নবীগঞ্জে ধান ক্ষেত নষ্ট করা ক্ষতিকর পোধা কিভাবে নিধন করা যায় সে বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নবীগঞ্জের ৪০টি বøকে এক যোগে আলোক ফাদঁ স্থাপন করে কৃষকদেও নিয়ে কৃষি কর্মকতর্দার পরামর্শ সভা অনুষ্টিত হয়।। গত বুধবার রাতে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার আলোক ফাদেঁর মাধ্যমে নির্দিষ্ট এলাকার কৃষি জমিতে বিভন্ন ফসলের জন্য উপকারী ও ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়। নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বøকে আলোক ফাদঁ স্থাপন করে বিভিন্ন উপকারী পোকা যেমন, ক্যারবিড, বিটল লেডি বার্ড, বটল,জ্যামসেল ফøাই এবং ক্ষতিকর পোকার মধ্যে মাজরা পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা, সুবজ পাতা ফড়িং পোকার উপস্থিতি লক্ষ্যে করা যায়। চলতি রোপা, আমন মৌসুমে ধানের ক্ষতিকর পোকা দমনে কৃষকদের আলোক ফাদঁ জমিতে পাচিংকরাসহ প্রয়োজন পরামর্শ প্রদান করা হয়। নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার শেখ ফজলুল হক মনি ৪০টি ব্লকে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা অজিত রঞ্জন দাসসহ বিভিন্ন বøকে আলোক ফাদঁ পরিদর্শন করেন এবং কৃষকদের পার্চিং করাসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন।
যুক্তরাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি পরিবারের দুই শিশু সন্তানসহ এক প্রবাসী ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ওই ব্যবসায়ীর অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী। নিহতের গ্রামের বাড়ি নবীগঞ্জ উপজেলায়। এ ঘটনায় যুক্তরাজ্য বাংলাদেশী কমিউনিটি ও পরিবার-পরিজনসহ তার নিজ গ্রামের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের আব্দুল কালামের ছেলে আলমগীর হোসেন সাজু (৩০), আলমগীরের দুই সন্তান জাকির হোসেন (৯) ও মাইরা হোসেন (৪)। যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ও আলমগীরের স্বজনরা জানান- নিহতদের পরিবার বার্মিংহাম শহরের নিকটবর্তী ওয়ালসালের প্লেক শেরিডান স্ট্রিটের বাসিন্দা। আলমগীর হোসেন সাজু স্বপরিবারে একদিনের সফরে বার্মিংহাম থেকে লেস্টারে গিয়েছিলেন। গত শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে ফেরার পথে তাদের বহনকারী বিএমডব্লিউ কারটিকে একটি লরি ধাক্কা দেয়। এতে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই সাজু ও তার ছেলে জাকির নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় মাইরা হোসেনের। এছাড়া ওই প্রবাসীর অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী সেখানকার একটি হাসপাতালে আইসিইউতে রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক যুক্তরাজ্যে বসবাসরত নূর উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল বলেন- আলমগীর হোসেন সাজু বার্মিংহামের একজন ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব। তাদের মৃত্যুতে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল জানান- আলমগীর যখন ছোট ছিল, তখন দুইবার বাংলাদেশে আসে। এরপর দীর্ঘসময় অতিক্রম হলেও বাংলাদেশে আসেনি। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। কুর্শি ইউনিয়নের কাদমা গ্রামের নিহত আলমগীরের আত্মীয় জাকির হোসেন জানান- আলমগীর সপরিবারের দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে আসেন না। গ্রামের বাড়ি কল্যাণপুরে তাদের বাড়ি রয়েছে তবে সেখানে কেউ এখন আর থাকেনা। তিনি বলেন- দেশে আলমগীরের এক চাচা ছিলেন আবুল হোসেন দুলা, তিনি প্রায় এক বছরপূর্বে মারা যান। তার অন্যান্য চাচারা যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। হঠাৎ আলমগীর ও তার ছেলে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা হতভম্ব হয়ে গেছি। দুর্ঘটনায় আলমগীরের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী গুরুতর জখম পেয়েছেন তার অনাগত সন্তান মৃত প্রসব করেন। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে তবেতার অবস্থা আশংজনক। কুর্শি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান বলেন- কল্যাণপুর গ্রামের আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। তিনি সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় আলমগীর তার ছেলে ও মেয়ের মৃত্যুর সংবাদে আমরা ইউনিয়নবাসী শোকে কাতর।তিনি আলমগীর তার ছেলে ও মেয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় অভিন্ন মানদণ্ডে হবিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ডালিম আহমেদ, মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী কর্মক্ষেত্রের কৃতিত্ব স্বরূপ তাঁহাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন। নবীগঞ্জ থানায় যোগদানের পর থেকে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ডালিম আহমেদ পেশাদার অপরাধী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি, চোর, ডাকাত ও মাদক মামলার আসামি গ্রেফতার, জুয়াড়ি, দেশীয় অস্ত্র, বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমসহ নানা ধরণের কাজের মাধ্যমে পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে সার্বিক বিষয়ে অবদান রাখায় গত ১২ সেপ্টেম্বর মাসে হবিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। এর স্বীকৃতি স্বরূপ পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেল) আবুল খয়ের, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মহসিন আল মুরাদ (মাধবপুর সার্কেল)। এছাড়াও হবিগঞ্জ জেলার অফিসার ইনচার্জগণ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও অন্যান্য অফিসার ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ডালিম আহমেদ, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, স্যারের কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত ও গর্বিত। এ পুরস্কার আমাদেরকে কাজের স্পিহা ও দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে তুলেছে। থানার সংশ্লিষ্ট সকলের দায়িত্বশীলতায় ও ভালোবাসায় আমি পুরস্কৃত হয়েছি। আমরা চেষ্টা করবো অর্পিত দায়িত্ব এবং কর্তব্য যেন সততার সহিত পালন করতে পারি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় অভিন্ন মানদণ্ডে হবিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ডালিম আহমেদ, মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী কর্মক্ষেত্রের কৃতিত্ব স্বরূপ তাঁহাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন। নবীগঞ্জ থানায় যোগদানের পর থেকে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ডালিম আহমেদ পেশাদার অপরাধী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি, চোর, ডাকাত ও মাদক মামলার আসামি গ্রেফতার, জুয়াড়ি, দেশীয় অস্ত্র, বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমসহ নানা ধরণের কাজের মাধ্যমে পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে সার্বিক বিষয়ে অবদান রাখায় গত ১২ সেপ্টেম্বর মাসে হবিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। এর স্বীকৃতি স্বরূপ পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেল) আবুল খয়ের, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মহসিন আল মুরাদ (মাধবপুর সার্কেল)। এছাড়াও হবিগঞ্জ জেলার অফিসার ইনচার্জগণ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও অন্যান্য অফিসার ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ডালিম আহমেদ, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, স্যারের কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত ও গর্বিত। এ পুরস্কার আমাদেরকে কাজের স্পিহা ও দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে তুলেছে। থানার সংশ্লিষ্ট সকলের দায়িত্বশীলতায় ও ভালোবাসায় আমি পুরস্কৃত হয়েছি। আমরা চেষ্টা করবো অর্পিত দায়িত্ব এবং কর্তব্য যেন সততার সহিত পালন করতে পারি।
হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জিকে গউছ এর মুক্তির দাবিতে গতকাল সোমবার বাদ এশা হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের আয়োজনে শহরের মশাল মিছিল অনুষ্টিত হয়। মশাল মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন জেলা যুবদলের আহবায়ক জালাল আহমদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মিজানুর রহমান সুমন, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, যুবদল নেতা মোঃ দুলাল মিয়া, মোঃ মনজুর উদ্দিন মনজু, জালাল উদ্দিন সজলু, মোঃ জমির আলী, মোঃ আঃ কাইয়ুম, এডভোকেট জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, হোসাইন আহমেদ রানা, মোঃ মাসুক মিয়া, মোঃ আলমগীর মিয়া, এনামুল হক চৌধুরী, আঃ হান্নান নানু, আমিনুল ইসলাম আখন্জী, সাইদুর রহমান শামিম, মাহবুবুল আলম মালু, সাদেকুর রহমান লিটন, মোঃ মোশাহিদ আলী, মোঃ ফজলুর রহমান ফজলু, মোঃ জয়নাল আবেদীন, ওয়াহিদ মুরাদ, শামিম আহমেদ নাসির, মোঃ রওশন মিয়া, সৈয়দ আবু নাঈম হালিম, মোঃ আল আমিন, মোঃ নুরুল আমিন, নাসির উদ্দিন আফরুজ, আবুল হাসান আসাদ, মোত্তাকিন আহমেদ জয়নাল, তুষার রায়, জিয়াউল খাঁ, শেখ জাকারিয়া, আকলুছ মেম্বার, ইলিয়াস মিয়া, নাজমুল সিকদার, মোঃ আদম আলী, জাকির হোসেন, বাঘা জামাল, মোঃ জাহির মিয়া, আঃ কাইয়ুম, কামরুল ইসলাম তালুকদার,এখলাছ মিয়া, সামাদুল, মোঃ ফজলু মিয়া, মোবাসির আলম, তুহিন, অনিক, এমরান, সুজন, শাহজাহান প্রমূখ।
সিলেট লালা বাজার ৭ আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশের অভিযানিক শ্রেষ্ঠ এএসআই নির্বাচিত হলেন মাহমুদুল হাসান । তিনি জেলার গুরত্বপূর্ণ উপজেলা লালা বাজার ৭ আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশ ক্যাম্পে এ এস আই হিসেবে কর্মরত। ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে সিলেট লালা বাজার ৭ আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশ ক্যাম্পে এক সভায় তাকে জেলার অভিযানিল শ্রেষ্ঠ এএসআই হিসেবে নির্বাচিত করে ৭ আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশ।এ উপলক্ষ্যে অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি ৭ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান খোন্দকার ফরিদুল ইসলাম তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পুরষ্কার ও ক্রেষ্ট প্রদান করেন।সিলেট লালা বাজার ৭ আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশ অফিস সূত্র জানায়, মাদক,সাজাপ্রাপ্তআসামি,ওয়ারেন্ট তামিল,চোরাইহওয়া মোবাইল উদ্ধার,সামগ্রিক কর্মতৎপরতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধদমনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাকে অভিযানিক শ্রেষ্ঠ এ এস আই নির্বাচিত করে আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশ লালা বাজার সিলেট। মাহমুদুল হাসান হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের কৃতি সন্তান। এ ব্যাপারে এএসআই মাহমুদুল হাসান জানান, পেশাগত পুরষ্কার প্রাপ্তির এ গৌরব শুধু তার নয়, এটি আমার অভিযানিক টিমের প্রত্যেক পুলিশ সদস্যদের। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে তিনি এ গৌরব অর্জন করতে পেরেছেন। বিশেষ করে ধন্যবাদ জানান অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি ৭ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান খোন্দকার ফরিদুল ইসলামকে।এ পুরষ্কার তিনি ক্যাম্পের প্রত্যেক সদস্যদের উৎসর্গ করেছেন। এ পুরষ্কার প্রাপ্তি তার পেশাগত দক্ষতায় আরো উৎসাহ ও প্রেরণা যোগাবে বলে জানান তিনি।এদিকে তার এ পেশাগত সাফল্যে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ব্যক্তিগত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
নবীগঞ্জ উপজেলার পাটলী গ্রামের মন্দিরের পুকুর থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ভাসমান অবস্থায় সমর সরকার (৭৫) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে মৃতের ছুরতহাল শেষে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের আদিত্যপুর গ্রামের সমর সরকার (৭৫) বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে, আখড়ায় পুজা ও কীর্তনে থাকেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় তিনি করগাওঁ ইউনিয়নের পাটলী গ্রামে মন্দিরে জন্মাষ্টমীর অধিবাস অনুষ্ঠানে যান। সেখানে অধিবাস অনুষ্ঠান উপভোগ করে সবাই যার যার মতো করে চলে গেলেও তিনি মন্দিরে রাত্রি যাপন করেন। পর দিন বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে স্থানীয় লোকজন সমর সরকার (৭৫) কে মন্দিরের পাশের পুকুরে মৃত ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে নবীগঞ্জ থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে থানার এসআই অনিক বাবু এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ পুকুর থেকে বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধার করে ছুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে মৃতের ছেলে সনজিৎ সরকার বলেন, তার বাবা মন্দিরে মন্দিরে পুজা-কীর্তনে বেশীর ভাগ সময়ই ব্যয় করতেন। বাড়িঘরে তেমন থাকতেন না। এসআই অনিক বাবু বলেন, খবর পেয়ে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। পানিতে পড়েই উনার মৃত্যু হয়েছে।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। গতকাল দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর জিডির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে আরও ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবির এসআই আফতাবুল ইসলাম। অন্য দিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার রিমান্ড ও জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) মধ্যরাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) জি কে গউছকে আটক করেন। পরের দিন বুধবার (৩০ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর জিডির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবির এসআই আফতাবুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিডির অভিযোগ থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, পরস্পর যোগসাজশে জি কে গউছ তৎকালীন হবিগঞ্জ সদর ও লাখাই আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহির এবং তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করেন। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৮ আগস্ট হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। ঘটনার পর থেকে ঢাকা ও এর আশপাশ এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন জি কে গউছ। তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও বলেন, হত্যার ষড়যন্ত্রের রহস্য উদ্ঘাটন ও মামলার এজাহারনামীয় অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য জি কে গউছকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। গত ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২১ আগস্ট জি কে গউছকে প্রধান আসামি করে ৭০০ এর মতো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় মঙ্গলবার জি কে গউছসহ হবিগঞ্জের ১৮৩ জন বিএনপি নেতাকর্মী হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিকেলে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এমডি আমিনুল ইসলামের দ্বৈত বেঞ্চ তাদের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। এরপর হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক জালাল আহমেদ জানান, জি কে গউছ হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়েন। এরপর আদালত এলাকা থেকে বের হলে ডিবি পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায়।