নবীগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারজান বকত (১৫) নামের এক যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, মারজান বকত নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সিটফরিদপুর গ্রামের ফরিদ বকত এর পুত্র।মারজান বকত তার চাচা হান্নান বকত এর বাড়ির টিনের চালে বিদ্যুতের ছেঁড়া লাইন বাঁশ দিয়ে সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় ।স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার এসআই গৌতম সরকার ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ডালিম আহমেদ।
নবীগঞ্জ উপজেলার স্বস্থিপুর এলাকার মতিউর রহমান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাম্মৎ আছমা খাতুনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মতিউর রহমান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইংল্যান্ড প্রবাসী শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক মতিউর রহমান চৌধুরীর দায়ের করা মামলায় আছমা খাতুন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। বাদী মতিউর রহমান চৌধুরী প্রধান শিক্ষিকা আছমা খাতুনের বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (২য়) আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেন। মোছাম্মৎ আছমা খাতুন (৪৮) নবীগঞ্জ উপজেলার শাপলাবাগের (মোতাহিরের বাড়ি) মহিউদ্দিন আকন্দের স্ত্রী। আর বাদী মতিউর রহমান চৌধুরী (৭০) বর্তমানে সিলেট শাহজালাল উপশহরে বসবাস করছেন।
একটি মামলায় বাদী মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন- তিনি যুক্তরাজ্য প্রবাসী। নিজের অর্থায়নে নবীগঞ্জ উপজেলার স্বস্থিপুর এলাকার মতিউর রহমান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করে আসামীকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিয়ে এলাকার দরিদ্র ছেলে মেয়েদেরকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে যাচ্ছেন। স্কুলের যাবতীয় দায় দায়িত্ব বর্ণিত আসামী পালন করে থাকেন। ১ম ঘটনার তারিখে অর্থাৎ ০১/১০/২০২২ ইং তারিখে বাদীর নিকট হতে স্কুলের ব্যায় নির্বাহের জন্য উক্ত আসামী দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা যাহা স্কুলের নামিয় এফ.ডি.আর নগদায়ন করে আসামী গ্রহন করেন এবং ৩ মাসের মধ্যে পরিশোধ করার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু আসামীকে বার বার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও তিনি বিভিন্ন টালবাহানা করে সময় অতিবাহিত করছেন এবং খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় যে, উক্ত আসামী তার ব্যক্তিগত কাজে উক্ত টাকা ব্যবহার করেছেন। অতঃপর বিগত ০৫/০৫/২০২৩ ইং তারিখ বাদী আসামীর নিকট উক্ত টাকা পরিশোধের জন্য তাগিদ দিলে আসামী সমূহ ঘটনা অস্বীকার করে। ফলে বাদী নিশ্চিত হন যে, উক্ত আসামী প্রতারণামূলক ভাবে বর্ণিত টাকা আত্মসাত করেছেন। এমতাবস্থায় বাদী বাধ্য হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় আদালতে নালিশ দায়ের করেন।
অপর মামলায় বাদী মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন- আসামী আছমা খাতুনের সাথে বাদীর স্বাভাবিক কারণে সুসম্পর্ক থাকায় আসামী তার গ্রামের বাড়িতে একটি বসতঘর তৈরী করার জন্য বিগত ০১/০৮/২০২২ ইং তারিখে বাদীর নিকট হইতে একখানা অঙ্গীকার নামা সম্পদান ক্রমে নগদ ৮ লক্ষ টাকা সমজিয়া নেন এবং ৬ মাসের মধ্যে উক্ত টাকা পরিশোধ করার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর বার বার তাগিদ দেওয়া স্বত্ত্বেও টাকা পরিশোধ না করায় বাদী গত ০৫/০৫/২০২৩ ইং তারিখে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিলে আসামী সমূহ ঘটনা অস্বীকার করে। ফলে বাদী নিশ্চিত হন যে, বাদীর সরলতার সুযোগ নিয়া প্রতারণা করে বাদীর টাকা আত্মসাত করেছেন।
নবীগঞ্জে ভিড় বাড়ছে কামারের দোকানে। গলি ঘেষে পা বাড়ালেই কানে বাজছে ‘ঢাক-ঢুক’ আর ‘ঝিঁ-ঝিঁ’ শব্দ। মাঝে মধ্যে লোহা ও কয়লাপোড়া ঝাঁঝালো গন্ধে গলা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এমন পরিবেশে দগদগে লোহা পিটিয়ে চলছে ধারালো অস্ত্র তৈরির কাজ। আর তা সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানের খোপে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার ওসমানী রোড, হাসপাতাল রোডের কামার পট্টিতে এখন এমনই দৃশ্য। পশু কোরবানি ও মাংস কাটার অস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। দাম একটু বেশি হলেও বেচা-বিক্রি ভাল বলে জানান কামারেরা। নবীগঞ্জ শহর বাজার ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় কামারেরা ঈদের আগের দু’দিনে আরও বেশি ছুরি-বটি বিক্রির আশায় দিনরাত ব্যস্ত আছেন লোহা পেটানোর কাজে। নবীগঞ্জ বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দোকানের খোপে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ছুরি, বটি, দা, চাপাতি, কুড়ালসহ ধারালো সব অস্ত্র। স্প্রিং এবং সাধারণ লোহা থেকে তৈরি এসব অস্ত্র পছন্দ মতো কিনছেন ক্রেতারা। এক কামার ব্যবসায়ী বলেন, ঈদ আসলে আমাদের বিক্রি ভালো হয়। সারা বছরের তুলনায় ঈদ মৌসুমে বিক্রির ধুম পরে। তাই সারা বছরের ক্ষতি ঈদ আসলে তা কিছুটা পূরণ করতে পারি। ঈদের দু এক দিন আগে বিক্রি বেশি হয়।
নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ পারিবারিক কাজে যুক্তরাজ্য গমন করায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান -১ জাকির হোসাইন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করছেন। গতকাল আনুষ্ঠানিক ভাবে পরিষদ হলরুমে এই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ। তিনি তার দায়িত্ব পালনে ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ ও পরিষদের সকল সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
আজ নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব খলিলুর রহমান চৌধুরী (রফি) এর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৩ইং সনের ১৯ই জুন তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি ছিলেন। পরে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। প্রতিবছরই মুত্যুবার্ষিকীতে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে নানা আয়োজন করা হয়। মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া কামনা করা হয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলায় ট্রান্সফরমার চুরির সময় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। গতকাল রবিবার বিকেলে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ চোরচক্রের ৩ সদস্যকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত চোর চক্রের সদস্যরা হলেন- নবীগঞ্জের গজনাইপুর ইউনিয়নের শতক গ্রামের ঈসমাইল মিয়ার ছেলে শাহনেওয়াজ মিয়া (৩৫), বানিয়াচংয়ের বন-শিবপাশা গ্রামের মৃত আমরু মিয়ার ছেলে আমিন মিয়া (৩৫), বাহুবলের হিমেরগাঁও গ্রামের মৃত খুরর্শেদ মিয়ার ছেলে রোকন মিয়া (৩৩)। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়- রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে একদল চোরচক্র গজনাইপুর ইউনিয়নের লামরোহ গ্রামের লেবু মিয়ার বাড়ির সামনের বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ট্রান্সফরমার চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে চোরচক্রের ৩ সদস্যকে চুরিকৃত ট্রান্সফরমার ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশাসহ আটক করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন চোরদের উত্তম মাধ্যম দিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চুরিকৃত ২৫ কেভির ট্রান্সফরমারের মালামাল ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করে এবং আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে পল্লী বিদ্যুৎতের নবীগঞ্জ জোনাল অফিসের সহকারী জোনাল কর্মকর্তা জুয়েলুর রহমান বাদী হয়ে চোরচক্রের ৩ সদস্যকে আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন, মামলা দায়েরের পর আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কী না তা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হবে।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের রিপাতপুর গ্রামে রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরধরে প্রতিপক্ষের পিতাপুত্র সহ একই পরিবারের ৪জন গুরুতর আহত হয়েছেন৷ আহতরা হলেন ওই গ্রামের প্রবীণ কৃষক আব্দুল মালিক (৭০), তাঁর ছেলে দিলাল মিয়া-( ৩৩),জিলদার মিয়া(৩৫) ও সিজিল মিয়া ( ৪০)৷ আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে৷ ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সকাল অনুমান ৮ঘটিকায়৷ আহত সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ওই গ্রামের প্রবীণ কৃষক আব্দুল মালিক মিয়া ও মনসুর মিয়ার সাথে একই গ্রামের মৃত মুসলিম উল্যার পুত্র মারাজ মিয়া গংদের সাথে রাস্তানিয়ে পূর্ব বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল এরই জেরধরে ঘটনার উল্লেখিত সময়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মারাজ মিয়া সহ তার পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র সহকারে কৃষক পরিবারের লোকজনের উপর কয়েকদফা অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করেছে বলে অভিযোগ করেন আহতরা৷ হামলার সময় ওই স্থানে সরকারী সার্ভেয়ার ও উপস্থিত ছিলেন বলে তারা জানান৷ কৃষক আব্দুল মালিক ও তার ছেলে দিলাল মিয়া বলেন,এই রাস্তাটি আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা৷ এই রাস্তানিয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা মোকদ্দমা হলে রাস্তাটির রায় আমাদের পক্ষে হওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে নির্যাতন ও হয়রানী করে আসছে৷ আমরা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি৷ তাদের ভয়ে আহত পরিবারের লোকজন ঘরবাড়ীতেও যেতে পারছেননা বলে অভিযোগ করেন তারা৷
নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি কিবরিয়া চত্ত্বরে সিএনজি শ্রমিক ও মাইক্রোবাস শ্রমিকদের মধ্যে ১০ টাকার নোট নিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ১০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ জুন) বেলা ৩ টা থেকে বিকাল প্রায় সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী ও নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমদ সহ শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঐ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার আউশকান্দি মাদ্রাসা স্ট্যান্ডের সিএনজি চালক জাবেদ মিয়াসহ কয়েকজন গত ১২ জুন সকাল ১১ টার দিকে আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারে এসে ১৫ টাকা গাড়ি ভাড়া দেন। এ সময় সিএনজি চালক জাবেদ বলেন, ১০ টাকার নোট পরিবর্তন করে দেয়ার জন্য। তবে, নোমান বলে, তার কাছে আর কোন টাকা নেই, এই নোট অচল নয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা দেখা দিলে স্থানীয়রা কয়েকবার বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে আউশকান্দি ইউপি বিট অফিসার এসআই গৌতম দাশ, আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি নুরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদ সহ উভয় পক্ষের শ্রমিক নেতারা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছু শ্রমিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও গাড়ি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে সমঝোতার আলাপ চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে, যদি কোন পরে লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নবীগঞ্জ ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বুরহানপুর গ্রামের লন্ডন প্রবাসী জাকির হোসেন এর বাড়ির সামনের ড্রেনের গর্ত থেকে অবৈধ আগ্নেআস্ত্র পাইপগান উদ্ধার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল বিকেলে ওই এলাকায় একটি অভিযোগের তদন্ত করতে পুলিশ এই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করলে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে অস্ত্র উদ্ধারের জাকির হোসেনর বোন সামিনা বেগম বলেন আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের বাড়ীতে পুরুষ না থাকার সুযোগ নিয়ে আমাদের পরিত্যক্ষ জায়গা এই অস্ত্র রেখে আমাদের ফাসাতে চায় বলে তিনি দাবি করছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, গ্রামের কবরস্থান নিয়ে গ্রামবাসীর সাথে লন্ডন প্রবাসী জাকির হোসেনের পরিবারের সাথে দীঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত ৬ই জুন গ্রামবাসীর পক্ষের গেদা মিয়ার পুত্র রাহিম চৌধুরীর বিয়ে গেইট জাকির হোসেন বাড়ীর সামনে সরকারী রাস্তায় নির্মান করায় জাকির হোসেনের লোকজন তা ভেঙ্গে ফেলে। গ্রামবাসী পক্ষের লোকজন গেইট ভাঙ্গার কারন জানতে চাইলে উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে গুলিবর্ষন হয়। গুলিতে অনন্ত ২০ জন লোক আহত হন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির লোকজন এসে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরে রাহিম চৌধুরীর পক্ষে তার চাচাতো ভাই ফখরুল চৌধুরী বাদী হয়ে ১০ জনকে অভিযুক্ত করে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। রবিবার বিকেলে ওই গ্রামে অভিযোগটি তদন্ত করতে যান দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলশের সাব-ইন্সেপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম তার সাথে এ এস আই বির্মল সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে যান। অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে তিনি এই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেন। এসময় পুলিশ ৫টি এমটি কার্তুজ ও ৩টি লোহার পাইপ উদ্ধার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সেপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম বলেন অস্ত্র উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন নবীগঞ্জ থানায় ৮ ই জুন দায়েরকৃত মামলা নং ৬ এর তদন্ত করতে সেখানে যাই এবং বুরহান পুর গ্রামের মৃত কলমদর আলী পুত্র জাকির হোসেনের বাড়ীর পূর্ব পার্শ্বে খালি জায়গার উত্তর পার্শ্বে নিমানাধীন ড্রেইন এর ভিতর থেকে অস্ত্র উদ্ধার করি।
নবীগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের গেট স্থাপনকে কেন্দ্র করে দুই’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলিবিনিময় হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বুরহানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- সৌদি প্রবাসী দিলাওর হোসেন (৪৩), শামীম আহমদ (৩২), আকিনুর রহমদ (৩০), দিদার আহমদ (২৬), রহিমা খাতুন (৪০), সাজু আহমদ (২৮), আব্দুল হাদী (৫৫), মাহের আহমদ (২৭), রাহিম চৌধুরী (২৮), শাহানুর মিয়া (৩০), ইমরান আহমদ (২৫), সোহেল আহমেদ(২৭) সেকুল মিয়া (২৯), তুহিন আহমেদ (২৪), হান্নান মিয়া (২৬), শরীফ আহমদ (২৫), সাইফুল মিয়া (৩১), গেদা মিয়া (৪০), আকবর আলী (৪৫) , রুহুউল্লাহ (৪৭)। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়- আগামী শুক্রবার গেদা মিয়া চৌধুরী ছেলে রাহিম চৌধুরীর বিয়েকে কেন্দ্র করে সরকারি পাকা সড়কের উপর গেট স্থাপন করে।
মঙ্গলবার সকালে ৮-১০ জন যুবক বিয়ের গেট জাকির হোসেনের বাড়ির সামনে হওয়ায় তাদের মানহানি হয়েছে দাবী করে ভাংচুর করে গেইটের সরঞ্জাম ভেঙে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের লোকজন অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধসহ ২০ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি
স্বাভাবিক করে। বুরহানপুর এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন, বিয়ের গেট স্থাপনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের সিলেট ও নবীগঞ্জ ভর্তি করা হয়েছে। গুলাগুলি প্রসঙ্গে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি জানান- প্রত্যদক্ষর্শীরা জানিয়েছেন সংঘর্ষ চলাকালে গুলির শব্দ শুনা গেছে। এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।