নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নে বজ্রপাতে হাওরে কাওসার মিয়া (২১) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার গভীর রাতে মাছ ধরা অবস্থায় তিনি নিহত হন। কাওসার মিয়া উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামের তাজুদ মিয়ার ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় কাওসার মিয়া তাহার বাড়ির পশ্চিমে যোগী ডর হাওরে মাছ ধরতে যান। হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতের বিকট শব্দ শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত অবস্থায় কাওসার মিয়াকে দেখতে পান পরে তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নবীগঞ্জ থানায় খবর দিলে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলীর নির্দেশে থানার এস আই স্বপন চন্দ্র দাস ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। এদিকে কাওসার মিয়ার মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বজ্রপাতে নিহতর বিষয়টি নিশ্চিত করেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী।
নবীগঞ্জ উপজেলায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে মন মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। এঘটনায় উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। নিহত মনা মিয়া (৬০) মোস্তফাপুর গ্রামের মৃত কদর উল্লাহর ছেলে। তাৎক্ষণিক আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়- আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামের তকমত উল্লাহর ছেলে ও সাবেক ইউপি সদস্য সাফু আলমের সঙ্গে মৃত কদর উল্লাহর ছেলে মনা মিয়ার বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে শুক্রবার দুপুরে সাফু আলম ও মনা মিয়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে ইটপাটকেল ও পিকল নিক্ষেপ করা হয়। এসময় পিকলের আঘাতে বৃদ্ধ মনা মিয়া (৭০) নিহত হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নোমান হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে, এরই জের ধরে সংঘর্ষ হয়।
বাহুবলে সড়ক দুর্ঘটনায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র অরঙ্গ দেব (১৪) নামে এক স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে। একই সাথে ওই দুর্ঘটনায় তার পিতা অর্জুন দেব গুরুতর আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাহুবল উপজেলার কল্যাণপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের বাড়ি বাহুবল উপজেলার সম্ভুপুর গ্রামে। নিহত অরঙ্গ দেব পুটিজুরী শরৎচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। পুটিজুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুস সালাম জানান, অর্জুন দেব তার ছেলে অরঙ্গ দেবকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে দিগম্বর বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন ঢাকা সিলেট মহাসড়কের দিগম্বর বাজারে ঢাকা থেকে সিলেটগামী মিতালী পরিবহনের একটি বাসকে পেছনে ধাক্কা দেয় হবিগঞ্জ-সিলেট বিরতিহীন এক্সপ্রেসের দ্রুতগামী একটি বাস। এ সময় মিতালী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাপা দেয় সামনে থাকা মোটরসাইকেলে। এতে বাসের চাপায় মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা অরঙ্গ দেব ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তার বাবা মোটরসাইকেল চালক অর্জুন দেবকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাসচাপায় ছেলে নিহত ও বাবা আহত হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রায় এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে এবং বিকেল ৫টার দিকে অরঙ্গের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
মাধবপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ষ্টার ফরসিলিন কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে। গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টা থেকে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের শাহপুর ষ্টার ফরসিলিন কারখানার প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে অবরোধ করে বেতনের দাবিতে শতশত শ্রমিক সড়কে অবস্থান নেন। এতে সড়কে দুপাশে ৫/৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শতশত যানবাহন আটকা আটকা পড়ে। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও মাধবপুর উপজেলা প্রশাসন আন্দোলনরত শ্রমিকদের মহাসড়ক ছেড়ে আলোচনায় বসার আহবান করলেও শ্রমিকরা দাবি আদায়ে অনড় ছিলেন।
শ্রমিকরা জানান, নিয়মিত তাদের বেতন মজুরি পরিশোধ করছেনা মালিক পক্ষ। বকেয়া বেতন পরিশোধ করার দাবিতে গত ৩ মাস আগে তারা রাস্তায় নেমেছিল। তখন কারখানা কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসন তাদের লিখিতভাবে আশ্বাস দিয়েছিল বকেয়া বেতন পরিশোধ করবে। কিন্তু তারা সব পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
শ্রমিক নেতা সবুজ মিয়া ও আলা উদ্দিন জানান, এক সাথে ৩ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে শ্রমিকদের। যার কারনে শ্রমিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে পারছেনা। তাই তারা বাধ্য জীবনের তাগিদে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।
কারখানার ম্যানেজার মোঃ মিঠুন মিয়া জানান, চলমান পরিস্থিতির কারনে কারখানায় উৎপাদিত ডিনার সেট বিদেশে রপ্তানি ও দেশে বিক্রি কমে গেছে। তাই কারখানা আর্থিক সংকটে পড়েছে। এরপরও তাদের বকেয়া পরিশোধ করতে আমরা রাজি আছি। দু’পক্ষ আলোচনা করে তাদের ন্যায়সঙ্গত পাওনা পরিশোধ করা হবে।
খবর পেয়ে মাধবপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম ফয়সাল ও থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন গিয়ে স্টার ফোরসেলিন সিরামিকস কোম্পানির কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে শ্রমিকদের সব দাবীদাওয়া মেনে নিলে বিকেল সাড়ে চারটায় শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম ফয়সাল বলেন, শ্রমিকদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে উপজেলা প্রশাসন ও মাধবপুর থানা। আশা করি মালিক পক্ষ শ্রমিক দেনাপাওনা অবশ্যই নিষ্পত্তি হবে।
এবারের বন্যায় হবিগঞ্জে ৭ উপজেলায় ১৬৯ কিলোমিটার রাস্তা ও ৬ ব্রীজ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব রাস্তা ও ব্রীজ মেরামতে প্রয়োজন ১৪১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
জেলায় এ ক্ষতি শুধুমাত্র স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মাধ্যমে নির্মিত ৬২টি রাস্তা ৬টি ব্রীজের। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ৬২টি রাস্তার প্রায় ১৬৯ কিলোমিটার ক্ষত ভেসে উঠে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা। এ উপজেলার ২৪টি রাস্তায় ৫৯ কিলোমিটারে ছোটবড় গর্ত ও অনেক স্থানে বড় বড় ভাঙ্গন দেখা গেছে। সদর উপজেলার রাস্তা মেরামতে প্রয়োজন ৪০ কোটি টাকা।
এছাড়াও বানিয়াচং উপজেলায় ৪০ কিলোমিটার, আজমিরীগঞ্জে ৩২ কিলোমিটার, চুনারুঘাটে ১৪ কিলোমিটার, বাহুবলে ৪টি ব্রীজ ও ১২ কিলোমিটার, মাধবপুরে ৭ কিলোমিটার ও লাখাই উপজেলায় ২টি ব্রীজ ও ৫ কিলোমিটার রাস্তা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলায় খোয়াই নদীর বাঁধে এলজিইডির ২১ কিলোমিটার রাস্তা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে রিচি ও লোকড়া ইউনিয়নের লোকজন চলাফেরায় দুর্ভোগে পড়েছেন।
সদর উপজেলার রিচি ইউনিয়নের জালালাবাদ অংশে খোয়াই নদীর বাঁধে প্রায় ৫০ ফুট প্রশস্ত ভাঙন দেখা গেছে। সেখানে নদী ও হাওড় যুক্ত হয়ে গেছে। ফলে মানুষ ও যান চলাচল অচল হয়ে পড়েছে। মাছুলিয়া-মশাজান এলাকায়ও নদীর দু’পাড়ের বাঁধে নির্মিত এলজিইডির রাস্তা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
বন্যার পানিতে অন্য ৬ উপজেলার ব্রীজ ও রাস্তাগুলোর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ১৬৯ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতের জন্য প্রায় ১৪১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম জানান, চেষ্টা করছি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা ও ব্রীজগুলো খুব শীঘ্রই মেরামত করার।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক কমিটির সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- শেখ হাসিনা গত ১৬টি বছর আমাদের উপর অনেক জুলুম করেছে, অনেক কষ্ট দিয়েছে, গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। মিথ্যা মামলায় দন্ড দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৬টি বছর বন্দি করে রেখেছিল। মিথ্যা মামলায় দন্ড দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। শেখ হাসিনা ভেবেছিল, পুলিশ দিয়ে, আইন শৃংখলা বাহিনী দিয়ে আজীবন মতায় থাকবেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে এক কাপড়ে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।
তিনি গতকাল সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনয়িনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে হবিগঞ্জ জেলা কৃষকদলের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মফিজুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, যুগ্ম আহ্বায়ক আজম উদ্দিন ও এডভোকেট আফজাল হোসেন, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, নিজামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী আব্দুল মতিন প্রমুখ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক কমিটির সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- শেখ হাসিনা গত ১৬টি বছর আমাদের উপর অনেক জুলুম করেছে, অনেক কষ্ট দিয়েছে, গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। মিথ্যা মামলায় দন্ড দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৬টি বছর বন্দি করে রেখেছিল। মিথ্যা মামলায় দন্ড দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। শেখ হাসিনা ভেবেছিল, পুলিশ দিয়ে, আইন শৃংখলা বাহিনী দিয়ে আজীবন মতায় থাকবেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে এক কাপড়ে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।
তিনি গতকাল সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনয়িনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে হবিগঞ্জ জেলা কৃষকদলের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মফিজুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, যুগ্ম আহ্বায়ক আজম উদ্দিন ও এডভোকেট আফজাল হোসেন, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, নিজামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী আব্দুল মতিন প্রমুখ।
হবিগঞ্জের সদর উপজেলার পূর্ব ভাদৈ অংশে খোয়াই নদীর বাঁধ ধ্বসে গেছে। ফলে নদীতে আরেকবার বান আসলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ভাদৈ এলাকায় বাঁধের প্রায় ৫০ ফুট অংশ ধ্বসে গেছে। বাঁধের মাটি ধসে নদীতে পড়ে যাচ্ছে ও ধ্বসের পরিমাণ একটু একটু করে বাড়ছে। এলাকাবাসী এ অবস্থা দেখে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধ মেরামতের আশ্বাস দেন। এতে লোকজন শান্ত হয়।
স্থানীয়রা জানান, ২৩ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জেলা সার্কিট হাউজের বৈঠকে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত বাঁধ মেরামত করার নির্দেশ দেন। নির্দেশের এক সপ্তাহ পরও তাঁরা মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি। ফলে বাঁধ ধসে গেছে ও বাঁধের উপরের রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। আগামীতে বৃষ্টি হলে ও ঢল নামলে পুরো বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করবে। লাখও মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান জানান, পূর্ব ও পশ্চিম ভাদৈ উভয় এলাকায় বালুবোঝাই ভারী যানবাহন চলাচল করায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিগগিরই মেরামত না করলে উজানের ঢলে বাঁধ ভেঙে হবিগঞ্জ শহর তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা থেকে যাবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলার সাদারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, নিম্নচাপের ফলে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্রিপুরা থেকে সম্প্রতি আরেকবার খোয়াই নদীতে পানি আসার শঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাঁধ মেরামত করা অতি জরুরি।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, তিনি দ্রুত বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেবেন। এ ব্যাপারে অবহেলা করা হবে না।
বানিয়াচংয়ে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেলো বড় ভাইয়ের। ঘটনাটি ঘটেছে ২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকাল ১০ টায় বানিয়াচং উপজেলার ৩ নম্বর দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়নের দোয়াখানী গ্রামে। নিহত ব্যক্তি নওশাদ মিয়া (৫০) উপজেলা সদরের ৩নং দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়ন এর কিম্মত আলীর ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ আহমিনা আক্তার নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে। সূত্রে জানা যায়, নিহত নওশাদ মিয়া ও তার ছোট ভাই জুহেদ মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে সোমবার সকাল ১০টার দিকে দুই ভাইয়ের মধ্যে বাড়ির সীমানা নিয়ে দুজনের মধ্যে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে ছোট ভাই জুহেদ মিয়া উত্তেজিত হয়ে বড় ভাই নওশাদ মিয়াকে তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করে। সাথে সাথেই নওশাদ মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে আশ পাশের লোকজনের সহায়তায় তাকে স্থানীয় উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্বরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যে খুনি জুহেদ মিয়ার স্ত্রী আহমিনা আক্তারকে আটক করা হয়েছে। তাদের বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরেই এই হত্যাকান্ডের সুত্রপাত। তবে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে শহীদ করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় দন্ড দিয়ে কারাবন্দি করে বিএনপিকে আবারও ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করেছিল। শেখ হাসিনা দেশনায়ক তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় দন্ড দিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারেনি। বিএনপি আরও সু-সংগঠিত হয়েছে। জনরুষে মুখে শেখ হাসিনাই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তিনি গতকাল রবিবার দুপুরে শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন। সাম্প্রতিক বন্যায় নিহত এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের রূহের মাগফেরাত, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রূহের মাগফেরাত কামনায় এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে জি কে গউছ আরও বলেছেন- দীর্ঘ ১৬ বছর পর আমরা মুক্ত পরিবেশে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করছি। কিন্তু বিএনপি যে একটি বৃহৎ দায়িত্বশীল দল তা আবারও প্রমাণ করেছে। বিএনপি এ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেশের বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন তাদের জন্য দোয়া মাহফিলে আয়োজন করা হয়েছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রূহের মাগফেরাত কামনা এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলে আয়োজন করেছে।
তিনি বলেন- বিএনপিকে নিয়ে নতুন করে আবারও চক্রান্ত শুরু হয়েছে। কিন্তু আমরা আপনাদেরকে চিনি এবং জানি। খেয়াল রাখবেন, আমরা যারা বিএনপি করি কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ বোঁকা না। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিতে জানে, কোনো চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। মাহফিলে অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী নুরুল ইসলাম, ইসলাম তরফদার তনু, হাজী এনামুল হক ও এডভোকেট কামাল উদ্দিন সেলিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা রফিক, এম জি মোহিত, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, জেলা মৎস্যজীবি দলের সভাপতি এডভোকেট মুদ্দদ আহমেদ, বিএনপি নেতা আজম উদ্দিন, আফজাল হোসেন, মর্তুজা আহমেদ রিপন, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, জেলা জাসাসের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বাবুল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গুলজার খান, এস এম মানিক, নজরুল ইসলাম কাউছার, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, জেলা মহিলাদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিমু আক্তার চৌধুরী, জেলা তারেক পরিষদের সভাপতি জাকির হোসেন রানা প্রমুখ।