Login to your account

Username *
Password *
Remember Me
Friday, 10 May 2024

নবীগঞ্জে ভিড় বাড়ছে কামারের দোকানে। গলি ঘেষে পা বাড়ালেই কানে বাজছে ‘ঢাক-ঢুক’ আর ‘ঝিঁ-ঝিঁ’ শব্দ। মাঝে মধ্যে লোহা ও কয়লাপোড়া ঝাঁঝালো গন্ধে গলা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এমন পরিবেশে দগদগে লোহা পিটিয়ে চলছে ধারালো অস্ত্র তৈরির কাজ। আর তা সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানের খোপে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার ওসমানী রোড, হাসপাতাল রোডের কামার পট্টিতে এখন এমনই দৃশ্য। পশু কোরবানি ও মাংস কাটার অস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। দাম একটু বেশি হলেও বেচা-বিক্রি ভাল বলে জানান কামারেরা। নবীগঞ্জ শহর বাজার ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় কামারেরা ঈদের আগের দু’দিনে আরও বেশি ছুরি-বটি বিক্রির আশায় দিনরাত ব্যস্ত আছেন লোহা পেটানোর কাজে। নবীগঞ্জ বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দোকানের খোপে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ছুরি, বটি, দা, চাপাতি, কুড়ালসহ ধারালো সব অস্ত্র। স্প্রিং এবং সাধারণ লোহা থেকে তৈরি এসব অস্ত্র পছন্দ মতো কিনছেন ক্রেতারা। এক কামার ব্যবসায়ী বলেন, ঈদ আসলে আমাদের বিক্রি ভালো হয়। সারা বছরের তুলনায় ঈদ মৌসুমে বিক্রির ধুম পরে। তাই সারা বছরের ক্ষতি ঈদ আসলে তা কিছুটা পূরণ করতে পারি। ঈদের দু এক দিন আগে বিক্রি বেশি হয়।

নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ পারিবারিক কাজে যুক্তরাজ্য গমন করায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান -১ জাকির হোসাইন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে  দায়িত্ব গ্রহন করছেন। গতকাল আনুষ্ঠানিক ভাবে পরিষদ হলরুমে এই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন চেয়ারম্যান  সৈয়দ খালেদুর রহমান  খালেদ। তিনি তার দায়িত্ব পালনে ইউনিয়নের সর্বস্তরের  জনগণ ও পরিষদের  সকল সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। 

আজ নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব খলিলুর রহমান চৌধুরী (রফি) এর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৩ইং সনের ১৯ই জুন তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি ছিলেন। পরে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। প্রতিবছরই মুত্যুবার্ষিকীতে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে নানা আয়োজন করা হয়। মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া কামনা করা হয়েছে।

নবীগঞ্জ উপজেলায় ট্রান্সফরমার চুরির সময় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। গতকাল রবিবার বিকেলে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ চোরচক্রের ৩ সদস্যকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত চোর চক্রের সদস্যরা হলেন- নবীগঞ্জের গজনাইপুর ইউনিয়নের শতক গ্রামের ঈসমাইল মিয়ার ছেলে শাহনেওয়াজ মিয়া (৩৫), বানিয়াচংয়ের বন-শিবপাশা গ্রামের মৃত আমরু মিয়ার ছেলে আমিন মিয়া (৩৫), বাহুবলের হিমেরগাঁও গ্রামের মৃত খুরর্শেদ মিয়ার ছেলে রোকন মিয়া (৩৩)। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়- রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে একদল চোরচক্র গজনাইপুর ইউনিয়নের লামরোহ গ্রামের লেবু মিয়ার বাড়ির সামনের বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ট্রান্সফরমার চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে চোরচক্রের ৩ সদস্যকে চুরিকৃত ট্রান্সফরমার ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশাসহ আটক করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন চোরদের উত্তম মাধ্যম দিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চুরিকৃত ২৫ কেভির ট্রান্সফরমারের মালামাল ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করে এবং আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে পল্লী বিদ্যুৎতের নবীগঞ্জ জোনাল অফিসের সহকারী জোনাল কর্মকর্তা জুয়েলুর রহমান বাদী হয়ে চোরচক্রের ৩ সদস্যকে আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন, মামলা দায়েরের পর আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কী না তা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হবে।

নবীগঞ্জ উপজেলার বাউশা ইউনিয়নের নাদামপুর গ্রামের লন্ডন প্রবাসী মোঃ নজির মিয়ার পশ্চিম নাদামপুর রিফাতপুর মৌজা ৩০০ শতক জায়গা বিক্রি করা হবে। আগ্রহী ক্রেতারা যোগাযোগ করেন
মোবাইলঃ ০১৩০৬৯৫৮১৮১

সিলেটসহ৬ বিভাগে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ এর তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে । ৬ বিভাগে তারুণ্যের সমাবেশের দিন একইস্থানে যুবলীগের কর্মসূচি ঘোষণাকে উসকানিমূলক বলে মন্তব্য করেছেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

সালাউদ্দিন টুকু জানান, আগামী ৯ জুলাই সিলেট,  ১৯ জুন বগুড়া, ২৪ জুন বরিশাল,  ১৭ জুলাই খুলনা এবং সবশেষে ২২ জুলাই ঢাকায় এই সমাবেশ করবে বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। এই তারিখ কোনো অবস্থায় পরিবর্তন করা হবে না বলেও জানান নেতারা

বিলেতের নবীগঞ্জে প্রবাসীদের অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা ট্রাস্ট ‘নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট’। নবীগঞ্জ উপজেলার শিক্ষার কল্যাণে নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের কাজের ধারা অব্যাহত রেখে সংগঠনটি কাজ করে আসছে যুগ যুগ ধরে। এলাকার আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষা সেবার মানউন্নয়ন কল্পে নবীগঞ্জকে একটি শিক্ষিত জনপদ গঠনের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে যাওয়া এই সংগঠনটির মূল লক্ষ। সংগঠনের কার্যকরি কমিটির সভা গত রোববার অনুষ্টিত হয়ে গেল পূর্ব লন্ডনের তারাতারী রেষ্টুরেন্টে। দুই পর্বের অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে দুপুর ২ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত অতিথিদের সাথে মতবিনিময় সভা, ট্রাষ্টি ড্রাইভ ও সার্টিফিকেট বিতরন অনুষ্ঠিত হয় এবং সংগঠনের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে তাৎক্ষনিক ৭ জন নতুন ট্রাষ্টি সদস্যপদ গ্রহন করেন। বিকাল ৫টা হইতে বিকাল ৭.৩০ পর্যন্ত কার্যকরী কমিটির মিটিং চলে এবং মৌলিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, জনাব আব্দুল শহীদ (সাবেক সেক্রেটারী) প্রস্তাব অনুযায়ী নবীগঞ্জ এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষদের (বিশেষ করে মহিলাদের) প্রচন্ড চাহিদা ও তাদের স্বাবলম্ভী হওয়ার জন্য আমাদের আইসিটি সেন্টারে টেইলারিং ও এমব্রয়ডারী কোর্স চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই কোর্সের জন্য কয়েকটা সেলাই মেশিন আমাদের ট্রাষ্টের কয়েকজন সম্মানিত ট্রাষ্টি স্বেচ্ছায় ডোনেশন করবেন বলে কমিটমেন্ট করেছেন।


সভা শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন সংগঠনের সম্মানিত ট্রাষ্টি খোয়াজ আলী খান। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, শিক্ষানুরাগী, সংগঠনের সভাপতি মাহতাব মিয়া এবং পরিচালনা করেন সাধারন সম্পাদক প্রভাষক আব্দুল হাই। বর্তমান কমিটির কোষাধ্যক্ষ জনাব নুরুল কাছ রিপন গত ৬ মাসের আর্থিক হিসাব পেস করেন এবং সকলের অংশগ্রহনের মাধ্যমে ও সর্বসম্মতিক্রমে বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলার কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।২০০০ সালে যাত্রা শুরু করেছিলো ব্রিটেনে বাঙালি কমিউনিটির অন্যতম বৃহৎ ‘শিক্ষা ট্রাস্ট’ হিসেবে স্বীকৃত যুক্তরাজ্য তথা বহির্বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করা সংগঠন নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এবং শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন কোর্স চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কার্যকরী কমিটির সকলের একান্ত প্রচেষ্টায় এবং ট্রাষ্টিদের আর্থিক সহযোগিতায় ভবনের দ্বিতীয় তলার কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।
সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা বারিষ্টার আতাউর রহমান বলেন, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাদেরকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য স্মৃতিস্বরূপ একটি ভিডিও ডকুমেন্টারী তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহন করার অনুরোধ জানান। সদ্য সাবেক সফল সভাপতি মোজাহিদ মিয়া মোতাহের বলেন, ট্রাস্টিদের খুঁজে বিভিন্ন শহরে শহরে সভা করে তাদের আমাদের সংগঠনের কার্যক্রম তুলে ধরে নতুনদের অনুপ্রানিত করতে হবে যাতে করে সংগঠনের কাজ আরও বেগবান হয়। সাবেক সফল সাধারন সম্পাদক আব্দুস শহীদ বর্তমান কমিটির সাথে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন যাতে সংগঠনকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। সারাদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতার জন্য লন্ডন টিমকে সবাই প্রশংশায় প্রশংসিত করেন। বক্তারা সাধারণ সদস্য নিয়োগের ব্যপারে আরো সবার সহযোগিতায় কামনা করেন। আমাদের সংগঠনের কার্যক্রম দেখে খুশি হয়ে সাত জন সদস্যপদ গ্রহন করেন এবং পাঁচজন আবেদনপত্র নিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিছু সম্মানিত ট্রাষ্টি এবং প্রত্যাশিত ট্রাষ্টি মেহমান হিসাবে আমাদের মিটিংএ উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন মির্জা আওলাদ বেগ, সলিসিটর ও প্রভাষক ইয়াওর উদ্দিন। অন্যান্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য মাহবুব নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলতাফ উদ্দিন, কার্যকরী কমিটির সদস্যবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ার শাহ আলী হায়দার, মোহাম্মদ হাদিছ মিয়া, ফকরু উদ্দিন চৌধুরী, সদস্য মোজাহিদ মিয়া, আব্দুস শহীদ, এনায়েতুর রহমান খান, খয়রুল হোসাইন (সহ সম্পাদক) শাহ হাবীবুর রহমান বেলায়াত (সহ কোষাধ্যক্ষ) আবু ইউসুফ চৌধুরী, শেখ শামীম আহমদ, আতিকুর রহমান লিটন, মোহাম্মদ আলী হায়দারও জাবেদ হোসাইন। তাছাড়া গ্রেটার লন্ডন ও লন্ডনের বাইরে থেকে সম্মানিত ট্রাষ্টিবৃন্দের মধ্যে মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আবদাল হোসাইন চৌধুরী, রাজীব চৌধুরী, মোহাম্মদ আবু বক্কর, মতিন মিয়া, শামীম চৌধুরী, বারিষ্টার আব্দুল মতিন, জসিম উদ্দিন, আব্দুল হালীম চৌধুরী, মৌওলানা নাজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফিরুজ মিয়া প্রমুখ।
পরিশেষে সভার সভাপতি মাহতাব মিয়ার সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। ট্রাস্টের উন্নায়নে সবাইকে একসাথে কাজ করারও আহবান জানান ট্রাস্টিগণ। উক্ত সভায় বিপুল সংখ্যক ট্রাস্টিরা উপস্থিত ছিলেন।

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ  উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের রিপাতপুর গ্রামে রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরধরে প্রতিপক্ষের  পিতাপুত্র সহ একই পরিবারের ৪জন গুরুতর আহত হয়েছেন৷ আহতরা হলেন ওই গ্রামের প্রবীণ কৃষক আব্দুল মালিক (৭০), তাঁর ছেলে দিলাল মিয়া-( ৩৩),জিলদার মিয়া(৩৫) ও সিজিল মিয়া ( ৪০)৷ আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে৷ ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সকাল অনুমান ৮ঘটিকায়৷ আহত সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ওই গ্রামের প্রবীণ কৃষক আব্দুল মালিক মিয়া ও মনসুর মিয়ার সাথে একই গ্রামের মৃত মুসলিম উল্যার পুত্র মারাজ মিয়া গংদের সাথে রাস্তানিয়ে পূর্ব বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল এরই জেরধরে ঘটনার উল্লেখিত সময়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মারাজ মিয়া সহ তার পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র সহকারে কৃষক পরিবারের লোকজনের উপর কয়েকদফা অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করেছে বলে অভিযোগ করেন আহতরা৷ হামলার সময় ওই স্থানে সরকারী সার্ভেয়ার ও উপস্থিত ছিলেন বলে তারা জানান৷ কৃষক আব্দুল মালিক ও তার ছেলে দিলাল মিয়া বলেন,এই রাস্তাটি আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা৷ এই রাস্তানিয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা মোকদ্দমা হলে রাস্তাটির রায় আমাদের পক্ষে হওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে নির্যাতন ও হয়রানী করে আসছে৷ আমরা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি৷ তাদের ভয়ে আহত পরিবারের লোকজন ঘরবাড়ীতেও যেতে পারছেননা বলে অভিযোগ করেন তারা৷

নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি কিবরিয়া চত্ত্বরে সিএনজি শ্রমিক ও মাইক্রোবাস শ্রমিকদের মধ্যে ১০ টাকার নোট নিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ১০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ জুন) বেলা ৩ টা থেকে বিকাল প্রায় সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী ও নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমদ সহ শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঐ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার আউশকান্দি মাদ্রাসা স্ট্যান্ডের সিএনজি চালক জাবেদ মিয়াসহ কয়েকজন গত ১২ জুন সকাল ১১ টার দিকে আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারে এসে ১৫ টাকা গাড়ি ভাড়া দেন। এ সময় সিএনজি চালক জাবেদ বলেন, ১০ টাকার নোট পরিবর্তন করে দেয়ার জন্য। তবে, নোমান বলে, তার কাছে আর কোন টাকা নেই, এই নোট অচল নয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা দেখা দিলে স্থানীয়রা কয়েকবার বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে আউশকান্দি ইউপি বিট অফিসার এসআই গৌতম দাশ, আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি নুরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদ সহ উভয় পক্ষের শ্রমিক নেতারা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছু শ্রমিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও গাড়ি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে সমঝোতার আলাপ চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে, যদি কোন পরে লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নবীগঞ্জ ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বুরহানপুর গ্রামের লন্ডন প্রবাসী জাকির হোসেন এর বাড়ির সামনের ড্রেনের গর্ত থেকে অবৈধ আগ্নেআস্ত্র পাইপগান উদ্ধার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল বিকেলে ওই এলাকায় একটি অভিযোগের তদন্ত করতে পুলিশ এই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করলে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে অস্ত্র উদ্ধারের  জাকির হোসেনর বোন  সামিনা বেগম বলেন আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের বাড়ীতে পুরুষ না থাকার সুযোগ নিয়ে আমাদের পরিত্যক্ষ জায়গা এই অস্ত্র রেখে আমাদের ফাসাতে চায় বলে তিনি দাবি করছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, গ্রামের কবরস্থান নিয়ে গ্রামবাসীর সাথে লন্ডন প্রবাসী জাকির হোসেনের পরিবারের সাথে দীঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত ৬ই জুন গ্রামবাসীর পক্ষের  গেদা মিয়ার পুত্র রাহিম চৌধুরীর বিয়ে গেইট জাকির হোসেন বাড়ীর সামনে সরকারী রাস্তায় নির্মান করায় জাকির হোসেনের লোকজন তা ভেঙ্গে ফেলে। গ্রামবাসী পক্ষের লোকজন গেইট ভাঙ্গার কারন জানতে চাইলে উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে গুলিবর্ষন হয়। গুলিতে অনন্ত ২০ জন লোক আহত হন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির লোকজন এসে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরে রাহিম চৌধুরীর পক্ষে তার চাচাতো ভাই  ফখরুল চৌধুরী বাদী হয়ে ১০ জনকে অভিযুক্ত করে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। রবিবার বিকেলে ওই গ্রামে অভিযোগটি তদন্ত করতে যান দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলশের সাব-ইন্সেপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম তার সাথে  এ এস আই বির্মল সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে যান। অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে তিনি এই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেন। এসময় পুলিশ ৫টি এমটি কার্তুজ ও ৩টি লোহার পাইপ উদ্ধার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সেপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম বলেন অস্ত্র উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন  নবীগঞ্জ থানায় ৮ ই জুন দায়েরকৃত মামলা নং ৬ এর তদন্ত করতে সেখানে যাই এবং  বুরহান পুর গ্রামের মৃত কলমদর আলী পুত্র জাকির হোসেনের বাড়ীর পূর্ব পার্শ্বে খালি জায়গার উত্তর পার্শ্বে নিমানাধীন ড্রেইন  এর ভিতর  থেকে অস্ত্র উদ্ধার করি।

  1. Popular
  2. Trending
  3. Comments

Calender

« May 2024 »
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
    1 2 3 4 5
6 7 8 9 10 11 12
13 14 15 16 17 18 19
20 21 22 23 24 25 26
27 28 29 30 31