Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Sunday, 28 April 2024

হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলেয়া আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরী পেয়েছেন ৫০১ ভোট। অপর প্রার্থী ফরিদ উদ্দিন তালুকদার মোটর সাইকেল প্রতীকে ৬ এবং নূরুল হক চশমা প্রতীকে ৫ ভোট জামানাত হারালেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসন থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ার জন্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন মুসফিক হোসেন চৌধুরী। ফলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটিতে উপ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, শনিবার জেলার নয়টি কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ইভিএম পদ্ধতিতে। এতে জেলার ৭৮টি ইউনিয়ন, ৫টি পৌরসভা ও ৯টি উপজেলা পরিষদের ১১০২ জন ভোটার ছিলেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৭৬ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সাইদুর রহমান জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

 

 

হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন আজ । সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার ৭৮টি ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণে ইতিমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, ভোটাররা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ক্যামেরা সহ কোনো ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস নিতে পারবেন না। এগুলো বাহিরে রেখে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। এই নির্বাচনে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর চৌধুরী (প্রতীক-ঘোড়া),মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলেয়া আক্তার (প্রতীক-আনারস), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মো. নুরুল হক (প্রতীক-চশমা) ও মো. ফরিদ আহমেদ তালুকদার (প্রতীক-মোটরসাইকেল) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে জেলার ৯টি উপজেলা, ৫ পৌরসভা ও ৭৮ ইউনিয়ন পরিষদের মোট ভোটার (জনপ্রতিনিধি) ১ হাজার ১০৪ জন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ সাখাওয়াত হাসান জীবন এর বড় ভাই এডভোকেট আহমদুল হাসান কামাল ইন্তেকাল করেছেন ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজেউন। গতকাল রাতে তিনি ইন্তেকাল করেন। আজ বাদ আসর বানিয়াচং কামালখানি গ্রামের হাসান মঞ্জিলে মরহুমের জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

নবীগঞ্জ উপজেলায় বড়বোনের স্বামীর লাঠির আঘাতে ছোটবোনের স্বামী বাবলু মিয়া (২৫) নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়নের বাগাউড়া গ্রামে জানাযার নামাজ শেষে বাবলু মিয়াকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহত বাবলু মিয়া (২৫) বাগাউড়া গ্রামের ফজল মিয়ার ছেলে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশ জানায়- বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়নের হরিনগর গ্রামের আব্দুল হামিদের বড় মেয়ে সাবিনা বেগমের বিয়ে হয় একই গ্রামের আকবর মিয়ার সঙ্গে ও ছোটমেয়ে নাঈমা বেগমের বিয়ে হয় বাগাউড়া গ্রামের বাবলু মিয়ার সঙ্গে। বাবলু মিয়া (২৫) সিলেটের জাফলংয়ে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বাগাউড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে আসেন বাবলু। বাড়িতে এসে স্ত্রী নাঈমাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে বাবলু পাশ্ববর্তী হরিনগর গ্রামের ভায়রা ভাই আকবর মিয়ার বাড়িতে যান। আকবর মিয়ার বাড়িতে তার স্ত্রী নাঈমাকে খুঁজে পান বাবলু। এসময় স্ত্রীর কাছে বাড়িতে না থাকার কারণ জানতে চায় বাবলু মিয়া। এনিয়ে স্ত্রী নাঈমার সঙ্গে বাবলু মিয়ার বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ভায়রা আকবর মিয়ার সঙ্গেও বাগবিতণ্ডায় জড়ায় বাবলু। এ সময় ভায়রা আকবর মিয়া লাঠি দিয়ে বাবলু মাথায় আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বাবলু। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাবলুকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল শুক্রবার ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবলু মিয়ার মৃত্যু হয়। শুক্রবার দুপুরে সিলেটে ময়নাতদন্ত শেষে বাবলু মিয়ার মরদেহ নিয়ে আসায় হয় গ্রামের বাড়িতে। পরে বিকেলে জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ প্রসঙ্গে বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার মিয়া ছুবা বলেন- গত কয়েকদিন আগে আকবর মিয়া ও বাবলুর মধ্যে ঝামেলা হয়, এসময় আকবর লাঠি দিয়ে বাবলুর মাথায় আঘাত করলে বাবলু গুরুতর আহত হয়। পরে বাবলুকে সিলেট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবলু মারা যায়। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন- গত ৫ মার্চ দুই ভায়রা ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে বাবলু মিয়া গুরুতর আহত হয়, শুক্রবার ভোরে সিলেটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবলু মিয়া মারা যায়। তিনি বলেন- অভিযোগ পেয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শুক্রবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ কলেজ ছাত্র তাহসিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার মা সহ পরিবার- পরিজনকে দেখতে যান নবীগঞ্জ- বাহুবল আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম কুমার দাশ, সহকারী ভূমি শাহিন দেলোয়ার, নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুক আলী,  সহ আরো অনেকেই। নিহত তাহসিনের মাকে এমপি শান্তনা দিয়ে থানার ওসিকে নির্দেশ দেন যাহাতে দ্রুত প্রকৃত আসামীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা যায়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত নবীগঞ্জ উপজেলার ৬নং কুর্শি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান ও পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড আনমুনু গ্রামের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এসময় ৩টি ব্যাংক ও মার্কেটসহ অর্ধশতাধিক দোকানপাঠ ভাংচুর করা হয়। সংঘর্ষে নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সহ ৮ জন পুলিশ সদস্য এবং সাংবাদিকসহ শতাধিক লোকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪৫ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী বলেন, পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতে মা বাদী হয়ে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের আসামীদের ধরতে আমরা আলাদা একটি টিম গঠন করেছি। আসামীদের গ্রেফতার করতে আমাদের পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি বাজারে সরকারি ভাবে সিলগালা করা কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে ভুল অপারেশন করে শিশুকে খৎনা করতে গিয়ে লিঙ্গ কর্তন করলে প্রচুর রক্ত করণ হয়।পরে রোগী কান্না কাটি করলে তাকে ও তার আত্বীয় স্বজনকে চিকিৎসক ও মালিক পক্ষের মারপিট করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । পরে উত্তেজিত জনতা ঘেরাও করেছে। লাইভে সংবাদ প্রচার করতে গেলে মালিক সুহুল আমিন সাংবাদিকদের হাত পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক ভাবে কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে কাউকে পায়নি। এবিষয়ে ভুল অপারেশনের শিকার শিশু তামিমের চাচা হারুন মিয়া বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার সময়, নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি বাজার কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। উক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার ১৫ দিন পূর্বে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অনুমোদন বিহীন থাকায় সিলগালা করা হয়। জানাযায়, বিকাল ৪ টার সময়ে নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের ফরিদ পুর গ্রামের আব্দুশ শহীদের পুত্র ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র তামিম আহমেদ (১২)কে খৎনা করার জন্য নিয়ে আসলে কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সুহুল আমিন ও ডাক্তার জহিরুল ইসলাম চৌধুরী জয় সরকারি সিলগালা করা কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালা খুলে অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করেন। হঠাৎ রোগীর চিৎকার শোনে মা বাবা আত্মীয় স্বজন ভিতরের প্রবেশ করে দেখতে রোগী কেন চিৎকার করছে তার জন্য ডাক্তার ও মালিক রোগী কে চর থাব্বর মারছেন। তারা প্রতিবাদ করলে মালিক সুহুল আমিন ও তার লোকজন রোগীর আত্মীয় স্বজন কে মারপিট করে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বাহির করে দেন। চরম হট্রগোল শুরু হয়,খবর পেয়ে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ আহমদ আজাদ, সাংবাদিক বুলবুল আহমদ সহ ক্ষতিপয় সাংবাদিক ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি জানতে চান ও লাইভ করতে চাইলে মালিক নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ আহমদ আজাদ কে হাতা পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে উপস্থিত জনতা রোগী কে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। রাতে শিশু তামিমের চাচা হারুন মিয়া বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের ডাক্তার ও মালিক কে সহ গং ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এবিষয়ে শিশু তামিমের চাচা হারুন মিয়া বলেন, আমার ভাতিজা কে খৎনার নামে ভুল অপারেশন করে লিঙ্গ কেটে ফেলে, প্রচুর রক্ত করণ হয়েছে,সে কান্না কাটি করলে তামিম কে ডাক্তার ও মালিক মারপিট করেছেন। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় সিলেটে একটি বেসরকারি হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। আমি নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। এবিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) শাহীন দেলোয়ার বলেন, সিলগালা করা কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার কেন খুলা বিষয় টি খতিয়ে দেখা হবে। এটা আমরা ১৫ দিন আগ সিলগালা করা হয়েছিল। এবিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা টিএইচও ডাক্তার আব্দুস ছামাদ বলেন, অনুমোদন বিহীন কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়েছে। আজকে কেন কে বা কারা খুলছে আমরা বিষয়টি জানিনা,খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাসুক আলী জানান, তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন,ঘটনাটি খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়েছি।

আমার ভাই কবরে খুনি কেন বাহিরে এই স্লোগানকে সামনে রেখে এক বিশাল বিক্ষোভ  মিলিছ ও মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের মেধাবী ছাত্র সৈয়দ রাইসুল হক তাহসিনের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের  ছাত্র- ছাত্রীদের আয়োজনে  কলেজ থেকে মিছিল শুরু করে নবীগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে শেরপুর রোডে এসে মানব বন্ধনে সবাই মিলিত হন। বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী, তাহসিনের পরিবারের লোকজনসহ অসংখ্য সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বক্তরা নিহত  তাহসিনের আসামীদের আগামী ৪৮ ঘন্টার বিতরে গ্রেফতারের দাবী জানান।  বক্তরা আগামী ৪৮ ঘন্টার বিতরে আসামীদের গ্রেফতার না করা হলে তারা তাদের আন্দোলন আরো জোরদার করব। উল্লেখ্য নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তাহসিন হত্যাকান্ডে মান্না'কে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীরা হলো, জুয়েল, রিহাত, সাফি,রিমন, জাকির,লাদেন,সাজু,সাজ্জাত,রাতুল ও মওদুদ। অজ্ঞাত রাখা হয়েছে আরো ৪/৫ জনকে।নিহত তাহসিনের মা" মাহফুজা সুলতানা বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। 
 
নবীগঞ্জে মালিকানা জমিতে সবজি চাষে বাধা দিয়ে প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়েছে জমির মালিকের সৎ ভাইয়েরা। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ উপজেলার বাউশা ইউনিয়নের হরিধরপুর  গ্রামের মৃত লতিব উল্লা এর পুত্র হাজী মোঃ আব্দুল মালিক ৪ জনের নাম উল্লেখ করে নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,অভিযোগকারী আব্দুল মালিক একজন প্রবাসী।তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্বপরিবার নিয়ে প্রবাসে বসবাস করে আসছেন। প্রবাসে থাকার সুবাদে আব্দুল মালিকের সৎ ভাই আব্দুল হামিদ ও আব্দুল খাছ বিভিন্ন ভাবে তার সম্পত্তি আত্মসাতে অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।  তাদের অত্যাচারে তিনি পুরান বাড়ীর থাকার পর তার পাশে একটি নতুন বাড়ী তৈরী করি বসবাস করেন।  আব্দুল মালিক গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তার মালিকানাধীন জমিতে চাষবাদ করার জন্য  জমির পাশে যান। তখন আব্দুল মালিকের সৎ ভাইয়েরা সবজি চাষ করতে বাঁধা প্রদান করে। তখন তিনি বলেন আমার জায়গায় সবজি চাষ করিতেছি আপনারা বাঁধা দেওয়ার  কে। এসময় আব্দুল হামিদ তার হাতে থাকা কোদাল দিয়া প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করার জন্য এগিয়ে আসে। আব্দুল মালিকের শোর-চিৎকার শুনে আশ পাশের লোকজন এগিয়ে আসেন।  এসময়  তার সৎ ভাই আব্দুল হামিদ, আব্দুল খাছ ও আব্দুল হামিদের ছেলে মোঃ মুন্না, মোঃ ফাহিম প্রাণে হত্যার হুমকি প্রদান করে। এছাড়া আব্দুল মালিকের পিতার নামীয় পুকুর থেকে তারা জোর পূর্বক মাছ মেরে নিয়ে যায়। তিনি মাছ ধরতে গেলে বিবাদীগণ তাকে প্রাণে হত্যার হুমকি ধামকি প্রদান করে।

সিউল মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্ট ও ইউনিভার্সিটি অব সিউলের ২০২৪ সনের গ্লোবাল আরবান লিডার প্রোগ্রামে চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়ে কোরীয়া গেছেন হবিগঞ্জ পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাবেদ ইকবাল চৌধুরী। ২০২৪ সনের উক্ত প্রোগ্রামের জন্য প”থিবীর ২৭ টি দেশের পাবলিক অফিসিয়াল তাদের আবেদন দাখিল করেন। দাখিলকৃত আবেদন, প্রি প্রজেক্ট কনসেপ্ট পেপার পর্যালোচনা, জুম এপস এর মাধ্যমে ইন্টারভিউ শেষে মোট ১০ জন পাবলিক অফিসিয়ালকে উক্ত প্রোগ্রামের জন্য চুড়ান্তভাবে মনোনয়ন প্রদান করা হয়। মোট পাচ মাসের এ গ্লোবাল প্রোগ্রামটিতে নির্বাচিত ১০ জন পাবলিক অফিসিয়ালকে সিউলের বেষ্ট আরবান প্রাকটিসগুলো সম্পর্কে ধারনা দেয়া হবে। মূলত: এ প্রোগ্রামে তাত্বিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি ব্যবহারিক ও ফিল্ড ভিজিটকে গুরুত্ব দেয়া হবে। হবিগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা যে প্রি কনসেপ্ট পেপার দাখিল করেন তা হলো, ”বাংলাদেশের আরবান প্লাষ্টিক বর্জ্য ব্যব¯’ানা- এ কেস ষ্টাডি অব হবিগঞ্জ পৌরসভা। মূলত: তিনি উক্ত প্রোগ্রামে হবিগঞ্জ পৌরসভার বর্জ্য ব্যব¯’াপনার উপর জ্ঞানভিত্তিক গবেষনা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। হবিগঞ্জ পৌরসভার তার কনসেপ্ট পেপার সফল হলে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের সবগুলো পৌরসভায় তা’ বাস্তবায়ন করা যাবে মর্মে তিনি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে তিনি ২০০৯ সালে কোরিয়া বিশ^বিদ্যালয় হতে ‘মাষ্টার্স অব পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন অন মিউনিসিপ্যাল এন্ড লোকাল এডমিনিস্ট্রেশন’ ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি মিউনিসিপ্যাল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ম্যাব) এর সিলেট অঞ্চলের পৌরসভাগুলোর দুর্যোগ ঝুকি মোকাবেলা ও সিটিওয়াইজ ইনকুসিভ স্যানিটেশন কার্যক্রমের মাষ্টার ট্রেইনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

 

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি এলাকায় গতকাল রবিবার (৩ মার্চ) সকালে ইট ভর্তি ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে ২ জন সিএনজি যাত্রী নিহত, অপর ২ জন আহত এবং ৩টি শিশু বাচ্চা অক্ষত রয়েছে। স্থানীয় জনতা দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রায় ১ ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ এবং নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে এবং নিহতদের মরদেহ সিএনজিসহ থানায় নেয়া হয়েছে। হতাহতদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার চরকাটখাল গ্রামে।সুত্রে জানা যায়, উল্লেখিত গ্রামের সাহেদ আলীর ছেলে আব্দুল হাকিম শিশু বাচ্চাসহ পরিবারের ৭ জন সদস্যদের নিয়ে মৌলভীবাজার বরাক গ্রামের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে নিজ বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার চরকাটখাল গ্রামে যাওয়ার জন্য একটি সিএনজি মৌলভীবাজার থ (১৩-৩৫২০) যোগে রওনা দেন। বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে সিএনজিটি আউশকান্দি রহমান কমিউনিটি সেন্টারের নিকটস্থ স্থানে পৌছলে বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি ইট বোঝাই ট্রাক ঢাকা মেট্রো ড (১১-৩৩২৭) এর ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মৃত সাহেদ আলীর পুত্র আব্দুল হাকিম (৬০) ও আব্দুল আলীর স্ত্রী মুরচান বিবি (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মহা সড়কে যানচলাচল প্রায় ১ঘন্টা বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন।
হাইওয়ে থানা ও নবীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে লাশ উদ্ধার করে সিএনজি অটোরিক্সাসহ থানায় নিয়ে যান। তবে, ঘাতক ট্রাকটি সিএনজি অটোরিক্সা রিক্সাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। সাথে সাথে স্থানীয় লোকজন ট্রাকের পিছু নিয়ে জালালপুর নামক স্থানে ট্রাকটিকে আটক করা হয়। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত সিএনজি চালকের কোন খবর পাওয়া যায় নি। অপর আহত নিহত আব্দুল হাকিম মিয়ার পুত্র রাসেল মিয়া (১৬) ও মুরচান বিবির ভাই এর ছেলে রাহুল মিয়া (৯)। তবে সিএনজিতে থাকা ৩জন শিশু বাচ্চা অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেন শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিমল দেব।

 

 

  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« April 2024 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
1 2 3 4 5 6 7
8 9 10 11 12 13 14
15 16 17 18 19 20 21
22 23 24 25 26 27 28
29 30