নবীগঞ্জ সংবাদ। নবীগঞ্জে কলেজ ছাত্র সৈয়দ তাহসিন হত্যাকান্ডের ঘটনা’কে কেন্দ্র করে দু’ গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক লোজ আহত হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি দোকান পাট ভাংচুর, মটর সাইকেলে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পরে বাহুবল সার্কেল এসপি আবুল খয়ের, ইউএনও এর নেতৃত্বে দাঙ্গা পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কটোর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সংঘর্ষ চলাকালে শহরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।বিভিন্ন প্রাপ্ত সুত্রে জানাযায়, মঙ্গলবার রাতে কুর্শি ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদের মালিকাধীন রাজা কমপ্লেক্সের পিছনে ফুড কর্নারে দু’দল কলেজ ছাত্রদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনাটি আনমনু গ্রামের কয়েকজন যুবক সমাধা করে দেন। এই খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদ তার মাকের্টের ভিতরে কেন ঘটনা ঘটলো এনিয়ে আনমনু গ্রামের লোকজনদের উদ্দেশ্য করে গালমন্দ করেন এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কথা বার্তা বলেন। এর প্রতিবাদ করেন আনমনু গ্রামের কতিপয় যুবক। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এদিকে চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদ তার মালিকানা গোল্ড ব্রিকফিল্ট থেকে একাধিক ট্রাক দিয়ে ইট, কাচের বোতলসহ প্রচুর লোকজন নিয়ে আসেন। তারা রাজা কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় অবস্থান করে বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। জবাবে আনমনু গ্রামের লোকজনও নীচ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন।এ সময় চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমানের নিজ গ্রাম এনাতাবাদের লোকজন কাউন্সিলর নানু মিয়ার মোটর সাইকেলে অগ্নি সংযোগসহ ৩টি সাইকেল ভাংচুর করে। কাউন্সিলর নানু মিয়ার দোকানসহ একাধিক দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। পাল্টা হামলায় রাজা কমপ্লেক্সের গøাস ভাংচুর করা হয়। প্রকাশ্যে একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গ্রাম থেকে লোকজন এনে শহওে রণক্ষেত্রের ঘটনায় শহর জুড়ে আতংক সৃষ্টি হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড কাদাঁনো গ্যাস নিক্ষেপ করেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারেনি। এক পর্যায়ে বাহুবলের সার্কেল এসপির নেতৃত্বে হবিগঞ্জ থেরেক একদল দাঙ্গা পুলিশ আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যানসহ এনাতাবাদের লোকজনদেও পুলিশ প্রহরায় শহর থেকে বিদায় করে দেয়া হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে নবীগঞ্জ- বাহুবল আসনের এমপি এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী পরিস্থিতি শান্ত করতে ফোনে বক্তব্য রেখে পরিস্থিতি স¦াভাবিক করার চেষ্টা করেন। এসময় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা অনুমপ দাশ,সহকারী কমিশনার ভূমি সাহিন দেলোয়ার,ওসি মাসুক আলী,নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ইউপি চেয়াম্যান এমদাদুর রহমান মুকুল, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমান সেফু, জেলা পরিষদের সদস্য শেখ সফিকুজ্জামান শিপন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু, ইউপি চেয়ারম্যান, নির্মেলেন্দু দাশ রানা, নোমান আহমদ সাবেক জেলা পরিষদে সদস্যর আঃ মালিক সাবেক প্যানেল মেয়র এটিএম সালামসহ সাংবাদিক জনপ্রতিনধি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সংঘর্ষেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে অপ্রাণ প্র্রচেষ্টা করেছেন।