সারা দেশে শুরু হয়েছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। তারই অংশ হিসেবে সোমবার যৌথ বাহিনী নবীগঞ্জের কুর্শি ইউনিয়নের ষাইটকাহন গ্রামের মৃত অনু মিয়া পুত্র কুর্শী ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের এর যুগ্নআহ্বায়ক মিজানুর রহমান তৌফিককে আটক করেছে। পুলিশ সুত্রে জানাযায়, আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে এবং সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমম্বয়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তারই অংশ হিসেবে সোমবার উপজেলার কুর্শী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ এর যুগ্ন আহ্বায়ক মিজানুর রহমান তৌফিককে সোমবার রাতে নবীগঞ্জ পৌর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,তার বিরুদ্ধে মামলা থাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে নবীগঞ্জ শহরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।সোমবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিন বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।জানা যায়- সারাদেশের ন্যায় পবিত্র রমজান মাসে নবীগঞ্জ শহরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বোতলজাত সয়াবিন তেলসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী অধিকমূল্যে বিক্রির অভিযোগ ওঠে। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের।সোমবার দুপুরে পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে নবীগঞ্জ শহরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্টে বানিয়াচং সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন সহকারে একদল সেনা সদস্য সহযোগীতা করে। অভিযানে প্রয়োজনীয় দ্রব্য পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ও নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রির দায়ে ওসমানী রোডের আল বারাকা এন্টারপ্রাইজকে ৪০ হাজার টাকা, বানী স্টোরকে ১৫ হাজার, জুনু স্টোরকে ১০ হাজার টাকা ও ফ্রিজে রাখা পুরাতন গরুর মাংসে রক্ত মিশিয়ে বিক্রির দায়ে ভাই-ভাই কসাইখানাকে ৫ হাজার অর্থদণ্ড করা হয়।এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিন বলেন- পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে নবীগঞ্জ শহরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় ৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় দ্রব্য পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি ও ফ্রিজে রাখা পুরাতন গরুর মাংসে রক্ত মিশিয়ে বিক্রির দায়ে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।