হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে হবিগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলেয়া আক্তার বিজয়ী হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৫৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। আলেয়া আক্তার হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এর স্ত্রী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী পেয়েছেন ৫০১ ভোট। অপর প্রার্থী মোঃ ফরিদ আহমেদ তালুকদার ৬ ভোট এবং মোঃ নুরুল হক পেয়েছেন ৫ ভোট। শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ২টা পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলায় ৯টি কেন্দ্রে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জেলায় মোট ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ১০২ জন ভোটারের মাঝে ১ হাজার ৭৬ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেনে। নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য, সংরক্ষিত সদস্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলরগণ ভোটার ছিলেন। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী। ফলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য হয়।
হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলেয়া আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরী পেয়েছেন ৫০১ ভোট। অপর প্রার্থী ফরিদ উদ্দিন তালুকদার মোটর সাইকেল প্রতীকে ৬ এবং নূরুল হক চশমা প্রতীকে ৫ ভোট জামানাত হারালেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসন থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ার জন্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন মুসফিক হোসেন চৌধুরী। ফলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটিতে উপ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, শনিবার জেলার নয়টি কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ইভিএম পদ্ধতিতে। এতে জেলার ৭৮টি ইউনিয়ন, ৫টি পৌরসভা ও ৯টি উপজেলা পরিষদের ১১০২ জন ভোটার ছিলেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৭৬ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সাইদুর রহমান জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।