Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Saturday, 27 April 2024

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। গতকাল দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর জিডির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে আরও ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবির এসআই আফতাবুল ইসলাম। অন্য দিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার রিমান্ড ও জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) মধ্যরাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) জি কে গউছকে আটক করেন। পরের দিন বুধবার (৩০ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর জিডির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবির এসআই আফতাবুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিডির অভিযোগ থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, পরস্পর যোগসাজশে জি কে গউছ তৎকালীন হবিগঞ্জ সদর ও লাখাই আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহির এবং তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করেন। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৮ আগস্ট হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। ঘটনার পর থেকে ঢাকা ও এর আশপাশ এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন জি কে গউছ। তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও বলেন, হত্যার ষড়যন্ত্রের রহস্য উদ্ঘাটন ও মামলার এজাহারনামীয় অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য জি কে গউছকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। গত ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২১ আগস্ট জি কে গউছকে প্রধান আসামি করে ৭০০ এর মতো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় মঙ্গলবার জি কে গউছসহ হবিগঞ্জের ১৮৩ জন বিএনপি নেতাকর্মী হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিকেলে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এমডি আমিনুল ইসলামের দ্বৈত বেঞ্চ তাদের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। এরপর হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক জালাল আহমেদ জানান, জি কে গউছ হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়েন। এরপর আদালত এলাকা থেকে বের হলে ডিবি পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায়।

 

নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। উৎসবমূখর পরিবেশে গ্রামবাংলার ঐহিত্যবাহী এই প্রতিযোগিতা দেখতে সমাগম ঘটে কয়েক হাজার দর্শনার্থীর। শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দুর্গাপুর, হোসেনপুর, আহমদপুর, কুমারকাদা, গালিমপুর, মাধবপুর, মথুরাপুর গ্রামবাসীর আয়োজনে কুশিয়ারা নদীর খেয়াঘাট এলাকায় এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। নৌকা বাইছ প্রতিযোগীতায় ৬টি নৌকা অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে চুড়ান্ত খেলায় বিজয়ী হয় মৌলভীবাজারের শাহ মোস্তফা। দ্বিতীয় হয় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের পবন। প্রতিযোগিতা শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে দীঘলবাক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ এওলা মিয়ার সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মুজিবুর রহমান কাজলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য শাহ আবুল খায়ের, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সুলতান মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গতি গোবিন্দ দাশ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রিজভী আহমেদ খালেদ, উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতি শাহ ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ এমরান মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সরওয়ার শিকদার, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলারা হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ছৈইফা রহমান কাকুলী প্রমুখ। পরে বিজয়ী মৌলভীবাজারের শাহ মোস্তফা নৌকার মালিকের হাতে পুরুস্কার হিসেবে দেয়া হয় ফ্রিজ ও দ্বিতীয় হওয়া সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের পবন নৌকার মালিকের হাতে টেলিভিশন তোলে দেয়া হয়। এমন আয়োজনে খুশি দর্শনার্থীরা। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতি বছর এমন আয়োজন করতে চান আয়োজকরা।

নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক তোহিদ চৌধুরী প্রতিপক্ষের লোকের হামলায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহত সাংবাদিক তৌহিদ চৌধুরী (২৫)কে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জানাযায় সাংবাদিক তোহিদ গত শুক্রবার রাতে শহরের হাসপাতাল রোডের সেন্ট্রাল প্লাজায় ঔষধ কিনতে আসেন। এসময় আগ থেকে পরিকল্পিত ভাবে উৎ পেতে থাকা  উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুমআহমেদের নেতৃত্বে একদল বখাটে যুবকদের হামলা সাংবাদিক তৌহিদ চৌধুরী গুরুত্বর আহত হন। আহত তৌহিদ চৌধুরীকে স্থানীয় জনতা উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা ও ভর্তি করান। ঘটনার খবর পেয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তাকে হাসাপাতালে গিয়ে দেখে আসেন এবং তার খোজ খবর নেন। হামলার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের এস আই জাহাঙ্গীর আলমসহ একদল পুলিশ হাসাপাতে গিয়ে আহত খোজ খবর নেন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদে  আইননের মাধ্যমে বিচারের ব্যবস্থার আশ্বাস প্রদান করেন।আহত তৌহিদ চৌধুরী বলেন,দেবপাড়া ইউনিয়নের আব্দুল  ওয়াদুদ মিয়ার পুত্র মাসুম আহমদ জীবন,গুলডুবা গ্রামের আরিফ হাসান,হরিধরপুর গ্রামের বদরুল আলম,ফয়ছল আহমদ ও টুনাকান্দি গ্রামের নাইম আহমদসহ ১৫/২০ জনের একদল দূর্বত্ত তার উপর পরিকল্পিত হামলা করেছে।এসময় হামলাকারী তার কাছে নগদ অর্থ মোবাইল ফোনসহ  ছিনিয়ে নিয়ে যায়।        

বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানিয়ে বলেন- ১৫ বছর যাবত বিএনপির নেতাকর্মীরা কর্মীরা রাজপথে আছে। মানুষের ভোটের অধিকার ও দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে দখলদার আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। পুলিশ দিয়ে হামলা, মামলা আর গ্রেফতার করে বিএনপির আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই বিএনপি ঘরে ফিরবে। সভায় এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন বলেন- মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলায় গ্রেফতার করে জি কে গউছকে দুর্বল করা যাবে না। আওয়ামী লীগ ও পুলিশ প্রশাসনের জুলুম নির্যাতনে জি কে গউছের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জি কে গউছ এখন বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, জি কে গউছ এখন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় স্থান করে নিয়েছে। ইনশাআল্লাহ, একটি সুষ্ঠ নির্বাচন হলেই জি কে গউছ হবিগঞ্জের এমপি হবেন, আরও বড় দায়িত্ব পালন করবেন। এডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরী বলেন- বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে অধিকাংশ জেলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন হচ্ছে। কিন্তু যে কয়েকটি জেলায় পুলিশ বাঁধা সৃষ্টি করে, হামলা করে, গুলি বর্ষণ করে এর মধ্যে হবিগঞ্জ একটি জেলা। কারণ আওয়ামী লীগ জানে, সুষ্ঠ নির্বাচন হলেই জি কে গউছ এমপি হবেন। হবিগঞ্জে জি কে গউছের আকাশচুম্মি জনপ্রিয়তা রয়েছে। ভালোবাসা দিয়ে, উন্নয়ন দিয়ে, সততা দিয়ে জি কে গউছ মানুষের হৃদয় জয় করেছে। আওয়ামীলীগের জুলুম নির্যাতন যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে জি কে গউছের জনপ্রিয় ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনসমর্থন জি কে গউছের পক্ষে যাচ্ছে। কারণ আওয়ামী লীগের মিথ্যাচার মানুষ বুঝে গেছে, মানুষ আর তাদের কথা বিশ্বাস করে না। হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির আহŸায়ক আবুল হাশিমের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহŸায়ক এডভোকেট হাজী নুরল ইসলাম ও হাজী এনামুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সফিকুর রহমান ফারছু, সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরী, এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য এম জি মোহিত, আজিজুর রহমান কাজল, শামছুল ইসলাম মতিন, গীরেন্দ্র চন্দ্র রায়, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক এডভোকেট আফজাল হোসেন, জেলা জাসাসের আহŸায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা মহিলাদলের সভাপতি এডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা লাভলী সুলতানা, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিমু আক্তার চৌধুরী, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহŸায়ক মিজানুর রহমান সুমন, জেলা মৎস্যজীবি দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মর্তুজা আহমেদ রিপন, লিটন আহমেদ, বজলুর রহমান, আব্দুল কাইয়ুম মেরাজ, কামাল খান, মামুন আহমেদ, আব্দুল হান্নান, হারিছ মিয়া, গোলাপ খান, ইলিয়াছ আলী, আনিসুর রহমান জেবু, ইকবাল আহমেদ, সাজিদ মিয়া, বাদল আহমেদ, জাকির হোসেন, আব্দুল রাজ্জাক চৌধুরী বকুল, আব্দুস সালাম, আনোয়ারুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, আলকাছ মিয়া, মুশলিম শাহ, সৈয়দ রুহেব হোসেন, মালেক শাহ, সদর উপজেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট ইলিয়াছ, শেখ ওসমান গনি, আব্দুল কাদির, মজনু মিয়া, এম ডি দুলাল, মানিক মিয়া, জয়নাল মিয়া, আব্দুল কাইয়ুম, যুবদল নেতা মহসিন সিকদার, দুলাল মিয়া, হোসাইন আহমদ রানা, নরোত্তম দাস, সাদেকুর রহমান লিটন, সাইদুর রহমান শামিম, তারেক আহমেদ তাহির, মোঃ নুরুল আমিন, কাওছার আহমেদ, শামিম আহমেদ, এমদাদুল উল্লাহ খান, মোঃ আদব আলী, মহিবুল হক সুমন, মিজানুর রহমান আলমগীর, আক্কাস ভান্ডারী, সোহাগ হোসাইন, জাহাঙ্গীর মিয়া, মিলন মিয়া, সুমন, স্বপন মিয়া, মোঃ কাসেম, শ্রমিক দল নেতা রতন আনসারী, আব্দুল খালেক, শেখ রহমত আলী, আশরাফুল আলম সবুজ, আনিস মিয়া, আক্তার মিয়া, আব্দুল হামিদ, হাসান আলী, জেলা ছাত্রদল নেতা জনি আহমেদ, রুকন আহমেদ, রুবেল আহমেদ, মুরাদ আহমেদ, রাব্বি আহমেদ, মোজাক্কির হোসেন ইমন, শেখ রাসেল, ফয়জুল ইসলাম ইব্রাহিম, মাহফুজ চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান, জাবের আহমেদ, সৈয়দ মোবারক, শিমুল আহমেদ, জাসাস নেতা ফজর আলী ফজল, এমদাদুল হক লিটন, মহিলা দল নেত্রী নুরজাহান বেগম, আফরোজা চৌধুরী, আমিনা আক্তার ও নাজমা আক্তার প্রমুখ।

 
 

 

হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল ১৭ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন। এই কমিটি আগামী ৩ বছর দায়িত্ব পালন করবে। কমিটিতে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সদস্য মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরীকে সভাপতি ও হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাবেক সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক একেএম মইন উদ্দিন চৌধুরী সুমনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এছাড়াও মোতাহের হোসেন বিজু, বিপ্লব রায় চৌধুরী, সফিকুজ্জামান হিরাজ, হাজী মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, মোঃ আব্দুর রউফ মাসুক সহ-সভাপতি, আবুল কাশেম মোল্লা ফয়সল, মোঃ বদরুল আলমকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ডাঃ মোঃ ইশতিয়াক রাজ চৌধুরী, মোঃ মামুন মিয়া, মোঃ মানিক মিয়া, মহিবুর রহমান মাহীকে সাংগঠনিক সম্পাদক, শাহজাহান মিয়াকে ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক, আশরাফ উদ্দিনকে জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক, আরিফ ফয়সল খান ও আহমেদ ইবনে মুশফিককে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। উক্ত কমিটিকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্র বরাবর জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গেল বছরের ১১ অক্টোবর হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

একাধিক বাড়ির মালিক, নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের মালিক; এমনকি নিজেরা ও তাঁদের সন্তানেরাও সচ্ছল—এমন বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাড়ি বরাদ্দ পেয়েছেন। অথচ দিনমজুরি করেন, টিনের ঘরে বসবাস, আর্থিক অবস্থাও ভালো নয়—এমন বীর মুক্তিযোদ্ধারা ‘বীর নিবাস’ বরাদ্দ পাননি। নবীগঞ্জ উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারি বাড়ি (বীর নিবাস) বরাদ্দ অনিয়ম তথ্য গোপন এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে  জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন অসচ্ছল ৫  বীর মুক্তিযোদ্ধারা। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে এক তলাবিশিষ্ট বীর নিবাস বরাদ্দ দেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সুবিধাভোগী নির্বাচন বিষয়ক কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্বাচিত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা। আবেদন করেও ঘর পাননি, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রণব কুমার রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুনীল গোপ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নীলকন্ঠ দাশ,বীর মুক্তযুদ্ধা সুনীল দাশ,বীর মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিময় দাশের পুত্র জিতেন্দ্র দাস। অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা কবিন্দ্র দাশের ছেলে একজন পুলিশ সদস্য ও অপরজন দপ্তরীতে কর্মরত আছেন।বীর মুক্তিযোদ্ধা গিরিন্দ্র দাশের ছেলে কৃষি অফিসে কর্মরত ও তাদের পাকাবাড়িসহ অসংখ্য জায়গা জমি রয়েছে।বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজ মিয়ার ও পাকাবাড়িসহ জায়গা জমি আছে।বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মিয়ার ও পাকাবাড়িসহ জায়গা জমি আছে। কিন্তু তাদের পাকাবাড়িসহ জায়গা জমি ও অবস্থা ভালো থাকা সত্যেও তাদের নামে বীর নিবাস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রণব কুমার রায় বলেন, আবেদন করেও ঘর পাইলাম না। যাদের পাকা ঘরবাড়ি আছে, তাদেরই ঘর বরাদ্দ হইছে! মৃত্যুর আগে পাকাঘরে থাকার স্বপ্ন মনে হয় আর পূরণ হইবে না।
 
 

মাধবপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় একটি কনভেশন সেন্টারে বিএনপি মাধবপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আলোচনা সভা ও র‌্যালি অনুষ্টিত হয়। পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজের সভাপতি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম কামাল। জেলা বিএনপির সদস্য ও পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলাউদ্দিন আল রনি’র সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান হামদু, সহ-সভাপতি হাজী অলিউল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফজলে ইমাম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ, সাবেক চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম কামাল, পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান খাঁন, কাউন্সিলর শেখ জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ফিরোজ মিয়া, ফারুক রানা, বিএনপি নেতা মীর আব্দুল আলীম বাদল, মোঃ সেলিম মিয়া, আমজাদ আলী শাহীন, আনোয়ার হোসেন, মফিজ মিয়া, জাহাঙ্গীর ভূইয়া, মোঃ শামীম মিয়া, অনু মিয়া, জয়নাল মহালদার, মোঃ জাবেদুর রহমান, এড. সাজেদুর রহমান সজল, কৃষক দলের আহবায়ক মুখলেছুর রহমান সোহেল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন, সদস্য সচিব ফরিদুর রহমান, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এনায়েতউল্লাহ, যুগ্ম আহবায়ক কবির খাঁন চৌধুরী, মশিউর রহমান, সাদেক মিয়া, মাসুক মিয়া, এখলাছ সিরাজী, পৌর যুবদলের আহবায়ক জনি পাঠান, যুগ্ম আহবায়ক এমদাদুল হক সুজন, জসিম শিকদার, শফিকুল ইসলাম, ছাত্রদল আহবায়ক রিপন মিয়া স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা অলিউর রহমান অলি যুকল সেতা মোঃ রনি প্রমুখ। সভায় বক্তাগণ কেন্দ্রী বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ¦ জি.কে গউছ, মাধবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আলহাজ¦ সৈয়দ মোঃ শাহজাহানসহ হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা জানিয়ে মামলা প্রতাহারের দাবি জানান।

নবীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত দেশের অন্যতম গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড পরিদর্শন করেছেন কূটনীতিকদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। গতকাল বুধবার (২৩ আগষ্ট) সন্ধ্যায় শেভরণ বাংলাদেশের মুখপাত্র শেখ জাহিদুর রহমান রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড পরিদর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শেভরন বাংলাদেশ ও গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা যায়- মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় আমেরিকান কোম্পানি শেভরনের মালিকানাধীন নবীগঞ্জ উপজেলার করিমপুরের অবস্থিত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। পরে বিবিয়ানা ও শেভরণের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় অংশ নেন পিটার হাস। পরিদর্শনকালে শেভরন কর্তৃক পরিচালিত এসএসকেএস নামে একটি ক্লিনিক এবং ফার্মেসীও পরিদর্শন করেন তিনি।এনিয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ বলেন- বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ডে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় তবে গ্যাস ফিল্ডের ভিতরে তিনি কি করেছেন তা আমরা জানিনা।এ প্রসঙ্গে শেভরন বাংলাদেশের মুখপাত্র শেখ জাহিদুর রহমান বলেন, আমেরিকান মালিকানাধীন কোম্পানি শেভরন বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করছে। নতুন কোনো রাষ্ট্রদূত আসলে তারা মার্কিন মালিকাধীন শেভরন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো সফর করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড পরিদর্শন করেছেন।

 ২০১৩ সালের বোস্টন ম্যারাথন, ম্যারাথনের কোন রেকর্ড ভাঙার জন্য সারা বিশ্বে পরিচিতি পায়নি,  পরিচিতি পেয়েছে  বোমা ফুটে  মানুষ মারা যাওয়ার  কারনে। এখন এটি  একটি ক্রাইম সিন।

    বোস্টন ম্যারাথনকে  এখন আর কেউ ম্যারাথনের দৃশ্য ভেবে দেখেনা , এটিকে  একটি ক্রাইমের দৃশ্য ভেবে দেখে। দেশি বিদেশী গুয়েন্দারা বোস্টন ম্যারাথনের ভিডিও দেখে ক্রিমিনালদের বডি  ল্যাংগুয়েজ  বুঝতে।

       বোস্টন ম্যারাথনের  মত  বাংলাদেশের ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনকে এখন আর নির্বাচন হিসাবে না দেখে ক্রাইম সিন হিসাবে দেখতে হবে। কেননা,  আওয়ামীলীগ নেত্রী  প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্ব্যর্থ কণ্ঠে বলেছেন " আওমিলিগ নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতায় যায়নি , আওয়ামীলীগ ভোট চুরি করেনা। "

তাহলে প্রশ্ন জাগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে কে আওয়ামীলীগের জন্য ভোট চুরি করেছিল?

      What an audacity it is! আওয়ামী লীগ আবারো ২০১৮ সালের মত নির্বাচন পরিচালনার  সুযোগ চায়!

     সভ্য সমাজে  গুন্ডা , খুনি, বদমাইশ, রেপিস্ট তাদের কৃত কর্মের  শাস্তি পায়  আর  অসভ্য সমাজে শাস্তি পাওয়াতো দূরের কথা এই সমস্ত অপরাধ সংঘটিত করার পর বুক ফুলিয়ে বেটাগিরি করে, আবারো  দুষ্কর্ম করার  সুযোগ করে দেওয়া হয় এই সমস্ত দুষ্কৃতকারীদের?

    যে সমাজ রেপিস্টকে  আবারো রেপ করার অধিকার দেয়, ডাকাতকে  আবারো ডাকাতির সুযোগ দেয়  সেই সমাজ আর  সেই সব দেশের শাসককে  অসভ্য অভদ্র অমানুষ হিসাবে বিবেকবান মানুষ মনে করে।

২০১৮ সালের ইলেকশনটি ইলেকশন নয় এটি একটি গণধর্ষণ, বাংলাদেশটা ধর্ষিত  হয়ে ছিলো সেইদিন। এই ইলেকশনটি  জনগনের ভোটাধিকার আর  মানবাধিকার হরনের  ক্রাইম সিন।  একটি ভোট জাল করলে যেখানে ছয় মাস থেকে এক বছরের জেল জরিমানা হয় সেখানে কোটি কোটি ভোট জাল হয়েছিলো সেদিন। 

২০১৮ সালের ইলেকশনটিকে  একটি ক্রাইম সিন হিসাবে গণ্য করে  ইনভেস্টিগেশনের মাধ্যমে বের করতে হবে  সেই সব ক্রিমিনালদের যারা সেদিন -

)  -ভোটের বাক্স ভরে ভরে দিয়েছিলো  মৃত, অসুস্ত, প্রবাসীর ভোটে

) -জনগনকে শুধু  ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিতই  করেনি  তাদের নামে জাল ভোটও দিয়ে  দিয়েছিলো ?

শেখ হাসিনা বলেছেন ," আওয়ামীলীগ ভোট চুরি করেনা। "  আর  সত্যি বলতে কি, আওয়ামীলীগের কোন কর্মীকে ভোট জালিয়াতি বা চুরি করতে কেউ দেখেনি। 

তাহলে এই ভোট চুরিটা করলো কারাযতক্ষণ পর্যন্ত না এই সব ক্রিমিনালদের বিচারের  আওয়তায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা না যায় ততক্ষন পর্যন্ত ২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রতিটি আলামতকে ক্রাইম  সিন হিসাবে সযত্নে রক্ষা করতে হবে।  বিশেষ করে নির্বাচনী ডাটাই বলে দেবে কে কোথায় কোন ক্রাইম সংঘটিত করেছিল। তাই প্রতি সেন্টারের নির্বাচনী ডাটাকে রাখতে হবে যত্ন সহকারে।

  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« April 2024 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
1 2 3 4 5 6 7
8 9 10 11 12 13 14
15 16 17 18 19 20 21
22 23 24 25 26 27 28
29 30