ফয়জুল ইসলাম ইব্রাহিম, মাহফুজ চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান, জাবের আহমেদ, সৈয়দ মোবারক, শিমুল আহমেদ, জাসাস নেতা ফজর আলী ফজল, এমদাদুল হক লিটন, মহিলা দল নেত্রী নুরজাহান বেগম, আফরোজা চৌধুরী, আমিনা আক্তার ও নাজমা আক্তার প্রমুখ।

 
 

 

হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল ১৭ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন। এই কমিটি আগামী ৩ বছর দায়িত্ব পালন করবে। কমিটিতে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সদস্য মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরীকে সভাপতি ও হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাবেক সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক একেএম মইন উদ্দিন চৌধুরী সুমনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এছাড়াও মোতাহের হোসেন বিজু, বিপ্লব রায় চৌধুরী, সফিকুজ্জামান হিরাজ, হাজী মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, মোঃ আব্দুর রউফ মাসুক সহ-সভাপতি, আবুল কাশেম মোল্লা ফয়সল, মোঃ বদরুল আলমকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ডাঃ মোঃ ইশতিয়াক রাজ চৌধুরী, মোঃ মামুন মিয়া, মোঃ মানিক মিয়া, মহিবুর রহমান মাহীকে সাংগঠনিক সম্পাদক, শাহজাহান মিয়াকে ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক, আশরাফ উদ্দিনকে জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক, আরিফ ফয়সল খান ও আহমেদ ইবনে মুশফিককে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। উক্ত কমিটিকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্র বরাবর জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গেল বছরের ১১ অক্টোবর হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« November 2023 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
    1 2 3 4 5
6 7 8 9 10 11 12
13 14 15 16 17 18 19
20 21 22 23 24 25 26
27 28 29 30