নবীগঞ্জে ছাত্রলীগের গ্রুপিং সংঘর্ষে জের ধরে শহরে মোটরসাইকেল, সিএনজি ও বাড়ীতে ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ,৷ ছাত্রলীগ নেতার বাড়ীতে হামলা, লুটপাটসহ অস্ত্রের মহড়ার ঘটনায় হবিগঞ্জ কোর্টে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন সদ্য বিলুপ্ত নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক নাজিম উদ্দোল্লা চৌধুরীর পিতা সমিজুর রহমান চৌধুরী। মামলার বাদী ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, উপজেলা কৃষকলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি রেজা আহমদ চৌধুরী, যুবলীগ নেতা সাজু আহমদ চৌধুরী, তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ছাত্রলীগ নেতা কাজল মিয়া ,আরিফুল ইসলাম প্রমি, রফিকুল ইসলাম, রিহাত মিয়া,সাজু আহমেদ হৃদয়, সাজ্জাদ উল্লা,সাইফ মিয়া,শাহ জাকির,আলমগীর চৌধুরী,ছালেক মিয়া,হুমায়ূন আহমেদ,আবু বক্কর চৌধুরী মিলন,তারেক আহমদ,মিজু আহমেদ, মাসুদ পারভেজ রুবেল। মামলা বিবরণে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে নাজিম উদ্দোল্লা চৌধুরী ও জাহিদুল ইসলাম রুবেল এর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে উভয় গ্রুপের একাধিক সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে নবীগঞ্জ শহরের মধ্য বাজারস্থ গোল্ডেন প্লাজার পিছনে তোহা বাজারের চায়ের স্টলে বসা অবস্থায় জাহিদুল ইসলাম রুবেলের উপর পরিকল্পিত হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরেই ১৮ জানুয়ারি রাতে ৮ টার দিকে রুবেল গ্রুপের নেতাকর্মীরা মামলার প্রধান আসামী সাইফুল জাহান চৌধুরীর নেতৃত্বে নাজিম উদ্দোল্লার বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করে। মামলার আসামী কাজল মিয়া নাজিম উদ্দোল্লার বাড়িতে থাকা ২ টি সিএনজি গাড়ি ভাংচুর করে এবং পেট্রোল দিয়ে গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। নাজিম উদ্দোল্লারকে প্রাণে হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদান করে। আলমগীর চোধুরী ওসমানী রোডে অবস্থিত জনি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়াকসপ থাকা নাজিম উদ্দোল্লার মোটর সাইকেল রাস্তায় বের করে ভাংচুর করে। আরিফুল ইসলাম প্রমি মোটর সাইকেলটিতে তার হাতে থাকা গ্যাস লাইট দিয়ে তেলের ট্যাংকির মুখ ভেংঙ্গে সাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। উক্ত অগ্নি কান্ডের ঘটনায় রাস্তায় যান চলাচলে বিঘ্নতা ঘটে। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে রুবেল গ্রুপের নেতাকর্মীরা নবীগঞ্জ শহরের প্রাণ কেন্দ্র শেরপুর রোডে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এতে করে সাধারণ জনগন ও ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম রুবেলের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রুবেলের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় (২৮ জানুয়ারি) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড ছাত্রলীগ নেতা রুবেলকে ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হামলা ভাংচুর অগ্নি সংযোগ এর ঘটনায় পাল্টা -পাল্টা মামলা শহরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।