বি.এন.পি কেন বার বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয় আর আওয়ামী লীগ সব সময় দুর্নীতি মুক্ত দরবেশের স্টেটাস বয়ে বেড়ায় ? অথচ এই আওয়ামীলীগাররাই টাকা পাচার করে দেশে দেশে শুধু বেগম পাড়াই করেনি, এরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ বিলিয়নারের তালিকায়ও নাম লিখিয়েছে। এদের নেত্রী গর্ব করে বলেন তার পিওনও নাকি ৪০০ কোটি টাকার মালিক, হেলিকপ্টর ছাড়া চলেইনা!!
দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন আর দুর্নীতি মুক্ত দরবেশের মুখোশ উন্মোচন করতে হলে আমাদেরকে কাল্পনিক একটি একটি উপমার সাহায্য নিতে হবে।
:::: কল্পনা করুন আওয়ামী লীগ আর বি.এন.পি একটি সুপার শপের দুটি স্বনির্ভর ব্রাঞ্চ।::::::
--------------------------------------
শপ দুটির স্বনির্ভর ব্রাঞ্চ ম্যানেজাররা হায়ারিং, ফায়ারিং, এক্সপোর্ট , ইম্পোর্ট আর ব্যাঙ্ক লোন নেয়ার মত সূক্ষ্ণ ও অতিগুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ডিসিশন মেকিংয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী ।
বিএনপি নামক প্রথম ব্রাঞ্চেটি পর পর ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন!!
—————————————————
প্রথম ব্রাঞ্চেটির ম্যানেজারের ছেলে-মেয়েরা ক্যাশের টাকা মাঝে মধ্যে নয় ছয় করে, উল্টো পাল্টা মেমো লিখে হিসাব মিলিয়ে থাকে , ব্রাঞ্চেটির কর্মচারীরাও দুর্নীতিতে সিদ্ধ হস্ত । তারা সব সময় চা , কফি , স্প্রাইট , ফান্টা , গাম , সিগারেট, বিস্কটের মূল্য পরিশোধ না করে লুকিয়ে বাসায় নিয়ে যায়। এ জন্য এই ব্রাঞ্চের ম্যানেজারকে প্রতি মাসে লাখ দেড়েক টাকার মালামাল মিসিং হিসাবে ঘোষণা করতে হয়। তবুও মাস শেষে এই ব্রাঞ্চেটির নেট আর্নিং শত কোটি ছাড়িয়ে যায়। বহু বছর যাবৎ ব্রাঞ্চেটির ম্যানেজারের প্রমোশন বা ইনক্রিমেন্ট হয়নি ব্রাঞ্চের কর্মচারীদের দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে না পাড়ার কারনে। ব্রাঞ্চেটিকে হেড অফিস পর পর ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে।
আওয়ামী লীগ নামক দ্বিতীয় ব্রাঞ্চেটি "দুর্নীতি মুক্ত দরবেশ" খ্যাত।
————————————————————————————
দ্বিতীয় ব্রাঞ্চেটির ম্যানেজার স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড , হিসাব নিকাশে কোন নয় ছয় নাই। ব্রাঞ্চেটির ম্যানেজার আর কর্মচারির সম্পর্ক গভীর, তারা নিজেদের সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনা শেয়ার করে, এমন কি ঘর থেকে আনা লাঞ্চও।
ব্রাঞ্চেটির ম্যানেজার, কর্মচারীদের চরিত্র হেড অফিসের চোখে নিট এন্ড ক্লিন হওয়ায় প্রতি বছর ম্যানেজারের সেলারি ইনক্রিমেন্ট হয়, কর্মচারীদেরও বেতন বোনাস বৃদ্ধি পায়। । মাস শেষ এই ব্রাঞ্চেটি অন্য ব্রাঞ্চটির চেয়ে দেড় থেকে দুগুণ নেট আর্নিং ব্যাংক একাউন্টে জমাকরে।
:::: অডিটে সাগর চুরি আবিষ্কার!!! ::::
——————————————————
৫ বছর পর অডিট টিম হিসাব নিকাশ করে আবিষ্কার করলো দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ব্রাঞ্চেটির একাউন্টে ৬০০ কোটি টাকা থাকলেও দুর্নীতি মুক্ত ব্রাঞ্চটির ব্যাঙ্ক একাউন্টে কোন টাকা পয়সা নাই, উল্টো ব্রাঞ্চটির ব্যাঙ্ক লোনের দেনা আছে ১০০০ কোটি টাকা । কানাডার বেগম পাড়ায় আশ্রয় নিয়ে ব্রাঞ্চেটির ম্যানেজার দাবি করেন, নর্থ কোরিয়ান হেকাররা ব্যাংকে থাকা ৪০০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ায় ভেন্ডরদের প্রাপ্য পরিশোধ করতে তাকে ১০০০ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক লোন ব্রাঞ্চেটির নামে নিতে হয়েছে।