হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুন্ন করা এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে অব্যাহতি দিয়ে জেলা ছাত্রলীগকে অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান রবিন। তিনি জানান, রোববার রাত ১১টার দিকে তাকে অব্যাহতি দিয়ে পত্র দেয়া হয়েছে। তবে তার স্থলে কাউকে এখনও ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হয়নি।অব্যাহতি পত্রে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় এমন এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. মোশারফ হোসেনকে (সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, হবিগঞ্জ জেলা শাখা) তার স্বীয় পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। উল্লেখ্য, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পী’র ৩ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের একটি আপত্তিকর ভিডিও শুক্রবার ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পী অজ্ঞাত এক যুবতীর সাথে ভিডিও কলে কথা বলছেন এবং তাকে উড়ো কিস করছেন। তখন ওই যুবতী নেচে নেচে বিবস্ত্র হয়ে গোসল করছেন। এ অবস্থায় বাপ্পীও নগ্নতায় জড়িয়ে পরেন। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ওয়াটসঅ্যাপে ভিডিওটি একে অপরের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি ভাইরাল হলে জেলাজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। পাশাপাশি ছাত্রলীগ পরিবারে ক্ষোভ দেখা দেয়। এদিকে ছাত্রলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পী ফেইসবুকের ৭টি আইডি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মনোনীত হওয়ার পর থেকে তিনি সততার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, তার ছবি এডিট করে ভিডিও তৈরী করে কুরুচিপুর্ণ কথা বার্তা লিখে ওই ৭টি আইডির মাধ্যমে পোস্ট করে সামাজিকভাবে তাকে হেয় করা হয়েছে এবং ওই আইডির ব্যক্তিরা তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।
নবীগঞ্জ উপজেলায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের সদরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত দুই শিশু হলো- সদরাবাদ গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন (৮) ও বাবুল হোসেনের ছেলে রাফি আহমেদ (৬)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- সদরাবাদ গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন (৮) ও বাবুল হোসেনের ছেলে রাফি আহমেদ (৬) পরিবারের সদস্যদের অগোচরে পার্শ্ববর্তী সামাদ মিয়ার পুকুরে গোসল করতে নেমে পানির নীচে তলিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য স্থানে তাদের না পেয়ে সামাদ মিয়ার পুকুরে পানিতে নেমে খোঁজখুজি করেন। এক পর্যায়ে ইকবাল ও রাফির মৃতদেহ ভেসে ওঠে। এদিকে পানিতে ডুবে একসঙ্গে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে। এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন- সদরাবাদ গ্রামে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো ধরণের অভিযোগ নেই। ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বরাবর আবেদন করা হয় এবং আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।