Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Wednesday, 01 May 2024

নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে  একটি বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় একদল দুর্বৃত্তরা। শনিবার গভীর রাতে  একদল দুর্বৃত্তরা ওই বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় । পরে স্থানীয় জনতা আপ্রাণ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসলে বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় গ্রামবাসী। এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামে মুহিত মিয়ার সাথে একই গ্রামের তার নিকট আত্নীয়  ও ছালিক মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের একাধিক মামলা রয়েছে। কিছু দিন পূর্বে ছালিক মিয়াগংরা মুহিত মিয়াকে  মারপিট করে। মারপিটের ঘটনায় মুহিত মিয়া বাদী হয়ে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত আসামীগন মামলা দায়ের করায় মুহিত এর প্রতি উঠে আবারো মুহিত মিয়াকে মারধোর করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। মুহিত মিয়ার তার স্ত্রীকে নিয়ে বসত বাড়ীর উত্তর পার্শ্বে সরকারী খালের পাড়ে টিনের বেড়া, টিনের ছাউনী দিয়ে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। উক্ত স্থানে বসবাস করা অবস্থায় আসামীগণ উক্ত ঘর থেকে তাদেরকে উচ্ছেদ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। মামলা করার কারনে গত কয়েকদিন পূবেই বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে। এবং ছালিক মিয়াগংরা মুহিত মিয়াকে হত্যার করার উদ্দেশ্যে সকল আসামীগণ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র দা, লাঠি, ফিকল, লোহার রড ইত্যাদি দিয়ে বসত বাড়িতে হামলা চালায়। গত  শনিবার রাতে  মুহিত মিয়ার বাড়িতে না থাকার খবর জেনে আসামীরা  তার বসতঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। স্থানীয়  লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। অগ্নি সংযোগ করে বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

 

 

নবীগঞ্জে ছাত্রলীগের গ্রুপিং  সংঘর্ষে জের ধরে শহরে মোটরসাইকেল, সিএনজি ও বাড়ীতে ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ,৷ ছাত্রলীগ নেতার বাড়ীতে হামলা, লুটপাটসহ অস্ত্রের মহড়ার ঘটনায়  হবিগঞ্জ কোর্টে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন সদ্য বিলুপ্ত নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক নাজিম উদ্দোল্লা চৌধুরীর পিতা সমিজুর রহমান চৌধুরী।  মামলার বাদী  ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের  সাবেক সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, উপজেলা কৃষকলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি রেজা আহমদ চৌধুরী, যুবলীগ  নেতা সাজু আহমদ চৌধুরী, তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ছাত্রলীগ নেতা কাজল মিয়া ,আরিফুল ইসলাম প্রমি, রফিকুল ইসলাম, রিহাত মিয়া,সাজু আহমেদ হৃদয়, সাজ্জাদ উল্লা,সাইফ মিয়া,শাহ জাকির,আলমগীর চৌধুরী,ছালেক মিয়া,হুমায়ূন আহমেদ,আবু বক্কর চৌধুরী মিলন,তারেক আহমদ,মিজু আহমেদ, মাসুদ পারভেজ রুবেল। মামলা বিবরণে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে নাজিম উদ্দোল্লা চৌধুরী ও জাহিদুল ইসলাম রুবেল এর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে উভয় গ্রুপের একাধিক সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে নবীগঞ্জ শহরের মধ্য বাজারস্থ গোল্ডেন প্লাজার পিছনে তোহা বাজারের চায়ের স্টলে বসা অবস্থায় জাহিদুল ইসলাম রুবেলের উপর পরিকল্পিত হামলার  ঘটনা ঘটে।  ঘটনার পরেই ১৮ জানুয়ারি রাতে ৮ টার দিকে রুবেল গ্রুপের নেতাকর্মীরা মামলার প্রধান আসামী সাইফুল জাহান চৌধুরীর নেতৃত্বে নাজিম উদ্দোল্লার বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করে। মামলার আসামী  কাজল মিয়া নাজিম উদ্দোল্লার বাড়িতে থাকা ২ টি সিএনজি গাড়ি ভাংচুর করে এবং পেট্রোল দিয়ে গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। নাজিম উদ্দোল্লারকে প্রাণে হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদান করে। আলমগীর চোধুরী ওসমানী রোডে অবস্থিত জনি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়াকসপ থাকা নাজিম উদ্দোল্লার মোটর সাইকেল রাস্তায় বের করে ভাংচুর করে। আরিফুল ইসলাম প্রমি মোটর সাইকেলটিতে তার হাতে থাকা গ্যাস লাইট দিয়ে তেলের ট্যাংকির মুখ ভেংঙ্গে সাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। উক্ত অগ্নি কান্ডের ঘটনায় রাস্তায় যান চলাচলে বিঘ্নতা ঘটে। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে রুবেল গ্রুপের নেতাকর্মীরা নবীগঞ্জ শহরের প্রাণ কেন্দ্র শেরপুর রোডে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এতে করে সাধারণ জনগন ও ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম রুবেলের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রুবেলের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় (২৮ জানুয়ারি) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড ছাত্রলীগ নেতা রুবেলকে ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হামলা ভাংচুর অগ্নি  সংযোগ এর ঘটনায় পাল্টা -পাল্টা মামলা শহরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। 
 
 

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেন মারা গেছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মইনুল হোসেনের ভাগনে মুহিবুল আহসান প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মইনুল হোসেন ক্যানসারে ভুগছিলেন। আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় বারিধারা মসজিদে প্রথম জানাজা এবং বাদ জোহর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর আজিমপুর কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাঁর মরদেহ দাফন করা হবে।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ২০০৭ সালে গঠিত ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি আইন, তথ্য, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।

প্রখ্যাত সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার বড় ছেলে মইনুল হোসেনের বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তাঁর মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

মইনুল হোসেন ১৯৪০ সালের জানুয়ারিতে পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে বাবার মৃত্যুর পর তিনি ইত্তেফাক পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৭৩ সালে ইত্তেফাক-এর সম্পাদক পদ ছেড়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হন।

একই বছর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পিরোজপুরের (তৎকালীন বরিশাল) ভান্ডারিয়া-কাঁঠালিয়া নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অবশ্য ১৯৭৫ সালে সংসদ সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেন। তিনি নিউ নেশন নামে সাপ্তাহিক পত্রিকা বের করেছিলেন; যা পরে দৈনিক হয়। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন মইনুল হোসেন।

সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছে বলেই নির্বাচনে এসেছি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচন করবে দলীয় প্রতীকে, এককভাবে। আমরা চাই নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ। গত কয়েক বছরের স্থানীয় নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। নির্বাচন কমিশন আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর হবে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সরকারও আশ্বস্ত করেছে ভালো পরিবেশ হবে।

 মঙ্গলবার বনানীস্থ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। এসময় চুন্নু আরও বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি বোঝা যাবে প্রতীক বরাদ্দের পর। জাতীয় পার্টির এখন পর্যন্ত নয় জনের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে। ২৭২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ আছে। বাতিল হওয়া নয়জন আপিল করবেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে এন্টি আওয়ামী লীগের ভোট ডাবল।

 

ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে পারলে, ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে আমরা আওয়ামী লীগের থেকে বেশি ভোট পাবো।

লন্ডনঃ নিজের শেকড়কে ভূলে গেলে চলবেনা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে শেকড় থেকে বিচ্যুত নাহয় সেদিকে খেয়াল রাখতে প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানালেন মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী। তিনি বলেন আমারা যেখানেই থাকিনা কেন আমাদের অবশ্যই শেকড়ের সন্ধান করতে হবে। ব্রিটনে বসবারত ব্রিটিশ বাংলাদেশী নবপ্রজন্মকে দেশের সাথে সম্পর্ক রাখতে তিনি অভিবাবকদের সচেতন হওয়ার আহবান জানান। গতকাল ২৩শে নভেম্বর বৃহস্প্রতিবার রাতে ইষ্টলন্ডনের একটি রেষ্টুরেন্টে নবীগঞ্জ উপজেলা ওয়েলফেয়ার অর্গেনাইজেশন ইউকে আয়োজিত সম্বর্ধনা সভায় লন্ডন সফররত নবীগঞ্জ পৌর মেয়র সাবির আহমদ চৌধুরী বলেন নবীগঞ্জ পৌরসভাকে একটি মডেল পৌর শহরে রূপান্তরিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন শত বছরের পৌর শহর গুলোর তুলনায় নবগঠিত নবীগঞ্জ পৌরসভা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তিনি বলেন এই পৌরএলাকার অভ্যন্তরে সরকারী কোন জমি না থাকলেও তার প্রচেষ্টায় প্রায় দুই একর ভূমি ক্রয় করে ডাম্পিং ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, বিশেষ করে জানজট সমস্যার সমাধান কল্পে নবীগঞ্জ-শেরপুর রোডকে প্রসস্থ করা সহ ডেনেজে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন আর শহর বাসীকে জলাবদ্ধতায় ভোগতে হবেনা। পৌর শহরে একটি গোরস্থানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন মেয়র হিসেবে তিনি যে সম্মানী ভাতা পান তা নিজে খরচ না করে আর্থ মানবতার সেবায় ব্যয় করেন। এছাড়া সরকারী তহবিল থেকে কোন ধরেনের খরছও তিনি নেননি। আর একারণেই দলমত নির্বিশেষে মানুষ তাকে নির্বাচিত করে তাদের সেবা করার সুযোগ দিচ্ছে। তিনি বলেন আপনাদের দোয়া থাকলে আমি এভাবে নিজকে মানব সেবায় বিলিয়ে দিতে চাই। সংগঠনের সভাপতি আব্দুল হালিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী আবু তালিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্বর্ধনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন সফররত সিলেট জেলা বারের সদস্য অ্যডভোকেট জোৎস্না ইসলাম, ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রেসিডেণ্ট সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের প্রেসিডেণ্ট ব্যারিষ্টার আতাউর রহমান, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার কাউন্সিলার জাহেদ চৌধুরী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন এডভাইজার শামীম চৌধুরী, সম্বর্ধিত অতিথিকে স্বাগত জানিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন সলিসিটর সৈয়দা নাসিমা বেগম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল হাসান চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহিবুর রহমান, ফারসু মিয়া, বাবুল আহমদ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মোহিত, লোকমান হোসেন, জসিম উদ্দিন, মিনাল আহমদ চৌধুরী, সুমন আহমেদ প্রমুখ। অতিথিকে ফুল দিয়ে বরন করেন সলিসিটর সৈয়দা নাসিমা বেগম ও গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের সুফি সুহেল আহমদ ও অন্যান্যরা। (মতিয়ার চৌধুরী-লন্ডন ২৪নভেম্বর ২০২৩।)

নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সরফরাজ চৌধুরীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার এর প্রতিবাদে এবং পুলিশ কর্তৃক রাতে আধারে পুলিশে বোমা বিস্ফোরন ও মিথ্যা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমান সেফু বিএনপি নেতা সাহিদ তালুকদার,পৌর যুবদলের আহবায়ক মোঃ আলমগীর মিয়াসহ ১৫ নেতাকর্মীর উপর মিথ্যা মামলার দায়ের এর প্রতিবাদে  বিক্ষোভ  মিছিল  করছে নবীগঞ্জ  উপজেলা  বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার  বিকেলে  নবীগঞ্জ  নতুন বাজার এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের  বিভিন্ন  মোড় প্রদক্ষিণ  করে ডাকবাংলো  প্রাঙ্গনের সামনে এক পথসভায় মিলিত হন। পথসভায় বক্তব্য রাখেন, মুজিবুর রহমান সেফু, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মজিদুর করিম মজিদ, বিএনপির  নেতা, সাহিদ আহমদ তালুকদার,নূরুল গনি সোহেল, সোহেল আহমদ চৌধুরী রিপন, চুনু মিয়া (মেম্বার), হারুনুর রশিদ, মতিউর রহমান জামাল, আব্দুল বাছিত রাসেল, নবীগঞ্জ  পৌর যুবদলের  আহবায়ক মোঃ আলমগীর মিয়া, উপজেলা যুবদলের ১ম যুগ্ম আহবায়ক  জয়নাল আবেদীন, আল আমিন আহমদ, রাহয়ানুল বারী, সদস্য মনিরুল চৌধুরী,  জাকির চৌধুরী, সামাদুল হক,  আঃ রকিব,  উপজেলা ছাত্রদলের  যুগ্ম আহবায়ক  তৌহিদ চৌধুরী, মুহিত মিয়া কবির মিয়া, প্রমুখ। এসময় বক্তরা বলেন আমরা গত বুধবারের কেন্দ্রীয়  বিএনপির  অবরোধ  কর্মসূচি  শান্তিপূর্ণ ভাবে ঢাকা-সিলেট  মহাসড়ককে পালন করার সময়  সকালে আওয়ামী লীগ পুলিশ লীগ  আমাদের বাধা প্রদান করে আমাদের ব্যানার ও ২টি মোটর সাইকেল নিয়ে যায়।  এসময় আমাদের উপজেলা  বিএনপি আহবায়ক সরফরাজ  চৌধুরী তার আটক করে। ওইদিন রাতের আধারে পুলিশ নিজেরাই বোমা বিস্ফোরন ঘটিয়ে আমাদের ১৫ নেতাকর্মীদের উপর একটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করে।  নেতারা ওই মিথ্যার তীব্র  প্রতিবাদ ও নিন্দা  জানিয়ে  বলেন তাদের নেতাকর্মীর উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যহারে দাবি জানান।
 
 
 
গত মঙ্গলবার বিকালে সিলেটগামী একটি ট্রাক ঢাকা মেট্রো- (ট ১৮-০৩৩৫) ঢাকা- সিলেট মহা সড়কের আউশকান্দি শহীদ কিবরিয়া চত্ত্বরে আসা মাত্রই মহা সড়কের পাশে সিএনজি অটোরিক্সা থেকে যাত্রী নামানোর সময় রাস্তা সংলগ্ন ৩/৪টি দোকান-ঘরের ভিতরে সিএনজিকে ধাক্কা দিয়ে ডুকিয়ে তছনছ করে ফেলে। এ সময় দাড়িয়ে থাকা আরো ২/৩টি সিএনজি সহ দোকানপাট ও পথচারীদের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজির যাত্রী, পথচারী, চানাচির বিক্রেতা, ভিক্ষুক সহ ৬/৭ জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ২জনকে নবীগঞ্জ হাসপাতাল ও গুরুত্বর আহত ৪ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। বাকীদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এতে স্থানীয় শ্রমিকরা ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করলেও সু-চতুর চালক পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মহা সড়কে যান চলাচল প্রায় ১০/১৫ মিনিটের মতো বন্ধ ছিল। খবর পেয়ে স্থানীয় শ্রমিকনেতা, ইউপি সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ও শেরপুর হাইওয়ে থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আহতরা হলেন, নবীগঞ্জের রুস্তমপুর গ্রামের সিএনজি চালক রুবেল মিয়া (২৫), ভিক্ষুক বোয়ালজুর গ্রামের গেদা মিয়া (৬০), কাজীর বাজার এলাকার সিএনজি চালক সুয়েব সে তার গাড়ি থেকে যাত্রী নামানোকালে ইট বুঝাই ঐ  ট্রাকটি তার গাড়ির পিছন দিকে ধাক্কা দিলে সিএনজি অটোরিক্সাতে থাকা যাত্রী সহ গাড়িটি ধূমড়ে মুছড়ে যায়। এতে মারকুলির অজ্ঞাত একজন ও বানিয়াচংয়ের একজন যাত্রী গাড়িতে ছিল। তারা গুরুত্বর আহত হয়েছেন।  অপরদিকে অন্য আরো দুটি সিএনজিকে ধাক্কা দিয়ে ঐ গাড়িগুলোও ধূমড়ে মুছড়ে যায়। এমন কি ৩/৪ জন পথচারী সহ আরো অনেকেই আহত হয়েছেন। স্থানীয়দের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বাকী আহতদের এখনো কোন খুজ পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে মিমাংসার চেষ্টা করছে। তবে, ট্রাকটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
 

নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমেদ চৌধুরী ব্যক্তিগত সফরে যুক্তরাজ্য গমন করায় ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসাবে প্যানেল মেয়র -১ জায়েদ চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করছেন। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক ভাবে  পরিষদ হলরুমে এই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমেদ চৌধুরী। ইতি পূর্বে তিনি নবীগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের ২ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর। পৌর এলাকার চরগাও গ্রামের চুনু মিয়া চৌধুরীর পুত্র। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহব্বায়ক ও বর্তমানে  যুবলীগের  রাজনৈতিতক কর্মকান্ডের সাথে সংযুক্ত রয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত মেয়র জায়েদ চৌধুরী তিনি তার দায়িত্ব পালনে পৌরসভার সর্বস্তরের জনগণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সুশীল সমাজ ও পৌর পরিষদের সকল কাউন্সিলরদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। 

সারাদেশে বিএনপির দ্বিতীয় দফায় ২ দিনের  অবরোধে কর্মসূচির রপ্রথম দিন রবিবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা সিলেট মহা সড়কের নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি,জামায়াত, যুবদল, ছাত্রদল ও শিবির নেতা কর্মীরা মোটরসাইকেল শ্লোডাউন সহ লাঠি হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মোটরসাইকেল নিয়ে পিকেটিংয়ে নেতৃত্ব দেন নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সরফরাজ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমান সেফু, মজিদুল করিম মজিদ ও যুবদলের আহবায়ক মোঃ আলমগীর মিয়া হারুনুর রশিদ হারুন,সহ জামায়াত সাদিকুর রহমান আসরাফআহমদ, শিবির, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কয়েকটি দূরপাল্লার বাস চলাচল করলেও যাত্রী সাধারণ একে বারে কম ছিল। এমনকি রাস্তায় ট্রাক, মাইক্রো, কার খুব কম সংখ্যাক দেখা যায়। তবে, আঞ্চলিক সড়কগুলোতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পণ্যবাহী যানবাহন ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়। এদিকে, বিএনপি-জামায়াতের এ অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে নাশকতা ঠেকাতে মাঠে কটুর অবস্থানে রয়েছে থানা পুলিশ। সকাল থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছেন র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা। চলাচল বা পণ্য পরিবহনে কোথাও বাধা দেওয়া হলে অথবা বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কাজ করছে তারা। এছাড়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। নিয়মিত টহল দিচ্ছে র্যাব। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

নবীগঞ্জে বহিরাগতর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বাসা দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী বাসা মালিকের পরিবার। শনিবার (৪ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করেন ফরিদ ভিলা মালিকের ছেলে মোঃ মনসুর চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ১২ নং কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের মান্দারকান্দি গ্রামের  লন্ডনী ফরিদ মিয়া চৌধুরী একটি বাসা নিয়মিত বাসা ও দোকান ভাড়া নিতে মাসুক মিয়া চৌধুরী। তিনি হঠাৎকরে অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তার ভাতিজা মনসুর চৌধুরীর তাদের ভাড়া  তুলেন।  এখন পর্যন্ত ভাড়াটিয়ার  কাছ থেকে ভাড়া আদায় করেন মালিকের বড় ছেলে মনসুর চৌধুরী। হঠাৎ করে মনসুর চৌধুরীর চাচা মাসুক মিয়া চৌধুরী মারা যান। তার মুত্যুর কিছুদিন পর বহিরাগত দাদন ব্যবসায়ী, দাঙাবাজ ও সন্ত্রাসী আলা উদ্দিন ও তার ছেলে  নিজেদেরকে  বাসার মালিক বলে দাবী করে।  এ নিয়ে মনসুর ও  আলাউদ্দিন মিয়া পৃথক ভাবে থানায় জিডি ও অভিযোগ দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের বড় ছেলে মনসুর চৌধুরী জানান, আমার বাসার ভাড়াটিয়া এবং আমাকে হুমকি প্রানে হত্যার হুমকি দেন আলাউদ্দিন এবং তার ছেলে । আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে থানায় হয়রানী মুলক মামলা দায়ের করেছে। এছাড়াও ভয় ভীতি সৃষ্টি করার জন্য বাসায় পুলিশ প্রেরণ করে ভয় দেখিয়ে হুমকী প্রদর্শন করে যাচ্ছে। আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতা ভুগছি।  আমি এমন প্রতারক ও লাঠিয়াল পর সম্পদ লোভী মানুষদের বিরোদ্ধে  প্রসাশনের কাছে এর সুষ্ট বিচার দাবি করছি।

 
 

 

  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« May 2024 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
    1 2 3 4 5
6 7 8 9 10 11 12
13 14 15 16 17 18 19
20 21 22 23 24 25 26
27 28 29 30 31